আমি ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট সম্পর্কে কিছু তত্ত্ব জানতে চাই। আমি যে বিষয়টি জানতে চাচ্ছি সেটি হচ্ছে 

১। মূলত ডাচ বাংলা এজেন্ট কি?  এবং সেটি কেন দেওয়া হয়। 
২। এটি কি মূলত জেলায় ভিক্তিক দেওয়া হয় নাকি ইউনিয়ন ভিক্তিক দেওয়া হয়। 
৩। এটা কি অনেক টা একটা কোম্পানির  ডিস্ট্রিবিউশন এর মত না অন্য কিছু। 
৪। এটা মূলত তারা কাদেরকে দিয়ে থাকে। নাকি সেটা চালাবার মতো যেকোনো সাধারন মানুষের কেউ দিয়ে থাকেন। 
৫। এটি নিতে কি কি লাগে এবং এটা নিতে কত টাকা লাগে।
৬। এজেন্ট নেবার পর সেই ব্যক্তির মাসিক ইনকাম কেমন হবে।
উপরোক্ত বিষয় গুলো বা এই এজেন্ট সম্পর্কে আর কোন কিছু তত্ব থাকলে  আমাকে ভালো করে একটু বুজিয়ে বলবেন। 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
AbdulHalim

Call

১।এজেন্ট বলতে মূলত মূল প্রতিষ্ঠানকে সহায়তাকারীকে নির্দেশ করে। সাধারণত ব্যাংক কোন স্হানে নতুন ব্রাঞ্চ ওপেন করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কে ব্রাঞ্চ খোলার নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে  অনুমোদন নিতে হয়।তাই কিছু রেস্ট্রিকশন, মূলধন এবং সিকিউরিটি ইত্যাদির কারণে সব জায়গায় ব্যাংক ব্রাঞ্চ খুলতে পারে না।বিশেষ করে প্রত্যান্ত কিংবা একেবারে গ্রামাঞ্চলে ব্রাঞ্চ দেয়া সম্ভব হয় না।এক্ষেত্রে গ্রামের মানুষদের টাকা বিক্ষিপ্তভাবে থাকে এবং কিছু এনজিও এ সুযোগটা নিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে।তাই ব্যাংলাদেশ ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং ধারণা টা চালু করে যাতে করে তৃণমূলের মানুষদের ক্ষুদ্র অর্থ কে ব্যাংকিং চ্যানেল এ নিয়ে আসা যায় এবং তাদেরকে ব্যাংকিং সেবার  আওতায় নিয়ে আসা যায়। ২। এটা জেলা,উপজেলা কিংবা ইউনিয়ন ভিত্তিক যে কোনটিই হতে পারে তবে সাধারণত যে অঞ্চলে ব্যাংক সেবার পরিধি কম সে অঞ্চলকে এজেন্ট ব্যাংকিং এর জন্য বিবেচনা করা হয়। ৩। হ্যাঁ, এটা অনেকটা কোম্পানি ডিস্টিবিউটরের মতো তবে পার্থক্য হলো এজেন্ট ব্যাংকিং এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের  স্পেসিফিক নির্দেশনা আছে।     ৪। আইটি ব্যবহারেে সক্ষম এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে এমন সামর্থ্যবান যে কোন ব্যক্তি এজেন্ট ব্যাংকিং এর জন্য আবেদন করতে পারে।এছাড়াও সরকারি যে কোন প্রতিষ্টান, যে কোন সংস্হা, ইউনিয়ন পরিষদ, পোস্ট অফিস ইত্যাদি এজেন্ট হতে পারবে। ৫। এজেন্ট  নিতে হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আবেদন করতে হয়।এক্ষেত্রে ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট সবকিছু ভেরিফাই করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করে। যে ব্যাংকের এজেন্ট নিবে সে ব্যংকের হেড অফিসে একটা কারেন্ট একাউন্ট খোলা লাগে এবং সেখানে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা জমা রাখতে হয়।এমটিবি তে এর পরিমাণ হলো ৫০০০০০ টাকা।এবং আরো কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ডেইলি ট্রানজেকশন এর জন্য নিজের কাছে রাখতে হয়।         ৬। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুয়ায়ী কোন এজেন্ট গ্রাহককে সেবা দেয়ার বিপরীতে গ্রাহক থেকে অতিরিক্ত কোন চার্জ নিতে পারবে না।সংশ্লিষ্ট ব্যাংকই এজেন্টকে কমিশন প্রদান করবে। মাসিক আয় টা নির্ভর করে মাসিক ট্রানজেকশন এর পরিমাণ এবং এর ধরন অনুযায়ী।ট্রানজেকশন যত বেশি হবে আয়ও তত বাড়বে। উল্লেখ্য, এজেন্ট গ্রাহক কে কি কি সেবা দিবে তা নির্দিষ্ট করা থাকে। বিঃদ্রঃ বানান ত্রুটি ক্ষমা করবেন।                   

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ