নিয়ত দুই ধরনের হয়ে থাকে৷ ১৷ শুধু মনে মনে ইচ্ছাপোষণ করা৷ মুখে উচ্চারণ না করা৷ যেমন কেউ মনে মনে ভাবলো আমি আজকে দশ টাকা দান করবো৷ কিন্তু তা মুখে প্রকাশ করে নি৷ তাহলে এর বিধান হলো- তা আদায় না করলে কোন সমস্যা নেই৷ ২৷ মনে মনে ইচ্ছাপোষণের সাথে সাথে মুখে উচ্চারণ করা৷ যেমন কোন দরিদ্রকে এক হাজার টাকা সাহায্য করার কথা বলা৷ এর বিধান হলো- এটি ওয়াদা হবে৷ তাই পরবর্তীতে আদায় না করলে ওয়াদা ভঙ্গের গুনাহ হবে৷ কাফফারা দিতে হবে৷ দ্বিতীয় প্রকারের আরেকটি শাখা হলো- নিজের নিয়তকে উচ্চারণকরত কোন কিছুর সাথে শর্তযুক্ত করা এবং ওয়াজিব বা ওয়াজিবের মত কোন বিধান পালনের অঙ্গিকার করা৷ এটাকে মানত বলে৷ যেমন ছেলে অসুস্থ হলে কেউ বলল, আমার ছেলে সুস্থ হলে একটি কুরবানি করবো৷ তাহলে তা আদায় করা ওয়াজিব৷ আদায় না করলে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে৷ তবে সব ধরণের ইচ্ছায় বিলম্বিতকরে আদায় করার অবকাশ আছে৷