কোন মাস,আলা বা ফতুয়া কি মুফতিই দিবে অন্য কেউ পারবেনা? দয়া করে যুক্তিগত জবাব দিবেন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

দেখুন, দুজন লোক ডাক্তারি পড়তে গেছে। এখন একজন শিখেছে নিউরোসার্জারি(মস্তিষ্ক এর সার্জন) আর আরেকজন হয়েছেন হার্টের ডাক্তার। এখন একজন লোকের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। যদি লোকটিকে অন্যরা হার্টের ডাক্তারের কাছে না নিয়ে গিয়ে নিউরো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়, তবে আপনিই বলুন, রোগীটি কি বাঁচবে? 

একই কথা এখানেও খাটে। একজন ব্যাক্তি ফিকহ, ইসলামি আইনশাস্ত্র,ও ফতোয়ার জন্য উচ্চমানের লেখাপড়া করে তবেই মুফতি হন। আর সেখানে অন্যজন কোরআনের তাফসীর পড়ে হন মুফাসসির আর আরেকজন হাদীসশাস্ত্র পড়ে হন শাইখুল হাদীস। এখন এরা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ। আপনি যদি ঐ হার্ট অ্যাটাক করা ব্যাক্তির মত ভুল জায়গায় গিয়ে সমস্যার সমাধান নিতে চান, তবে আপনারও বিপথে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। 

তবে কিছু জিনিস এমন আছে যা সম্পর্কে সবাই মোটামুটি ভালো ধারণা রাখেন। যেমন ইঞ্জেকশন দেওয়া, স্যালাইন লাগানো, প্রাথমিক চিকিৎসা ইত্যাদি সব ডাক্তারই পারেন।

তেমনি দ্বীনের যেসব ছোটখাটো বিষয় যেমন নামায-রোযা সংক্রান্ত মাসআলা, ছোটখাটো সমস্যা ইত্যাদি বিষয় সাধারণ মাওলানার কাছ থেকে নিলে সমস্যা নেই। তবে বড় কোন মাসআলাগত সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনাকে অবশ্যই বড় কোন মুফতির নিকট যাওয়া বাধ্যতামূলক। 

জাযাকাল্লাহ খাইরান ফিদ দারাইন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ