শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ভিডিও আথবা অডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডাক্তার যখন দূরবর্তী কোনাে স্থানের কোনাে রােগীর চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন, তখন তাকে ই-ডাক্তার বা টেলিমেডিসন বলে। 

এই টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে দূরবর্তী কোনো স্থানে, যেখানে কোন ডাক্তার কিংবা চিকিৎসক নেই সেখানে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পেয়ে থাকেন। যেটা প্রযুক্তির এক বিশেষ অবদান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অনলাইনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেওয়াকে টেলিমেডিসিন বলা হয়।এই পক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।এর মাধ্যমে রোগীরা ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে পারে।এতে তাদের ভোগান্তিও কমে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বর্তমান সময়ে প্রতিটি সেক্টরে উন্নতির সাথে সাথে চিকিৎসা বিজ্ঞানে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নতি। এর প্রায় সবটুকুর দাবিদার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। ডাক্তার প্রশিক্ষণ, রোগ নির্ণয়, ঔষধ তৈরি, অজানা রোগ গবেষণা ইত্যাদি কাজে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার হয়ে আসছে।

মাল্টিমিডিয়ার কল্যাণে শরীরের বিভিন্ন জটিল ও সংবেদনশীল অংশের গঠন যা স্বচক্ষে দেখলে যে অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়, তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তা বার বার দেখার সুযোগ থাকায় তার চেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা লাভ করা সম্ভব হচ্ছে এবং ঐ সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে সঠিক ও বাস্তব জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হয়েছে।

টেলিমেডিসিনঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোনো ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থানরত রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক - ইত্যাদি সমন্বয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকে টেলিমেডিসিন বলা হয়।

টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির সাহায্যে একদেশে অবস্থান করে অন্য দেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা নেওয়া যায়। টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির সাহায্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়েও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতির ফলে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের রোগীরা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাক্তারদের নিকট হতে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করতে পারে। শুধু তাই নয়, প্রযুক্তির উন্নতির ফলে বাংলাদেশের নাগরিকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও স্বাস্থ্য সেবা পেতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

দূরবর্তী স্থানে অবস্থান করেও টেলিফোন ও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদানের পদ্ধতিকে টেলিমেডিসিন বলে। অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে রোগীকে চাক্ষুষ না দেখেও ঔষধ দেওয়ার ব্যবস্থাই টেলিমেডিসিন। এ সেবার মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থানরত ডাক্তারদের মাঝে মতবিনিময়, চিকিৎসা সেবা আদান প্রদান, রোগীর চিকিৎসার তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোনো ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থানরত রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগ নির্ণয় কেন্দ্র বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক ইত্যাদির সমন্বয়ে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হলো টেলিমেডিসিন।টেলিমেডিসিন এক ধরনের চিকিৎসা সেবা যা টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে দূর থেকে রোগীরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট হতে অতিদ্রুত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারে। বর্তমানে ঘরে বসেই টেলিকনফারেন্স বা ভিডিও কনফারেন্স বা অনলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা যায়, একে টেলিমেডিসিন বলে। এছাড়া, ইন্টারনেট ও ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে এক দেশের চিকিৎসক অন্য দেশের চিকিৎসকের সাথে সহজেই অনলাইন যোগাযোগ স্থাপন করে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক উন্নতি ও অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। টেলিমেডিসিন একটি আধুনিক চিকিৎসাসেবা পদ্ধতি। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রামের মানুষকেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে, ইন্টারনেটের সৌজন্যে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ডাক্টার কর্তৃক রোগীকে দূর থেকে সেবা প্রদান করাকে টেলিমেডিসিন বলে। ফলে একজন ডাক্টার পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজেই চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারে এবং রোগীরা সহজেই জ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ ডাক্টারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

টেলিমেডিসিন কি


টেলিমেডিসিন হলো অনলাইন ভিত্তিক বা ফোন ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা। টেলিমেডিসিন ধারণা বা প্রক্রিয়াটি এসেছে তিনটি সমস্যা থেকে – দূরত্ব, সময়, অপ্রাপ্যতা সমস্যা।অর্থাৎ রোগী যখন চিকিৎসা সেবা নিতে যায় অনেক সময় দেখা যায় বাসা থেকে হাসপাতাল অনেক দূরে, যেখানে রোগী নিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য, সে ক্ষেত্রে দূরত্ব একটি সমস্যা।আবার ভয়াবহ মুমূর্ষু রোগীর ক্ষেত্রে দূরবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ক্ষেত্রে “সময়”একটি বড় ইস্যু। কিছু কিছু গ্রাম অঞ্চল ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাক্তার দেখানো টা মুশকিল। কারন সেখানে ডাক্তার সংখ্যা খুবই কম।

ডাক্তার অপ্রাপ্যতা আরেকটি সমস্যা, হাসপাতালের দূরত্ব, সময় ও ডাক্তার অপ্রাপ্যতা এইসব সমস্যা সমস্যা সমাধানের ও স্বাস্থ্যসেবা সহজ করার উদ্দেশ্যে যে টেলিফোন বা ডিজিটাল মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়ার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার নাম টেলিমেডিসিন সেবা।

পেইড সার্ভিসের মাধ্যমে মোবাইল ফোন বা বিভিন্ন অ্যাপস যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জার, ইমো, ভাইবার, স্কাইপ ইত্যাদির মাধ্যমে অডিও ভিডিও কলের মাধ্যমে এই সেবা দেয়া হয়।


টেলিমেডিসিন নতুন নয়। অতীতে পরিচিত চিকিৎসকের কাছ থেকে মানুষ টেলিফোনে নানা পরামর্শ নিতেন। মুঠোফোন চালু হওয়ার পর থেকে মানুষ রোগব্যাধিতে পরামর্শ পাওয়ার পাশাপাশি খুদে বার্তায় ব্যবস্থাপত্র পেতে শুরু করেন।চিকিৎসাপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এর সুবিধা নিচ্ছেন চিকিৎসক ও রোগীরা। কিন্তু এটা এত দিন ছিল বিকল্প ব্যবস্থা। মহামারির সময় বেশি মানুষের কাছে প্রধান ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে টেলিমেডিসিন।


প্রক্রিয়াটি নতুন হলেও করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশে টেলিমেডিসিন সার্ভিস জনপ্রিয় হচ্ছে। ঘর থেকে বের না হয়ে ডাক্তার এর প্রেসক্রিপশন নেয়ার সহজ এই পদ্ধতি দিন দিন জেলা পর্যায় থেকে উপজেলা, গ্রাম, ইউনিয়ন পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছে।গ্রাম পর্যায়ে টেলিমেডিসিন সার্ভিস পৌঁছে দিতে সরকার সব রকম সহায়তা করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিয়ে তাদেরকে ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সেরা টেলিমেডিসিন সেবার নম্বর এ সেবা পাওয়া সহজ করে দেয়া হচ্ছে।


টেলিমেডিসিন সার্ভিসের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠী সহজে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। কিছু গ্রামঅঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, ওয়েবক্যাম সুবিধা না থাকলেও মোবাইলের ইন্টারনেট এবং মোবাইলের ক্যামেরার মাধ্যমেই টেলিমেডিসিন সার্ভিস নেয়া যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সোশ্যাল অ্যাপ যেমন – ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটস আপ, ভাইবার, ইমো বা গুগল টেলিমেডিসিন হেলথ কেয়ার ব্যাবহার করা হচ্ছে।


টেলিমেডিসিন সেবা জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে- ঘরে বসেই টেলিমেডিসিন সার্ভিস নেয়ার ফলে করোনা আক্রান্তের ঝুকি কম থাকে। সামনা-সামনি ডাক্তার দেখানোর তুলনায় খরচ খুবই সামান্য অথবা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফ্রি। এক্ষেত্রে অনলাইন ডক্টর মানবিক ভূমিকা পালন করছে।খরচ কম হওয়ায় এক দিকে যেমন কম খরচে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীও উন্নত সেবার আওতায় আসছে, অন্য দিকে হাসপাতালেরও ব্যয় কমছে। সরকারী হাসপাতাল গুলোর আউট ডোরের লাইন কমিয়ে আনতে টেলিমেডিসিন হতে পারে স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম নতুন ধারণা।


টেলিমেডিসিন সার্ভিসের ফলে ডিজিটাল মাধ্যমে ডাক্তারের কাছ থেকে রোগীর তথ্য হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এতে একই রোগীকে পরবর্তীতে যে কোন সময় চিকিৎসা সেবা দিতে পুনরায় রোগের ইতিহাস নেয়ার প্রয়োজন হয় না।বাংলাদেশের সেরা টেলিমেডিসিন সেবার নম্বর ৩৩৩ হয়তো করনাকাল শেষ হলে বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু টেলিমেডিসিন সেবা চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে সুফল বয়ে এনেছে, তা ভবিষ্যতেও থেকে যাবে।


সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একদল গবেষক টেলিমেডিসিন মাধ্যমে রোগ ডায়াগনোসিসের (রোগ নির্ণয়) ক্ষেত্রে কিছু ডায়গনস্টিক ডিভাইজ উদ্ভাবন করেছে, যেমন হচ্ছে কনভার্ট স্টেথোস্কোপ, যা রোগীর বুকে ধরলে চিকিৎসক তার স্টেথোস্কোপে শব্দ শুনতে পাবে। আবার ইসিজির লিড লাগালে সেই গ্রাফ চিকিৎসক ওখান থেকে বসে দেখতে পাবে।এই সেবাগুলো গ্রামাঞ্চলে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাদের এই উদ্ভাবন ধারা অব্যাহত রয়েছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও চিকিৎসা সেবা অনেক এগিয়ে গিয়েছে, আশা করা যায় আগামীতে বাংলাদেশে টেলিমেডিসিন সেবা আরো সহজ হবে ।


ফুটনোট

https://chironhealth.com/telemedicine/what-is-telemedicine/

https://vsee.com/what-is-telemedicine/

www.who.int › publicationsPDFTelemedicine - World Health Organization

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Telehealth

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Bongo Wiki

Call

সহজ ভাষায় টেলি শব্দের অর্থ দূরে। আর মেডিসিন শব্দটি চিকিৎসা শব্দের সাথে যুক্ত।

অর্থাৎ টেলি মেডিসিনের ভাষাগত অর্থ দূর চিকিৎসা।

এক্ষেত্রে সরাসরি রোগীর সামনে না বসে কোনো ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যাবহার করে (ভিডিও, অডিও, ম্যাসেজ) চিকিৎসা প্রদান করাই হলো টেলিমেডিসিন। এই করোনা মহামারীর সময় আমরা অনেকেই টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ