সবাইকে সালাম দিয়ে ইদের শুভেচ্ছা জানায়। আমি আপনাদের কাছে কিছু কথা বলব আমার ফ্রেন্ডের বর্ত্মান পরিস্থিতি নিয়ে। আমার বন্ধু সে একজন মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির ছেলে। সে অনার্সে অর্ধায়ন করছে। আর টুকিটাকি অনলাইন আউটসোর্সিং এর কাজ করে। যে সে একটা মেয়ের সাথে রিলেশনও করে। বলে রাখি ছেলে সুশীল শিক্ষিত ও সুন্দর। বাট প্রব্লেম হচ্ছে, কিছুদিন আগে তার বাবা বলে তার বিয়ের কথা নিয়ে। একটা আর্মির মেয়ের সাথে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছে। মেয়েকে বিয়ে করলে মেয়ের বাবা ছেলেকে আর্মিতে চাকরি দিবে। বিনিময়ে তার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। মেয়েটিও সুন্দর, আর মেয়েটির কোনো নেগেটিভ দিক নাই (এটি একদম কনফার্ম, কারন মেয়েটি ছেলের দাদা-দাদির বাসাতেই মানুষ হয়েছে। বন্ধুর দাদির একরকম আত্তীয় বলা যায়)। মেয়ের বাবা শুধু একজন ভাল ছেলে চায় যেটা একদম আমার বন্ধু। মেয়ের বাবা অনেক খুজাখুজি করে সবশেষে আমার বন্ধুর সাথে বিয়ে ঠিক করেছে। এখন প্রব্লেমটা হচ্ছে আমার বন্ধু এই বিয়েতে দিদাবোধ করছে, এইভেবে যে মেয়েটি তার জন্য পারফেক্ট কিনা, ভবিষ্যতে তার সাথে সংসার করতে পারবে কিনা। অথচ যে নিযেও চায় তার আর্মিতে চাকরি হোক। এমতবস্থায় তাকে কি উপদেশ দেয়া যায় প্লিজ বলেন.... ধন্যাবাদ
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

আমরা যে শিক্ষা অর্জন করছি,শিক্ষার উদ্দেশ্য কি?উদ্দেশ্য হলো-নিজের ক্যারিয়ার গড়া,মা-বাবাও দেশের সেবা করা৷
যারা উচ্চ থেকে উচ্চতর শিক্ষায় আগ্রহী তাদেরও একই উদ্দেশ্য, বাকি তাদের একটা জিনিস বেশি থাকতে পারে সেটা হলো,নিজের পরিতৃপ্তি, শিক্ষার আগ্রহ!
কথা হলো-এখানে আপনার বন্ধু এ প্রস্তাবে রাজি হলে,সব উদ্দেশ্যই মোটামুটি সফল হয়৷
আরো বড় কথা হলো,বিয়ে একটি ইবাদত! আজ নয় কাল করতেও হবে৷ শুধু প্রয়োজন একজন সৎ ও সৎচরিত্রবান মেয়ের৷ তাও পেয়ে গেলো৷ একথার ব্যাখ্যা-আপনিই দিলেন৷
সুতরাং -এতে দ্বিমত পোষণ করার কিছু নেই৷
উল্লেখ্য -এক,মেয়ের বাবা ছেলের উপর যে দয়া করছে তা অবশ্যই যেন যৌতুক হিসেবে না হয়৷ একজন শাশুড়ের দায়িত্ব থেকে হতে পারে৷
দুই,আপনার বন্ধু নিজের অন্তরের আত্মতৃপ্তির জন্য এস্তেখারাও করতে পারে৷
[শরীয়তের পরিভাষায়: দু’ রাকাত নামায ও বিশেষ দু’আর মাধ্যমে আল্লাহর তায়ালার নিকট পছন্দনীয় বিষয়ে মন ধাবিত হওয়ার জন্য আশা করা। অর্থাৎ দু’টি বিষয়ের মধ্যে কোনটি অধিক কল্যাণকর হবে এ ব্যাপারে আল্লাহর নিকট দু রাকাত সালাত ও ইস্তিখারার দুয়ার মাধ্যমে সাহায্য চাওয়ার নামই ইস্তেখারা।
ইস্তিখারার হুকুম: এটি সুন্নাত
ইস্তিখারা কখন করবে:-
মানুষ বিভিন্ন সময় একাধিক বিষয়ের মধ্যে কোনটিকে গ্রহণ করবে সে ব্যাপারে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যায়। কারণ, কোথায় তার কল্যাণ নিহীত আছে সে ব্যাপারে কারো জ্ঞান নাই। তাই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য আসমান জমীনের সৃষ্টিকর্তা, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত সকল বিষয়ে যার সম্যক জ্ঞান আছে, যার হাতে সকল ভাল-মন্দের চাবী-কাঠি, সেই মহান আল্লাহর তায়ালার নিকট উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করতে হয়। যেন তিনি তার মনের সিদ্ধান্তকে এমন জিনিসের উপর স্থীর করে দেন যা তার জন্য উপকারী। যার ফলে তাকে পরবর্তীতে আফসোস করতে না হয়। যেমন, বিয়ে, চাকুরী, সফর ইত্যাদি বিষয়ে ইস্তেখারা করতে হয়।]
নিয়মটা আমার দেওয়া অন্য একটি প্রশ্নোত্তর এ আছে!লিংক
https://www.bissoy.com/1114684/


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ