বিষয়টি হলঃ আমি একজন থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়েছিলাম সে বলেছে  টাকা দিতে না পারলে প্রতি মাসে ৩ হাজার করে টাকা দিতে হবে লাভ আমি বলেছি  আচ্ছা দিবো এখন ওই ব্যাক্তিকে যদি প্রতি মাসে লাভ দেয় তাহলে সুদে গুনাহ হবে কি আর যাকে লাভ দেবো তার কেমন পাপ হবে।        
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সুদখোর ও সুদদাতার প্রতি অভিসম্পাত এরা সকলেই সমান পাপী। এরা জাহান্নামী হবে। কোন ব্যক্তির সুদের একটি টাকা খাওয়া তার ছত্রিশবার ব্যভিচার করা অপেক্ষাও জঘন্য অপরাধ। মুহাম্মাদ ইবনু সাব্বাহ, যুহায়র ইবনু হারব ও উসমান ইবনু আবূ শাইবা (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন, সুদ গ্রহীতার উপর, সুদদাতার উপর, এর লেখকের উপর ও উহার সাক্ষীদ্বয়ের উপর এবং বলেছেন এরা সকলেই সমান। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বরঃ ৩৯৪৮ হাদিসের মানঃ সহিহ) আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন (সূরা আল বাকারাঃ ২৭৫)। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা বকেয়া আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা প্রাকৃত বিশ্বাসী হয়ে থাক (সূরা আল বাকারাঃ ২৭৮)। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, অতঃপর তোমরা যদি তা (বকেয়া সুদ) না ছাড়, তবে জেনে রেখ এটা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সঙ্গে যুদ্ধ। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। এতে তোমরা অত্যাচার করবে না এবং অত্যাচারিতও হবে না। (সুরা আল বাকারাঃ ২৭৯) আল্লাহ তায়ালার বাণী, আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে (সূরা আল বাকারাঃ ২৭৫)। আরো ইরশাদ করেন, তোমরা যে সুদ দিয়ে থাক, যাতে মানুষের মালের সাথে মিশে তা বেড়ে যায়, আল্লাহর কাছে তা মোটেও বাড়ে না। (সূরা রূমঃ ৩৯)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ