এখনো অনার্সে আগের পুরাতন মুখস্থ নির্ভর সনাতনী পদ্ধতিতে পড়ানো হয়।আমার প্রশ্ন হলো যে,সরকার যদি এর পরিবর্তে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃজনশীল ব্যবস্থা চালু করে তাহলে বাংলাদেশের শিক্ষার মান কী বাড়বে?আর আরেকটা প্রশ্ন হলো যে অনার্সে কী সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান করানো যায়?নাকি অনার্সের বইগুলো সৃজনশীলের উপযুক্ত নয়?              
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

অনার্স উচ্চতর শিক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।এখানে পরীক্ষা পদ্ধতি যেরকম আছে সেটাই ভাল।এখানে সৃজনশীল পদ্ধতি অবলম্বন করলে পড়ার মান কমে যাবে।একটা উদাহরণ দেয়া যাক,রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নির্বাচিত বৈদেশিক সরকার বইয়ের একটি রচনামূলক প্রশ্ন হল,ব্রিটিশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।এখানে যদি সৃজনশীল প্রশ্ন করা হয় তবে এটা ৪ মার্কের প্রশ্ন হবে।এতে ৩ টা পয়েন্ট উল্লেখ করলেই যথেষ্ট।তারজন্য বই খুলে পড়তেও হবে না।তাহলে লাভ হল কি?আবার যদি পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তায় প্লেটোর শিক্ষাব্যবস্থার পুরোপুরি বিশ্লেষণ ৪ মার্কের প্রশ্নে সম্ভব না।এইচ এস সি পর্যন্ত ১০০ মার্কের পরীক্ষা ৩ ঘন্টায় দিতে হয়।সেখানে অনার্সে ৮০ মার্কের পরীক্ষা ৪ ঘন্টায় দিতে হয়।তাতেও সময় বাঁচে না।এখানে পরীক্ষা সৃজনশীল নিলে পড়াশোনার মান কি রকম হবে তা বলার প্রয়োজন পড়ে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ