আল্লাহর সন্তান আছে এমন কথা ভাবা কিংবা বলা কি শিরকে আকবর। কেননা, আল্লাহ তাআলা স্ত্রী-সন্তান গ্রহণ করা থেকে পুত-পবিত্র। তিনি একক, তাঁর কোন দ্বিতীয় নেই। এছাড়া আল্লাহ তাআলার সাথে শরীক নির্ধারণ করা তাঁকে কষ্ট দেয়ার শামিল। তারা বলে যে, মহান আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি অতি পবিত্র, বরং যা কিছু আকাশসমূহে এবং ভূমণ্ডলে আছে সবই তাঁর, সকলই তাঁর অনুগত। (আল বাকারাঃ ১১৬) আয়াত দ্বারা ইয়াহূদী, খ্রিস্টান ও মুশরিকদের কথার প্রতিবাদ করা হয়েছে। তাদের কথা আল্লাহ তাআলার সন্তান আছে। যেমন অন্যত্র আল্লাহ তাআলা তাদের কথা তুলে ধরেছেনঃ ইয়াহূদীগণ বলে, উযায়ের আল্লাহর পুত্র, এবং খ্রিস্টানগণ বলে, মাসীহ আল্লাহর পুত্র। সেটা তাদের মুখের কথা। পূর্বে যারা কুফরী করেছিল তারা তাদের মতো কথা বলে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন। আর কোন দিকে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে! (সূরা তাওবাহঃ ৩০) তিনি আরো বলেনঃ তারা নির্ধারণ করে আল্লাহর জন্য কন্যা সন্তান। (সূরা নাহলঃ ৫৭) আল্লাহ তাআলা সবকিছুর একচ্ছত্র মালিক। তিনি সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, সবকিছুর নিয়ন্ত্রণকারী ইত্যাদি। সবকিছু তাঁরই মুখাপেক্ষী। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। আল্লাহ তা‘আলার সমতুল্য কেউ নেই, কোন দৃষ্টান্ত নেই। তাই কিভাবে তাঁর সন্তান বা স্ত্রী থাকতে পারে? তিনি আরো বলেন, আর সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভন নয়! আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, যে দয়াময়ের নিকট বান্দারূপে উপস্থিত হবে না। (সূরা মারইয়ামঃ ৯২-৯৩) ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, আদম সন্তান আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। অথচ এটা তার উচিত নয়। আদম সন্তান আমাকে গালি দেয়, অথচ তা উচিত নয়। আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হল তাদের বিশ্বাস তারা যেমন ছিল সেরূপ ফিরিয়ে আনতে আমি সক্ষম নই, আর আমাকে গালি দেয়া হল- তারা বলে আমার সন্তান আছে। আমি পবিত্র কোন স্ত্রী বা সন্তান গ্রহণ করা থেকে। (সহীহ বুখারীঃ ৪৪৮২)