শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Habib96

Call

জুমআর খুতবার দুটি অংশ। প্রথম অংশটি প্রথম খুতবা এবং শেষ অংশটি দ্বিতীয় খুতবা নামে প্রসিদ্ধ। খুতবাহ্ মানে হল ভাষণ বা বক্তৃতা। এই ভাষণ দেওয়া ও শোনার বহু নিয়ম-নীতি আছে। যার কিছু নিম্নরুপ :-

খুতবার জন্য ওযূ হওয়া শর্ত নয়। তবে খুতবার পরেই যেহেতু নামায, তাই ওযু থাকা বাঞ্ছনীয়। খুতবা চলাকালে খতীবের ওযূ নষ্ট হলে খুতবার পর তিনি ওযূ করবেন এবং সে পর্যন্ত লোকেরা অপেক্ষা করবে। (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দার্ব, ইবনে উষাইমীন ১/২০৮)

খুতবা পরিবেশিত হবে দন্ডায়মান অবস্থায়। বিনা ওজরে বসে জুমআর খুতবা সহীহ নয়।

মহানবী (সাঃ) খুতবায় দাঁড়াবার সময় লাঠি অথবা ধনুকের উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতেন। (আবূদাঊদ, সুনান ১০৯৬নং) অবশ্য অনেকে বলেন, এ ছিল মিম্বর বানানোর পূর্বে। অল্লাহু আ’লাম।

মহানবী (সাঃ)-এর অধিকাংশ সময়ে মাথায় পাগড়ী ব্যবহার করতেন। সুতরাং যারা পাগড়ী ব্যবহার করে না তাদের বিশেষ করে জুমুআহ বা খুতবার জন্য পাগড়ী ব্যবহার করা বিদআত। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৬৭পৃ:)

জুমআর খুতবা হবে কোন উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে। যাতে সকল নামাযীকে খতীব দেখতে পান এবং তাঁকে সকলে দেখতে পায়। এ ক্ষেত্রে ২ থাকি বা ৩ থাকি অথবা তার চেয়ে বেশী থাকির কোন প্রশ্ন নেই। আসল উদ্দেশ্য হল উঁচু জায়গা। অতঃপর সেই উঁচু জায়গায় পৌঁছনোর জন্য যতটা সিড়ির দরকার ততটা করা যাবে। এতে বাধ্যতামূলক কোন নীতি নেই। শুরুতে মহানবী (সাঃ) একটি খেজুর গাছের উপর খুতবা দিতেন। তারপর এক ছুতোর সাহাবী তাঁকে একটি মিম্বর বানিয়ে দিয়েছিলেন; যার সিড়ি ছিল ২টি। (আবূদাঊদ, সুনান ১০৮১নং) এই দুই সিড়ি চড়ে তৃতীয় (শেষ) ধাপে মহানবী (সাঃ) বসতেন। বলা বাহুল্য, তাঁর মিম্বর ছিল তিন ধাপ বিশিষ্ট। আর এটাই হল সুন্নত। (ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/৩৩১) (এবং করতে হয় মনে করে) তার বেশী ধাপ করা বিদআত। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৬৭পৃ:)

বিশেষ করে জুমআর জন্য জুমআর দিন মিম্বরের উপর কার্পেট বিছানো বিদআত। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৬৬পৃ:)

মিম্বরে চড়ে মহানবী (সাঃ) মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে সালাম দিতেন। (ইবনে মাজাহ্, সুনান ১১০৯, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২০৭৬নং) এরপর বসে যেতেন। মুআযযিন আযান শেষ করলে উঠে দাঁড়াতেন।

আল্লাহর রসূল (সাঃ) দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। তিনি খুতবায় কুরআনের আয়াত পাঠ করে লোকেদেরকে নসীহত করতেন। (মুসলিম, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান)

খুতবাহ্ হবে মহান আল্লাহর প্রশংসা, মহানবীর নবুওয়াতের সাক্ষ্য, আল্লাহর তাওহীদের গুরুত্ব, ঈমান ও ইসলামের শাখা-প্রশাখার আলোচনা, হালাল ও হারামের বিভিন্ন আহ্কাম, কুরআন মাজীদের কিছু সূরা বা আয়াত পাঠ, লোকেদের জন্য উপদেশ, আদেশ-নিষেধ বা ওয়ায-নসীহত এবং মুসলিম সর্বসাধারণের জন্য দুআ সম্বলিত।

মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে খুতবায় তাশাহহুদ, শাহাদত বা আল্লাহর তাওহীদের ও রসূলের রিসালাতের সাক্ষ্য থাকে না, তা কাটা হাতের মত (ঠুঁটো)।” (আবূদাঊদ, সুনান ৪৮৪১, জামে ৪৫২০নং)

তাঁর খুতবার ভূমিকায় মহানবী (সাঃ) যা পাঠ করতেন তা বক্ষ্যমাণ পুস্তকের (প্রথম খন্ডের) ভূমিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। ঐ খুতবা পাঠ করার পর তিনি ‘আম্মা বা’দ’ (অতঃপর) বলতেন।

কখনো কখনো মহানবী ঐ খুতবায় উল্লেখিত আয়াত ৩টি পাঠ করতেন না। কখনো কখনো আম্মা বা’দের পর বলতেন,

ﻓﺈﻥ ﺧﻴﺮ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺧﻴﺮ ﺍﻟﻬﺪﻱ ﻫﺪﻱ ﻣﺤﻤﺪ (সাঃ)، ﻭﺷﺮ ﺍﻷﻣﻮﺭ ﻣﺤﺪﺛﺎﺗﻬﺎ ،

ﻭﻛﻞ ﻣﺤﺪﺛﺔ ﺑﺪﻋﺔ، ﻭﻛﻞ ﺑﺪﻋﺔ ﺿﻼﻟﺔ، ﻭﻛﻞ ﺿﻼﻟﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ।

অর্থাৎ, অতঃপর নিশ্চয়ই সর্বশ্রেষ্ঠ বাণী আল্লাহর গ্রন্থ। সর্বশ্রেষ্ঠ হেদায়াত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর হেদায়াত। আর সর্বনিকৃষ্ট কর্ম হল নব রচিত কর্ম। প্রত্যেক নব রচিত কর্মই বিদআত। প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতা দোযখে। (তামামুল মিন্নাহ্, আলবানী ৩৩৪-৩৩৫পৃ:)

তিনি খুতবায় সূরা ক্বাফ এত বেশী পাঠ করতেন যে, উম্মে হিশাম (রাঃ) প্রায় জুমআতে আল্লাহর রসূল (সাঃ)-কে মিম্বরের উপরে পাঠ করতে শুনে তা মুখস্থ করে ফেলেছিলেন। (আহমাদ, মুসনাদ, মুসলিম, সহীহ ৮৭২-৮৭৩নং, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান)

তারপর একটি খুতবা দিয়ে একটু বসতেন।

এ বৈঠকে পঠনীয় কোন দুআ বা যিক্র নেই। খতীব বা মুক্তাদী সকলের জন্যই এ সময়ে সূরা ইখলাস পাঠ করা বিদআত। (মু’জামুল বিদা’ ১২২পৃ:)  মহানবী (সাঃ) বসে কোন কথা বলতেন না। অতঃপর উঠে দ্বিতীয় খুতবা দিতেন। (বুখারী, মুসলিম, আবূদাঊদ, সুনান ১০৯২, ১০৯৫নং)

এই সময় (দুই খুতবার মাঝে) কারো দুআ করা এবং তার জন্য হাত তোলা বিধেয় নয়। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৭০পৃ:)

তাঁর উভয় খুতবাতেই নসীহত হত। সুতরাং একটি খুতবাতে কেবল ক্বিরাআত এবং অপর খুতবাতে কেবল নসীহত, অথবা একটি খুতবাতে নসীহত এবং অপরটিতে কেবল দুআ করা সঠিক নয়। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৭১পৃ:)

খুতবা হবে সংক্ষেপ অথচ ব্যাপক বিষয়ভিত্তিক। মহানবী (সাঃ)-এর খুতবা এবং নামায মাঝামাঝি ধরনের হত। (মুসলিম, সহীহ ৮৬৬, আহমাদ, মুসনাদ ১১০১, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান) তিনি বলতেন, “(খতীব) মানুষের নামায লম্বা এবং খুতবা সংক্ষিপ্ত হওয়া তার দ্বীনী জ্ঞান থাকার পরিচয়। সুতরাং তোমরা নামাযকে লম্বা এবং খুতবাকে সংক্ষেপ কর।” (আহমাদ, মুসনাদ, মুসলিম, সহীহ ৮৬৯নং) হযরত আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাঃ) আমাদেরকে খুতবা ছোট করতে আদেশ দিয়েছেন।’ (আবূদাঊদ, সুনান ১১০৬নং)

  • জুমআর প্রথম খুতবা (এটা ছাড়া অন্য খুতবাও পড়া যাবে)

إنَّ الحَمدَ للهِ نَحمدُهُ ونستعينُهُ ونستهديهِ ونشْكرُهُ ونعوذُ باللهِ من شرورِ أنفسِنَا ومن سيئاتِ أعمالنا، مَن يهدِ اللهُ فلا مُضِلَّ لهُ ومن يُضلِل فلا هادِيَ لهُ، وأشهدُ أنْ لا إلـهَ إلا اللهُ وحدَهُ لا شريكَ لهُ ولا مثيلَ لهُ ولا ضدَّ ولا نِدَّ لهُ، أنزلَ على قلبِ عبدِهِ وحبيبِهِ محمَّدٍ قرءانًا عربيًا مَنْ تَمَسَّكَ بِهَدْيِهِ فازَ فَوْزًا عظيمًا. فلقدْ قالَ ربُّنا: ﴿وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُوا إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَاناً ﴾ [سورة الإسراء]  وأشهدُ أنَّ سيدَنا وحبيبَنا وعظيمَنا وقائدَنا وقُرَّةَ أَعْيُنِنَا محمَّدًا عبدُ اللهِ ورسولُهُ وصَفِيُّهُ وحبيبُهُ، بَلَّغَ الرِّسالَةَ وأدَّى الأمانَةَ ونَصَحَ الأُمَّةَ، فهوَ القائِلُ في حديثِهِ الشَّريفِ: «إنَّ مِنْ أبرّ البِرّ أنْ يَبَرَّ الرجلُ أهْلَ وِدّ أبِيهِ بعدَ أنْ يُوَلّيَ». فجزاكَ اللهُ عنَّا يا سيّدِي يا رسولَ اللهِ خيرًا، جزاكَ اللهُ عنَّا خَيْرَ ما جزَى نبِيًا منْ أنْبِيائِهِ، الصَّلاةُ والسَّلامُ عليكَ يا عَلَمَ الهُدى ويا بدرَ الدُّجَى يا مُحمَّدُ.

أمّا بعدُ عبادَ اللهِ، فإني أوصيكُمْ ونفسِي بِتَقْوى اللهِ العَلِيّ العظيم فالتَّقوى هيَ سبيلُ النَّجاةِ يومَ الدّينِ، هيَ التي تَنْفَعُ يومَ لا ينفعُ مالٌ ولا بَنونَ إلا منْ أتَى اللهَ بقلبٍ سليمٍ. إخوةَ الإيمانِ، لقدْ جاءَ الأنبياءُ بالهدَى والبَيّناتِ ودَعوا إلى المكارِمِ والمعالي وأعمالِ الخيرِ، فمِنَ المكارمِ والمعالي التي جاءَ بها أنبياءُ اللهِ عزَّ وجلَّ برُّ الوالدينِ. يقولُ اللهُ تعالى: ﴿وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُوا إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَاناً إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وقُلْ رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا ﴾ [سورة الإسراء] .

أمَرَ اللهُ عبادَهُ أمْرًا مَقْطوعًا بِهِ بأنْ لا يَعْبُدوا إلا إيَّاهُ، وأمَرَ بالإحسانِ للوالدينِ، والإحسانُ هوَ البِرُّ والإكرامُ. قالَ ابنُ عباسٍ: «لا تَنْفُضْ ثَوْبَكَ فَيُصيبَهُما الغُبارُ».

وقدْ نهَى اللهُ تعالى في هذِهِ الآيةِ عنْ قولِ ﴿أُفٍّ﴾ للوالِدَيْنِ وهوَ صوتٌ يدُلُّ على التَّضَجُّرِ، فالعبْدُ مأمورٌ بأنْ يستعمِلَ معهُمَا لِينَ الخُلقِ حتَّى لا يقولَ لهما إذا أضجرَهُ شىءٌ منهُمَا كلمة «أُفٍ». ﴿وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا ﴾ أيْ ولا تنهاهُمَا عنْ شىءٍ أحبَّاهُ لا معصِيَةَ للهِ فيهِ، وقلْ لهُمَا قوْلا ليّنًا لطيفًا أحسنَ ما تَجِدُ كما يَقْتَضيهِ حُسْنُ الأَدَبِ.

واسمَعوا جيّدًا قولَ اللهِ تعالى: ﴿وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ ﴾ أيْ أَلِنْ لهمَا جانِبَكَ مُتَذَلّلاً لهُما مِنْ فَرْطِ رحمَتِكَ إيَّاهُما وعطْفِكَ عليهِمَا. كُنْ لَيِّنَ الجانِبِ مُتذلّلاً لوالدَيْكَ، وتذكَّرْ أنَّكَ بالأمسِ في صِغَرِكَ كنتَ أفقرَ خلْقِ اللهِ إليْهِمَا، مَنِ الذي أزالَ عنكَ النَّجاسَةَ في صِغَرِكَ ؟ منِ الذي سَهِرَ اللَّيالي لأجْلِ صِحَّتِكَ ؟ وإن بِرَّ الأمَّهاتِ أعظمُ ثَوابًا مِنْ بِرّ الآباءِ لِعَظيمِ فَضْلِ الأُمّ وما تَحَمَّلَتْهُ وقَدَّمَتْهُ لولدِهَا في سبيلِ تَرْبِيَتِهِ. رسولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمّا سأَلَهُ بعضُ الصحابةِ: «منْ أَحَقُّ الناسِ بِحُسْنِ صحابَتِي ؟ قالَ: أمُّكَ. قالَ: ثمَّ مَنْ ؟ قالَ: أمُّكَ. قالَ: ثمَّ مَنْ ؟ قالَ: أمُّكَ. قالَ: ثمَّ مَنْ ؟ قالَ: أبوكَ».

حضَّ الإسلامُ الولَدَ على طاعةِ والديه فيمَا لا معصيةَ فيهِ، وجعلَ اللهُ تعالى للمسلمِ الذي يُطيعُ والدَيْهِ فيما لا معصيةَ فيهِ أجْرًا عظيمًا في الآخرةِ، بلْ منَ الناسِ منْ أكْرَمَهُمُ اللهُ بأشياءَ في دنياهُمْ قبلَ ءاخِرَتِهِمْ بِسَبَبِ بِرّهِمْ لأُمّهِمْ كبلالٍ الخَوَّاصِ رَضِيَ اللهُ عنهُ الذي كانَ منَ الصالحينَ المشهورينَ قالَ: «كنتُ في تيهِ بني إسرائيلَ فوجدْتُ رجلاً يُماشِيني فأُلْهِمْتُ أنَّهُ الخَضِرُ (والخَضِرُ هوَ نبيٌّ على القوْلِ الرَّاجِحِ ولا زالَ حَيًا إلى الآنَ بِقُدْرَةِ اللهِ تَعَالى) قالَ بلالُ الخَوَّاص رَضِيَ اللهُ عنهُ: فسأَلْتُهُ عنْ مالِكِ بنِ أَنَسٍ فقالَ: هوَ إمامُ الأئِمَّةِ. ثمَّ سَأَلْتُهُ عَنِ الشَّافِعِيّ فقالَ: هوَ مِنَ الأوتادِ. ثمَّ سَأَلْتُهُ عَنْ أحمدَ بنِ حَنْبَلٍ فقالَ: هوَ صدّيقٌ. ثمَّ قالَ لهُ: أسأَلُكَ بِحَقّ الحَقّ مَنْ أنتَ ؟ فقالَ: أنا الخَضِرُ. قالَ: فَقُلْتُ لهُ ما هيَ الوسيلةُ التي رَأَيْتُكَ بِها ؟ قالَ: بِرُّكَ بِأُمّكَ». أيِ الفضيلةُ التي جَعَلَتْكَ أَهْلاً لِرُؤْيَتِي هِيَ كَوْنُكَ بارًّا بِأُمّكَ.

اللهمَّ ارزُقْنَا حُسْنَ الاقْتِدَاءِ بالأنْبياءِ والأوْلياءِ والصَّالِحينَ .

هذا وأستغْفِرُ اللهَ العظيمَ لي ولَكُمْ


  • জুমআর নামাজের দ্বিতীয় খুতবা (বহুল পঠিত) হলো-
  •  الحمد لله استعينه واستغفره

 ونعوذ بالله من شرور انفسنا من يهدى الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له واشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له واشهد ان محمدا عبده ورسوله ارسله بالحق بشيرا ونذيرا بين يدي الساعة من يطع الله ورسوله فقد رشد ومن يعصهما فانه لا يضر الا نفسه ولا يضر الله شيئا اعوذ باللة من الشيطان الرجيم ان الله وملئكته يصلون على النبي يا ايهاالذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما اللھم صل علي محمد عبدك ورسولك وصل على المؤمنين والمؤمنات والمسلمين والمسلمات وبارك على محمد وازواجه وذريته قال النبي صلى الله عليه وسلم ارحم امتي بامتي ابو بكر واشدهم في امر الله عمر واصدقهم حياء عثمان واقضاهم علي وفاطمة سيدة نساء اهل الجنة والحسن والحسين سيدا شباب اهل الجنة وحمزة اسدالله واسد رسوله اللھم اغفرللعباس وولده مغفرة ظاهرة وباطنة لا تغادر ذنبا الله الله في اصحابي لا تتخذوهم غرضا من بعدي فمن احبهم فبحبي احبهم ومن ابغضهم فببغضي ابغضهم وخير امتي قرني ثم الذين يلونهم ثم الذين يلونهم والسلطان ظل الله في الارض من اهان سلطان الله في الارض اهانه الله ان الله يأمر بالعدل والاحسان وايتاءذي القربى وينهى عن الفحشاء والمنكر والبغي يعظكم لعلكم تذكرون فاذكروني اذكركم واشكروا لي ولا تكفرون


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ