মনসিক প্রশান্তির জন্য নিজে নিজে দম নিয়ে দম ছেড়ে গুরুর মতো না করে  নিজের মতো করে কোনো মেডিটেশন করলে কি ইসলামনুযায়ী হারাম নাকি হালাল?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ইসলামে ধ্যানমগ্ন থাকা জায়েয। কেননা, রাসূল (সঃ) ও ধ্যানমগ্ন থাকতেন৷ তবে হ্যাঁ - ধ্যান বা গভীর চিন্তা হতে হবে শুধুমাত্র সত্যের (আল্লাহ) জন্য, নতুবা তা জায়েয নয়। ইসলামিক তথ্যসূত্রানুসারে চল্লিশ বছর বয়সে মুহাম্মাদ (সঃ) নবুওয়াত লাভ করেন, অর্থাৎ এই সময়েই আল্লাহ তায়ালা তাঁর কাছে বাণী প্রেরণ করেন। আজ-জুহরি বর্ণিত হাদিসের অনুসারেঃ মুহাম্মাদ (সঃ) সত্য দর্শনের মাধ্যমে ওহি লাভ করেন। ত্রিশ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর মুহাম্মাদ (সঃ) প্রায়ই মক্কার অদূরে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় কাটাতেন। তাঁর স্ত্রী খাদিজা (রাঃ) তাঁকে নিয়মিত খাবার দিয়ে আসতেন। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী এমনিভাবে একদিন ধ্যানের সময় ফেরেশতা জিবরাইল (আঃ) তাঁর কাছে আল্লাহ প্রেরিত বাণী নিয়ে আসেন এবং তাকে এই পংক্তিকটি পড়তে বলেনঃ “পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তার নামে যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্তপিণ্ড থেকে। পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে, যা সে জানত না।” (সুরা আলাক, আয়াত নং ১-৫) জনাব! তাই পরিশেষে এ কথা বলা যায় যে, ইসলামের দৃষ্টিতে মেডিটেশন (ধ্যান) করা জায়েজ, তবে এ মেডিটেশন হতে হবে একমাত্র সত্যের জন্য। তাছাড়া, আপনি যদি মানসিক প্রশান্তির জন্য নিজে নিজে দম নিয়ে দম ছেড়ে গুরুর মতো না করে নিজের মতো করে কোনো মেডিটেশন করেন, তাহলে সেটি ইসলামী শরীয়তে বর্জনীয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ