কি করে বলব বুঝতে পারছি না, আসলে সমস্যা টা আমার আব্বুকে নিয়ে।উনি বিদেশ থাকতেন। বিদেশে থাকা অবস্থায় অনেক টাকা উপার্জন করেন। দাদার আর্থিক অবস্থা বেশি ভালো ছিল না। সেই সময় জমি বিক্রি করে আব্বুকে বিদেশ পাঠানো হয়েছিল।আব্বু চার ভাইয়ের মাঝে বড় ছিলেন। একটু পেছন থেকে বলি। এসএসসি এক্সাম এর সময় আব্বুকে বহিষ্কার করা হলে আব্বু ঢাকা চলে যায়। তখন আম্মুকে আব্বু বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে । দাদা ছাড়া আম্মুকে কেউ মেনে নেয় নি। দাদা ভালো ছিলেন। প্রথম থেকেই দাদু মেনে নেননি আম্মুকে।দাদুর মন পাবার জন্য আম্মুকে সংসারের সব কাজ করতে হত আম্মুর বয়সও তখন বেশি না। আম্মু্কে মরিচ বাটতে হত কারণ দাদুর নাকি ভাঙানো মরিচ খেতে ভালো লাগে না। ১৯৯৬ এর ঘুর্ণিঝড়ে আমাদের অনেক ফসলি জমি শেষ হয়ে যায় তখন আব্বু বিদেশ যান। বিয়ের সাত বছর পর ২০০২ সালে আমার জন্ম।আমার দাদা ২০০০ সালেই মারা যান। তখন আর আম্মুকে দেখার কেউ থাকেনি। আব্বুও বিদেশে। তখন সুযোগ পেয়ে আম্মুকে কাকারা মেরেছে বিভিন্ন সময়।আব্বুকে বললে আব্বু কিছুই বলত না।আব্বু বিদেশে থেকে যা সম্পত্তি উপার্জন করেছিলেন সব চার ভাই এর নামে রেখেছিলেন। যদিও আমার এক চাচা বিদেশ ছিল। তবে সে সব কিছু নিজের নামেই রেখেছিলেন। কাওকে কিছু দেননি।  এখন সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা। আগে ভাল থাকলেও আব্বুর ব্যাবহার দিন দিন খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। আমাদের সবার সাথেই খারাপ ব্যাবহার করে।কিছু বললেই মারতে আসে আর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেয়।ঘরের সব কথা বাইরের মানুষ এর কাছে গিয়ে বলে। আমার আম্মুকে অনেক মানসিক অত্যাচার করে।ঈদ এ জামা কেনার টাকা দিতে বললে বলে কাপড় কেনার দরকার নাই।তাও আম্মু অনেক কষ্টে ৫০০০ টাকা নিয়ে আমাদের ৪ ভাই বোন এর জামা কিনে এখন এইটা নিয়ে আম্মুকে কথা শুনতে হয়।  আমি এসএসসি এক্সাম দিয়েছি। এইবার আমাকে জেলার বাইরে পড়তে দিবে না। বাইরে গেলে হয়ত কয়েকটা টিউশনি করে আমি উপার্জন এর রাস্তা পাব। কারন বাসায় তো আমাকে ঘর থেকেই বের হতে দেয়না। আম্মু বলে কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকলে আম্মু চলে যেত।এখন আমিও থাকতে চাই না আব্বুর সাথে। আমি এখন কি করতে পারি?আমি সবার বড় মেয়ে।  কি যে করি বুঝতে পারছি না। সহ্য করাটাও অসম্ভব হয়ে পড়ছে দিন দিন। কি করলে আমার জন্য ভাল হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে