বাংলাদেশের কিছু সম্ভাবনা আছে, চেষ্টা করলে সেমি ফাইনাল অথবা ৫ম দল হওয়া সম্ভব।
প্রথমত চারটি দলকে অবশ্যই হারাতে হবে যাদের আমরা রেগুলারলি হারাই-
-
শ্রীলঙ্কা
-
আফগানিস্তান
-
পাকিস্তান
-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
তবে প্রত্যেক দল খুবই শক্তিশালী, তাই এদের হারানোও যথেষ্ট কষ্টকর হবে, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে আসলে জানা যেত যে কেমন করা যাবে। ভারত যেহেতু ফেবারিট দল, তাদের হারানোর চিন্তা করাটাই বড়।
অন্যান্য শক্তিশালী দলগুলো থেকে একটি বা দুইটি দলকে যদি হারানো যায় তাহলে দেশবাসী সন্তুষ্ট। তাই এই চেষ্টাটাই দল করবে।
তবে আমাদের বিশাল কিছু দুর্বলতা আছে। যেমন-
-
কোনো লেগ স্পিনার বা বিশেষজ্ঞ স্পিনার নেই। দুজন যে স্পিনার আছে তার মধ্যে সাকিব আল হাসান পেস পিচে কার্যকরী হলেও মেহেদি হাসান মিরাজ এখনো পরিক্ষীত নন। তবে এটা চিন্তার বিষয় হলেও তারা সেরা দিয়ে চেষ্টা করলে সম্ভব।
-
কোনো হাই স্পিডের পেসার নেই, মুস্তাফিজের ফর্ম নেই। আমাদের রুবেল আছে যে বেশ ভালোই স্পিড তুলতে পারে। কিন্তু মোস্তাফিজের বলে পেস নেই এবং সে জঘন্য ফর্মে যাচ্ছে। গতকালের ম্যাচে তাও যা করেছে, তবে তার ফর্ম এবং বোলিংএ ভেরিয়েশন আনা জরূরী। তবে রুবেলকে একাদশে রাখাও জরূরী, কারণ গতি ছাড়া পেস বোলিংএ কাজ হবে না।
-
পাওয়ার হিটার কোনো ব্যাটসম্যান নেই। আমাদের তামিম থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেললেও স্ট্রাইক রেট ঠিক রাখতে পারে না। অনেক বেশি বল খেলে ফেলে। সৌম্য এবং লিটন বাউন্ডারি এবং সিক্স মারতে পারে, সৌম্য তো ঝড় তোলায় ওস্তাদ। মুশফিকও টেকনিকালি দারুন আর মিডল অর্ডারের কয়েকজন মোটামুটি পারেন। তবে সত্যিকার অর্থে ঝড় তোলার কাজটা সেভাবে কেউ পারে না যে কারনে ৩০০+ রান করতে পারি না। মোসাদ্দেক বা সাব্বির দুজনেই পাওয়ার হিটিং পারেন, কিন্তু তাদের ফর্ম সবসময় নেই আর তারা নির্ভরযোগ্যও হয়ে উঠেন নি। মাহমুদুল্লাহ মাঝে মাঝে করেন কিন্তু একেকদিন একেকজন করবে এরকম থাকলে ৩০০+ রান করা অসম্ভব। যেমন কালকে দুইজন ভালো করলেও আর কেউ ফিনিশিং এর ধার ধারে নি।
এগুলোই মূলত সমস্যা। আমাদের কোনো বিশেষত্ত্ব নেই, কিন্তু সব মিলিয়ে সবাই ভালো খেললে অনেক কিছুই সম্ভব। তবে আমাদের ধারাবাহিকতার বড়ই অভাব।