পদ্মা সেতুতে মানুষের কাল্লা লাগছে কথাটি গুজব। বিস্তারিত এখানে
কথাটি অনেক বেশি ভাইরাল হয়েছে।নিশ্চিত করে কোন নিউজেই এ পর্যন্ত আমি দেখিনি।তবে ফেসবুকে,অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে।আমি আজকে Google এ একটি নিউজ দেখলাম,যেখানে পড়লাম র্যাব নাকি ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পদ্মাসেতুর নামে মানুষ খুন করার ব্যাপারে।সেখানে তাদের নাম,বয়সও দেওয়া হয়েছিল।তাদের ধারণা এই যে পদ্মা সেতু নাকি রক্ত চাই।বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে মানুষকে সতর্ক করছে।তবে আমি এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।আমার মনে হয় কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী নিজেদের কোন লালসা বা উদ্দেশ্য পূরণে পদ্মা সেতুর নাম দিয়ে এ কাজ করছে।ভুল হলে ক্ষমা করবেন।ধন্যবাদ।
বরিশাল নগরীসহ জেলার প্রত্ গ্রামাঞ্চলের চায়ের দোকানের আড্ড হাট-বাজার, বিদ্যালয় থেকে বাসাবাড়ি গত কয়েকদিন ধরে একটি বিষয় আলোচ কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। আর সেটি হ ‘কল্লাকাটা বা মাথাকেটে নিয়ে যাওয়া’ এনিয়ে আজব আজব গল্পও ছড়াচ্ছে মুখে মু যা সবই আতকে ওঠার মতো। কোন এক সেতু নাকি মানুষের ‘কল্লা’ লাগবে! কেউ শুনে ১০০টি আবার কেউ শুনেছে বিশ হা ‘কল্লা’। কেউ শুনেছে ত্রিশ হাজার ‘কল্ দিতে হবে। সে ছোট ছেলে-মেয়ে হোক যেকোন বয়সের। এমন কথা মুখে মুখে। কেউ শুনেছে নগরীর রূপাতলী থেকে দু’জ ‘কল্লা’ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেউ শুন ছোট বাচ্চাদের ‘কল্লা’ নেওয়ার সময় নগরী একজনকে ও গৌরনদীতে তিনজনকে করেছে স্থানীয় লোকজন। এনিয়ে রীত বাগ্বিতণ্ডাও চলছে। যদিও এসব বিষয়ে কেউই চোখে দেখেন সবাই শুনেছেন। আর এই শোনা থে আলোচনা। এখন যা ক্রমেই আতংকে নিয়েছে। ফলে গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতেও সন্তান একা ছাড়ছেন না অভিভাবকরা। সম অভাবে অভিভাবকরা সাথে যেতে না পার সন্তানকে স্কুলে পাঠানো হচ্ছে না। ফলে এক সপ্তাহ থেকে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে গেছে। শুধু শিশুদের জন্যই নয়; আতংক রয়েছে বড় জন্যও। নগরীর ২৬নং ওয়ার্ড হরিণাফুল এলাকার বাসিন্দা নয়ন হাওলাদার বল একটু রাত করে বাড়িতে ফিরলেই বউ ঝাঁঝালো কথা শুনতে হয়। বাড়িতে না ফ পর্যন্ত পরিবারের লোকজন থাকে দুশ্চিন্ত এই বুঝি তিনি (নয়ন) বিপদে পড়লো আতঙ্কের কথা বলছেন স্বজনরা। ডেফুল এলাকার বাসিন্দা কোব্বাত আলী হাওলা জানান, তার স্ত্রী শুনেছেন ঘর থেকেও ক কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদের টিনের তাই নির্ঘুম রাত কাটে কোব্ হাওলাদারের স্ত্রীর। নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের ইন্দ্রকাঠী সরক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান ধরণের গুজবে অভিভাবকরা স্বভাবতই উদ্ব হয়ে পরেছেন। তবে গত কয়েকদ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা কমল অভিভাবকদের সংখ্যা বেড়েছে ব শিক্ষকরা উল্লেখ করেন। সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয় ধর্মাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ হান হাওলাদার জানান, গুজবটি এখন মহাম আকার ধারণ করেছে। সবার মধ্যেই বির করছে আতঙ্ক। এ আতঙ্ক এখন ঘরে ঘরে প গেছে। সূত্রমতে, গত শুক্রবার রাতে নগরীর ডেফুল এলাকার নুরু খান মাথায় সাজ ‘বড়া’ (বড়শি ) নিয়ে মাছ ধরতে বের হন। ১২টার দিকে ভাঙ্গারপুল নামক স্থান দ যাবার সময় জানালা দিয়ে এক নারী তা দেখে ভয়ে ‘কল্লাকাটা, কল্লাকাটা’ চিৎকার শুরু করেন। এসময় চারদিক থে লাঠি-সোটা নিয়ে স্থানীয়রা তাকে ( খান) ঘিরে ফেলে। ওই নারীর বক্তব্য ছি সাজি ভর্তি ‘কল্লা’ অর্থাৎ মানুষের মা অবশেষে দেখা যায় তার মাথায় বরশি লোকটিও স্থানীয়, দূরের কেউ নয়। ধারণা হচ্ছে এভাবেই ছড়াচ্ছে এই গুজব। একাধিক অভিভাবক জানান, কোথায় না ‘কল্লা’ দিতে হবে। স্বাভাবিকভা সন্তানদের সাথে স্কুলে যেতে হচ্ছে। কখ একা পাঠালে ঘরে না ফেরা পর্ দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। তাদের দাবি বিষ গুজব হলেও সরকারের উচিত ভয় কাটান ব্যবস্থা করা। এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা পুলিশ সু মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, বিষ পুরোপুরি গুজব। আমাদের কাছে এধর কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে কো এলাকায় সন্দেহজনক নতুন লোক দেখ নিকটস্থ পুলিশকে জানানোর জন্যও ত এলাকাবাসীর প্রতি আহবান করেন। বিষয়টি পুরোপুরি গুজব দাবি করে পু কর্মকর্তারা তাদের ফেসবুক পেজে একাধ স্ট্যাটাস পোষ্ট করেছেন। অপরদিকে জ প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান এধর আজগুবি গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সক প্রতি অনুরোধ করেন। #নয়া দিগন্ত নিউজ।