আপনি এবারের মতো আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে তাওবা করুন!এবং আর কখনো এই হারাম কাজে,নির্লজ্জ কাজে পা বাড়াবেন না,মানে করবেন না৷ আপনার স্ত্রীর যত্ন নিন৷ সুস্থ্য হয়ে উঠবে৷
স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস কবিরা গুনাহ। কেননা, এটা হারাম হওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট দলিল আছে। এমনকি ইমাম তাহাবি রহ বলেন, এর নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত হাদিসগুলো মুতাওয়াতির (বর্ণনা-পরম্পরার প্রতিটি স্তরেই রয়েছে বৃহৎ জনসংখ্যা।) (শরহু মাআনিল আসার ৩/৪৩)
যেমন,
১. আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا فَقَدْ بَرِئَ مِمَّا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ ﷺ সে তার স্ত্রীর পশ্চাদদ্বারে সংগম করে; সে যেন আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক মুহাম্মদ ﷺ -এর উপর নাযিলকৃত দীন হতে মুক্ত হয়ে গেল। (আবু দাউদ ৩৯০৪)
২. ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, لَا يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَى رَجُلٍ أَتَى امْرَأَةً فِي الدُّبُرِ যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে স্ত্রীর পায়ুপথে যৌন মিলন করে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না। (তিরমিযি ১১৬৫)
৩. আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,مَلْعُونٌ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَ যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে নিতম্বে সহবাস করে সে লা’নত প্রাপ্ত। (আবু দাউদ ২১৬২)
৪. খুযাইমা ইবন সাবিত রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ لَا تَأْتُوا النِّسَاءَ فِي أَدْبَارِهِنَّ হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহ তা’আলা সত্য কথা (প্রকাশের) ব্যাপারে লজ্জা করেন না। তোমরা স্ত্রীলোকদের পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করো না। (ইবনু মাজাহ ১৯২৪)
দুই. উল্লেখ্য, স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের দেহ থেকে সব উপায়ে সুখ নেয়ার অনুমতি ইসলামে আছে। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেতস্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবেই ইচ্ছা তোমাদের ক্ষেতে গমণ কর। (সূরা বাকারা ২২৩)
তবে যে উপায়ে সুখ নেয়া হারাম হওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট দলিল আছে, তা পরিহার করতে হবে। যেমন, মলদ্বারে সহবাস এবং ঋতুবতী ও প্রসব পরবর্তী সময়ে নির্গত রক্তস্রাব অবস্থায় সহবাস।
মুজাহিদ রহ. আয়াতের তফসিরে বলেন, قَائِمَةً وَقَاعِدَةً وَمُقْبِلَةً وَمُدْبِرَةً فِي الْفَرْجِ ‘দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায়, সামনের দিক থেকে এবং পিছনের দিক থেকে (সঙ্গম করতে পারো, তবে তা হতে হবে) স্ত্রীর যোনিপথে।’ ( দুররে মানছুর ১/২৬৫ তাফসীর তাবারী ২/৩৮৭-৩৮৮ মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ৪/২৩২)
মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, إِنْ شَاءَ مُجَبِّيَةً ، وَإِنْ شَاءَ غَيْرَ مُجَبِّيَةٍ ، غَيْرَ أَنَّ ذَلِكَ فِي صِمَامٍ وَاحِدٍ স্বামী ইচ্ছে করলে উপুড় করে, ইচ্ছা করলে উপুড় না করে তবে একই দ্বারে (যোনিপথে) হতে হবে। (মুসলিম ১৪৩৫)
والله اعلم بالصواب
আপনি দ্রুত একজন গাইনি ডাক্তারের বা যৌনবিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান আপনার স্ত্রী কে। অবহেলা করবেন না দ্রুত ডাক্তার দেখান। আপনি ইসলামের দৃষ্টিতে একটি জঘন্য এবং মারাত্মক গুনাহের কাজ করেছেন এর জন্য আপনাকে কিয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে জবাব দিহি করতেই হবে। আর কোনোদিক এই ধরনের কাজ করবেন না, আপনি আল্লাহর কাছে তাওবা করুন এবং আপনার স্ত্রী কে বলুন যে আপনি আর কখন এরকম কাজ করবেন না।