এটি ব্যবসাহিক দিক থেকে দুটি চালাকি। যেমন ৯৯৯ টাকা দাম হলে আপনি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা দেবেন। এবং দোকানি ১ টাকা নাই বা কোন কারন দেখিয়ে নাও দিতে পারে। এই ১ টাকা দোকানদারকে লাভের সুযোগ দিলে দোকানদার ঐ মালটা বেশি বিক্রির চেষ্টা করবেন ফলে কোম্পানির বিক্রি বাড়ে। অন্য দিকে ১০০০ টাকার সরকারী ট্যাক্স গুলো পূর্ন সংখ্যায় দাঁড়ায় ফলে তা পূর্ন ভাবে পরিশোধ হয়। না হলে হিসাব সহজে ধরা যায়। কিন্ত ৯৯৯ হলে এর ভ্যাটও হবে দশমিক সংখ্যার পরে বেশ কিছু যেমন হতে পারে এক পয়সা বা ৫০ পয়সা। এখন এরকম হাজার হাজার দশমিক লগারিদম থেকে কিছু বাদ দেয়া সহজ হয়। কেউ ধরতে চাইলে তা রিভিউ করাও কঠিন হয়ে যায়। এই ট্রিক্স এর সুযোগ নেবার জন্যই এরকম করে। এছাড়া ছোট ছোট আরো দুটো কারন আছে।
ইচ্ছা করেই এধরনের দাম রাখা হয়। এর পেছনে একটি মনস্তাতাত্ত্বিক যুক্তি রয়েছে। এই ধরণের দামকে বলা হয়, সাইকোলজিক্যাল প্রাইসিং। এর মানে হচ্ছে, এভাবে জিনিসের দাম ইচ্ছা রেখে কোম্পানি বা দোকানদার আসলে ক্রেতার মনের উপর প্রভাব তৈরি করতে চাইছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কোনও জিনিসের দাম শেষে ০ দিয়ে শেষ হলে ক্রেতার মনে হয়, এত দাম! আর কোনও জিনিসের দাম যদি বিজোড় সংখ্যা দিয়ে শেষ হয়, বিশেষ করে ৯ দিয়ে শেষ হয়, তাহলে ক্রেতারা ভাবেন যে, জিনিসটির দাম খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে রাখা হয়েছে। এটাই সর্বনিম্ম দাম অথবা এই দামটি যুক্তিসঙ্গত। ফলে ক্রেতারা ওই জিনিসটি কিনতে আগ্রহী হন। এছাড়াও আজকের দিনে খুচরো টাকা একটা সমস্যার বিষয়। ১৯৯ টাকা দিয়ে জিনিস কেনার পর দোকানদার বা কোম্পানি যদি আপনাকে বলে যে, তাঁর কাছে খুচরো নেই, তাহলে আপনি খুব বেশি কিছু বলতে যাবেন না। আপনার মনে হবে, এক টাকাই তো। ঠিক আছে ছেড়ে দিন, এই বলেই হয়তো বেরিয়ে আসবেন দোকান থেকে। এবার ভাবুন, সারা মাস ধরে প্রতি জিনিসে কোম্পানি যদি ১ টাকা করে অতিরিক্ত মুনাফা করে, তাহলে কত টাকা লাভ হয়!