উল্লেখ্য আমার বিয়ে হয়েছে আজকে ৫মাস, এরমধ্যে স্বামীর সাথে মাত্র ২মাস কাটানোর পর স্বামী বিদেশ চলে গেছেন ওনার বাড়িতে রেখে। এরপর ১মাস থাকার পর আমি আমার বাবার বাড়ি যাই,১৫দিন পর আসার কথা বললে আমার মা-বাবা রাজি হয়না (বিয়েটা ওনাদেরকে না বলেই করছিলাম নিজে পছন্দ করে) তাও আমি‌ বার বার আসার চেষ্টা করেছি স্বামীর বাড়িতে কিন্তু ব্যর্থ হয়ে স্বামীকে বিষয়টি জানিয়েছি। স্বামী আমার অবস্থাটি না বুঝে উল্টো আমাকেই দোষ দেয় এবং প্রতিশোধ নিতে আমার নামে নানান রকম বদনাম ছড়াতে থাকে আমার আত্মীয়-স্বজনের কাছে, উনি যাওয়ার যেসব ছবি ও ভিডিও দিতে বলছেন ওগুলো আমার বান্ধবীকে দিয়ে নানান বাজে কথা বলছেন যেখানে ওনাকে বিশ্বাস করে আমি দিয়েছিলাম। যার জন্য আমার পক্ষে ওনার ঘর করা আর সম্ভব হয়নি বলে আমি বাবার বাড়িতে থেকে গিয়েছি। এখন ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক আমার কি করা উচিৎ? স্বামীর সব অন্যায় মাফ করে দেওয়া নাকি তালাক দিয়ে দেওয়া? (দোয়া করে সঠিক উত্তর দিয়ে সাহায্য করুন,আমি অনেক কষ্টে আছি কি করবো বুঝছিনা)
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আল্লাহ তায়ালা মেয়েদেরকে সব থেকে বেশি যে গুনটি দান করেছেন সেটি হলো ধৈর্য্য। আর ধৈর্য্যের দিক দিয়ে নারীরাই সেরা। আপনি ধৈর্য্য ধারন করুন। ধীরে ধীরে এই বিষয়গুলো আপনি আপনার শশুর-শাশুরিকে বুঝিয়ে বলুন। আপনি কোনভাবেই রেগে যাবেন না। কে না চায় প্রিয় মানুষটার সাথে সারা জিবন কাটাতে! আর পুরুষেরা নিজের স্ত্রীদেরকে রেখে বাইরে গেলে সর্বদাই সন্দেহের উপর নির্ভর করে থাকে। তবে সবাই কিন্তু এক নয়। ইসলামি বিধান মতে নিজের স্ত্রীকে ঘরে রেখে বাইরে তিন মাস বা চল্লিশ দিন বাইরে থাকা যাবে না। চল্লিশ দিন পরে যদি স্ত্রী কোন পাপ কাজ করে তাহলে সেই পাপের ভার স্বামীকেই ভোগ করতে হবে। এজন্য বিবাহিত স্ত্রীকে রেখে বাইরে দীর্ঘ মেয়াদি কাজে যাওয়া উচিত নয়। যাই হোক আপনি সবকিছু ঠান্ডা মেজাজে গুছিয়ে নিন। আপনার সমস্যা আপনি ছাড়া কেউ সমাধান করতে পারবে না।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ