আমরা যে শিক্ষা অর্জন করছি,শিক্ষার উদ্দেশ্য কি?উদ্দেশ্য হলো-নিজের ক্যারিয়ার গড়া,মা-বাবাও দেশের সেবা করা৷
যারা উচ্চ থেকে উচ্চতর শিক্ষায় আগ্রহী তাদেরও একই উদ্দেশ্য, বাকি তাদের একটা জিনিস বেশি থাকতে পারে সেটা হলো,নিজের পরিতৃপ্তি, শিক্ষার আগ্রহ!
কথা হলো-এখানে আপনার বন্ধু এ প্রস্তাবে রাজি হলে,সব উদ্দেশ্যই মোটামুটি সফল হয়৷
আরো বড় কথা হলো,বিয়ে একটি ইবাদত! আজ নয় কাল করতেও হবে৷ শুধু প্রয়োজন একজন সৎ ও সৎচরিত্রবান মেয়ের৷ তাও পেয়ে গেলো৷ একথার ব্যাখ্যা-আপনিই দিলেন৷
সুতরাং -এতে দ্বিমত পোষণ করার কিছু নেই৷
উল্লেখ্য -এক,মেয়ের বাবা ছেলের উপর যে দয়া করছে তা অবশ্যই যেন যৌতুক হিসেবে না হয়৷ একজন শাশুড়ের দায়িত্ব থেকে হতে পারে৷
দুই,আপনার বন্ধু নিজের অন্তরের আত্মতৃপ্তির জন্য এস্তেখারাও করতে পারে৷
[শরীয়তের পরিভাষায়: দু’ রাকাত নামায ও বিশেষ দু’আর মাধ্যমে আল্লাহর তায়ালার নিকট পছন্দনীয় বিষয়ে মন ধাবিত হওয়ার জন্য আশা করা। অর্থাৎ দু’টি বিষয়ের মধ্যে কোনটি অধিক কল্যাণকর হবে এ ব্যাপারে আল্লাহর নিকট দু রাকাত সালাত ও ইস্তিখারার দুয়ার মাধ্যমে সাহায্য চাওয়ার নামই ইস্তেখারা।
ইস্তিখারার হুকুম: এটি সুন্নাত
ইস্তিখারা কখন করবে:-
মানুষ বিভিন্ন সময় একাধিক বিষয়ের মধ্যে কোনটিকে গ্রহণ করবে সে ব্যাপারে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যায়। কারণ, কোথায় তার কল্যাণ নিহীত আছে সে ব্যাপারে কারো জ্ঞান নাই। তাই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য আসমান জমীনের সৃষ্টিকর্তা, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত সকল বিষয়ে যার সম্যক জ্ঞান আছে, যার হাতে সকল ভাল-মন্দের চাবী-কাঠি, সেই মহান আল্লাহর তায়ালার নিকট উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করতে হয়। যেন তিনি তার মনের সিদ্ধান্তকে এমন জিনিসের উপর স্থীর করে দেন যা তার জন্য উপকারী। যার ফলে তাকে পরবর্তীতে আফসোস করতে না হয়। যেমন, বিয়ে, চাকুরী, সফর ইত্যাদি বিষয়ে ইস্তেখারা করতে হয়।]
নিয়মটা আমার দেওয়া অন্য একটি প্রশ্নোত্তর এ আছে!লিংক
https://www.bissoy.com/1114684/