আসলে ভাই এই অর্থবাচকতা এবং অর্থদ্যোতকতা বিষয়টা কি ?আর উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে কেন?একটু ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যেসব অব্যয় মূল শব্দ বা ধাতুর সঙ্গে মিলে বা ধাতুকে অবলম্বন করে ওই ধাতুর নানা অর্থের সৃষ্টি করে, তাদের উপসর্গ বলা হয়। বাংলা ভাষায় ব্যবহূত উপসর্গগুলোর কোন অর্থবাচকতা নেই, শুধু মূল শব্দ বা ধাতুর আগে এরা ব্যবহূত হলেই এদের অর্থদ্যোতকতা শক্তি দৃষ্ট হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়: ‘অনা’ একটি উপসর্গ। এর নিজের কোনো অর্থ নেই। কিন্তু ‘আবাদ’ শব্দের আগে ‘অনা’ শব্দটি ব্যবহূত হয়ে ‘অনাবাদ’, অর্থাত্ ‘আবাদ নেই যার’ অর্থে ব্যবহূত হয়েছে। তেমনি এটা আচারের পূর্বে ব্যবহূত হয়ে অনাচার (আচার বহির্ভূত অর্থে) এবং সৃষ্টির আগে ব্যবহূত হয়ে অনাসৃষ্টি (অদ্ভুত অর্থে)। এরূপে ভিন্ন ভিন্ন অর্থদ্যোতকতা সৃষ্টি করেছে। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে যে উপসর্গসমূহের নিজস্ব কোনো বিশেষ অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হলেই এদের অর্থদ্যোতকতা বা সংশ্লিষ্ট শব্দের নতুন অর্থ সৃজনের ক্ষমতা সৃষ্টি হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ