যারা পাক পাঞ্জাতনে বিশ্বাসী তারা হক
দল নয়।
পাক মানে পবিত্র, পাঞ্জা হলো পাঁচ এবং তন অর্থ
শরীর বা দেহ।
সুতরাং পাক-পাঞ্জাতন হলো পবিত্র পাঁচ দেহ।
পাক পাঞ্জাতন এটির বাংলা অনুবাদ হল, পাঁচ পবিত্র
ব্যক্তি। এটি শিয়াদের একটি বিশেষ আকীদা।
যার দ্বারা তারা উদ্দেশ্য নিয়ে থাকে তারা হলেন,
১। হযরত
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
২। হযরত
আলী (রাঃ)।
৩। হযরত ফাতিমা (রাঃ)।
৪। হযরত হাসান (রাঃ)।
৫। হযরত
হুসাইন (রাঃ)।
এই ৫ জনকে মিলিয়ে তারা পাক পাঞ্জাতন
বলে থাকে।
এর মানে এ পাঁচ ব্যক্তিত্ব পবিত্র।
বাহ্যিকভাবে এ দাবীতে কোন সমস্যা নেই।
কারণ, আমাদেরও আকীদা যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসূম তথা নিষ্পাপ।
আর বাকি
সাহাবাগণ মাহফূজ তথা গোনাহ করেছেন, কিন্তু
তাদেরকে গোনাহের উপর অটল থাকতে
আল্লাহ দেননি। তাই এ হিসেবে তারাও পবিত্র।
কিন্তু শিয়ারা নবীসহ বাকি চার সাহাবার নাম নিয়ে
অবশিষ্ট সমস্ত সাহাবাদের প্রতি অপবিত্রতার ইংগিত
করে থাকে। অথচ কুরআনের আয়াতের দ্বারা
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
সম্মানিতা স্ত্রীগণকে আহলে বাইত সাব্যস্ত
করে তাদেরও পবিত্র হিসেবে কুরআনে
ঘোষণা করা হয়েছে।
হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য
নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে
ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও
আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে
সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি
রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।
তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা
যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন
করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান
করবে এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য
করবে। হে আহলে বাইত তথা নবী
পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান
তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে
এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র
রাখতে। (সূরা আহযাবঃ-৩২,৩৩)
তাছাড়া নবী ছাড়াও তাদের বিশ্বাসে ইমামদেরও
মাসূম বা নিষ্পাপ মনে করে। যা সুষ্পষ্ট কুফরী
আকীদা।
এ কারণে পাক পাঞ্জাতন শব্দটি প্রকৃত
মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, এর
মাঝে শিয়াদের কুফরী আকীদা লুকায়িত
রয়েছে।