বিগ ব্যাং এর ব্যার্থতা সমন্ধে জানা। আমি জানি না কুরআন কি বলে, সেখানে আছে এমন, "আকাশ ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল অতঃপর আমি (আল্লাহ) উভয়কে খুলে দিলাম এবং পানি হতে সকল কিছু সৃষ্টি করলাম।" 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

আমি কম জানা লোক, তাই ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল.

ইসলামের মৌলিক কিছু বিষয়, স্রষ্টার অস্তিত্ব এমন কিছু বিষয় ঠিকভাবে উপলব্ধি করার জন্য একটা অন্যরকম অনুভূতির দরকার যা চর্চাসাপেক্ষ। তাহলে সন্দেহ ভালভাবে দূর হবে। 

বাংলায় কোরান-হাদীসের অনেক অনুবাদ আছে যেগুলোর প্রকৃত অর্থ উপলব্ধি করার জন্য আমাদের নফসের উন্নতির দরকার, নয়তো সেসবের অন্তর্নিহিত অর্থ স্পষ্ট হবেনা এবং তা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। 

যেমন ধরুন কবিতার প্রসঙ্গ, কোন কবিতার লাইনের যদি একাধিক অর্থ হতে পারে বলে মনে হয় সেক্ষেত্রে কবিই একমাত্র ভাল জানেন যে তার আসল অর্থ কী। 

এবার আসি সর্বপ্রথম আল্লাহ কি সৃষ্টি করেছিলেন সেই প্রসঙ্গে- 

It is related that Jabir ibn `Abd Allah said to the Prophet image : "O Messenger of Allah, may my father and mother be sacrificed for you, tell me of the first thing Allah created before all things." He said: "O Jabir, the first thing Allah created was the light of your Prophet from His light, and that light remained (lit. "turned") in the midst of His Power for as long as He wished, and there was not, at that time, a Tablet or a Pen or a Paradise or a Fire or an angel or a heaven or an earth. And when Allah wished to create creation, he divided that Light into four parts and from the first made the Pen, from the second the Tablet, from the third the Throne, [and from the fourth everything else]." 

অর্থ- আল্লাহ সর্বপ্রথম নবী (স:) এর নূর তৈরি করেছিলেন, আর তার থেকে পরে অন্য সব তৈরি করা হয়। 

নূর কী তা অন্তর দিয়ে উপলব্ধির বিষয়, এটা ঠিক আলো নয়। 

এদিকে সম্প্রতি একদল গবেষক মত দিয়েছেন যে, মহাবিশ্ব একটা আলো থেকে তৈরি হয়েছে, যদিও এই মত সবাই বা সব বিজ্ঞানী সমর্থন করেনি। 

তবে বিজ্ঞানকে সবকিছুর চূড়ান্ত সমাধানকারী বা বিচার করার ভিত্তি ভাবলে আমাদের ভুল হবে। কারণ আজ থেকে অনেক বছর আগে যখন DNA টেস্ট ছিলনা, তখন কোন ব্যক্তিকে তার পিতামাতা কে তা তার পিতামাতা বলে যারা দাবি করছে তাদের কথাতেই বিশ্বাস রেখে মেনে নিতে হত। 

কোরানের কোন এক আয়াতে মানুষের সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বলা হয়েছে যা অনেকটা এরকম যে, আমরা আসমান-জমিনের যেখানে ইচ্ছা ভ্রমণ করিনা কেন, আমরা আমাদের সীমার বাইরে কিছুই করতে পারবো না, আমাদেরকে যতটুকু জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তার বাইরে কিছুই করার যত চেষ্টাই করিনা কেন আমরা ব্যর্থ হব। 

আমরা যদি কোন কিছু তৈরি করি সেটা কিন্তু সেটার সামর্থ্যের বাইরে কিছু করতে পারবেনা এবং কে তাকে এই দক্ষতা দিয়েছে তা জানার বা বলার ব্যাপারে অক্ষম। 

তাই আমাদের যিনি সৃষ্টি করেছেন তার সম্বন্ধে জানা বা তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করা, তাকে খুঁজে বের করা আমাদের জন্য অসম্ভব কাজ। 

তারপরেও আল্লাহ আমাদের এমন কিছু দিয়েছেন যার দ্বারা আমরা চেষ্টা করলে তার অস্তিত্ব সম্বন্ধে উপলব্ধি করতে পারি, আর আল্লাহ সেই পথ সম্বন্ধে জানিয়েও দিয়েছেন। তাই বিশ্বাস সম্বন্ধে সন্দেহ থাকলে আমাদেরকে আমাদের নফসের উন্নতি ঘটাতে হবে আগে। 

নফসের অবস্থান হল কপালের মাঝ বরাবর ভেতরে এক জায়গায়, যা আউলিয়া কিরামদের কাছ থেকে জানতে পারা যায়। এদিকে কিছু গবেষক বলেছেন যে "পাইনিয়াল গ্লান্ড" এর কাছাকাছি একটা গ্রন্থি বা সেরকম কিছু আছে যা দূষিত হলে মানুষের বিবেকবোধ লোপ পায়। যদিও সেটাই নফস কিনা তা আরও গবেষণার বিষয়। 

যাহোক, মুসলিম হিসেবে Big Bang বা এসব বিষয় সম্বন্ধে খুব গভীরভাবে কম ভাবাই উচিত আমাদের। কারণ এগুলো জটিল মৌলিক বিষয় যা সম্বন্ধে গবেষণা চলমান এবং চূড়ান্ত কোন মতবাদ স্থির হয়নি এখনো। 

হয়তো আরও কয়েক বছর পরে Big Bang তত্ত্ব ভুল বলবে কেউ আর নতুন কোন তত্ত্ব হাজির করবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ