যে কয়টা ছবি তোলা হয় সে কয় দিন তার হায়াত কমে যায়। এই কথার কোন ভিত্তি নেই। এই কথা কেউ বিশ্বাষ করলে ঈমান হারা হয়ে যাবে।
কেননা, তাকদীর পূর্বেই লিপিবদ্ধ জন্মের আগেই চারটি জিনিস লিপিবদ্ধ হয় তার মধ্যে একটি হায়াত। আর কেউ চাইলেই তা ছবি তুলে সেই হায়াত কমাতে বা বাড়াতে পারবেনা।
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন বান্দাহ চারটি বিষয়ের উপর ঈমান না আনা পর্যন্ত মুমিন হবে না। একমাত্র আল্লাহর উপর ঈমান আনবে, যার কোন শারীক নেই, নিশ্চয় আমি আল্লাহর রাসূল, মৃত্যুর পর পুনরুত্থান এবং তাকদীরের ভালো মন্দে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ৮১ তিরমিযীঃ ২১৪৫ হাদিসের মানঃ সহিহ)।
সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেবল সৎ কর্মই আয়ু বৃদ্ধি করে এবং দুআ ব্যতীত অন্য কিছুতে তাকদীর রদ হয় না। মানুষের অসৎ কর্মই তাকে রিজিক বঞ্চিত করে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ৯০ হাদিসের মানঃ হাসান)।
এই হাদিস থেকে এটাই বোঝা যায় যে, দুআ ব্যতীত অন্য কিছুতে তাকদীর রদ হয় না। অর্থাৎ কেউ ছবি তুলে তাকদীর রদ করতে পারবে না।