আমার বয়স ২৩, আমি একজন মেয়ে, আমার বিয়ের অনেক প্রপোজাল আসছে, আমার বাবা মাও আমাকে বিয়ে দিয়ে দিতে চায়,কিন্তু আমি কখনও বিয়ে করতে চাইনা, বিয়ে না হবার কি কোনো দোয়া/কালাম/ উপায় আছে, যাতে কখনও বিয়ে না হয়,কারো জানা থাকলে প্লিজ বলুন। 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি বিয়ে কেন করতে চান না??

বিয়ে করা রাসূল (সা:) এর সুন্নাত । অর্থাৎ বিয়ে করাটাও একটা আমল । বিয়ে না করে আপনার ইচ্ছে পূরণ হলেও মানসিক প্রশান্তি পাবেন না । আপনার এ কারণে পরবর্তীতে অনেক মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে ।
একজন মানুষ কখনোই বিয়ে ছাড়া তার জীবনকে সুন্দর ভাবে সাজাতে পারেনা । এছাড়াও প্রতিটি বাবা-মায়েরই ইচ্ছে থাকে নিজের সন্তানকে বিশেষ করে মেয়েকে ভালো ঘরে বিয়ে দিবে । 

আপনি যদি তাদের অবাধ্য হোন তাহলে তারাও মনে কষ্ট পাবে যা ইসলাম কখনোই সমর্থন করেনা । তাই আরো ভালোভাবে ভাবুন এবং নিজেকে ও বাবা-মাকে সুখী করতে উপযুক্ত পাত্র দেখে বিয়ে করে ফেলুন । দেখবেন ইনশাআল্লাহ অনেক ভালো থাকবেন ।

আর হ্যাঁ ইসলামে বিয়ে বন্ধের কোন দুআ নেই বরং বিয়ে যেন দ্রুত হয় এরকম দুআ ও আমল আছে । কারণ ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম, ইসলাম এমন কিছু সেখায়নি যার ফলে মানুষের অমঙ্গল হয় । 

আপনার জন্য অনেক দোয়া রইলো ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বিবাহের প্রয়োজনীয়তা আছে তবে কেন বিবাহ করবেন না? রাসূল (সাঃ) বলেনঃ বিবাহ করা আমার সুন্নত। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার সুন্নত অনুযায়ী আমল করে না, সে আমার দলভুক্ত নয়। সুতরাং বিয়ের বয়স হলে, যৌন-পিপাসায় অতিষ্ঠ হলে এবং নিজের উপর ব্যভিচারের আশঙ্কা হলে বিলম্ব না করে যেকোন যুবক যুবতীর বিবাহ করা ওয়াজেব। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, যার দ্বীন ও চরিত্র তোমাদেরকে মুগ্ধ করে, তার সাথে তোমাদের ছেলে কিংবা মেয়ের বিবাহ দাও। যদি তা না কর, তবে পৃথিবীতে বড় ফিতনা ও মস্ত ফাসাদ, বিঘ্ন ও অশান্তি সৃষ্টি হবে। (তিরমিযীঃ ১০৮৫, ইবনে মাজাহঃ ১৯৬৭) দেশীয় আইনে সাবালিকা হয় ১৮ বছর পূর্ণ হলে। মেয়ে রাজী না থাকলে কারো সাথে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া শরীয়তসম্মত নয়। যেহেতু মহানবী (সাঃ) বলেছেন, অকুমারীর পরামর্শ বা জবানী অনুমতি না নিয়ে এবং কুমারীর সম্মতি না নিয়ে তাদের বিবাহ দেওয়া যাবে না। আর কুমারীর সম্মতি হল মৌন থাকা। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ ৩০৫৮, সহীহ ইবনে মাজাহ ১৫১৬) আপনার পিতামাতা আপনাকে জোর করে বিবাহ দিতে পারছেন না তা শরীয়তসম্মত নয় বলে। তবে কেন বিবাহ করবেন না? মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করতে অভ্যস্ত। একাকী বাস তার সবভাব-সিদ্ধ নয়। তাই প্রয়োজন পড়ে সঙ্গিনীর ও কিছু সাথীর; যারা হবে একান্ত আপন। বিবাহ মানুষকে এমন সাথী দান করে। মানুষ সংসারে সবয়ংসম্পূর্ণ নয়। বিবাহ মানুষকে দান করে বহু আত্মীয়-সবজন, বহু সহায় ও সহচর। মানুষের প্রকৃতিতে যে যৌন-ক্ষুধা আছে, তা দূর করার বৈধ ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা হল বিবাহ। বিবাহ মানুষকে সুন্দর চরিত্র দান করে, অবৈধ দৃষ্টি থেকে চক্ষুকে সংযত রাখে, লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে। বিবাহের মাধ্যমে আবির্ভাব হয় মুসলিম প্রজন্মের। এতে হয় বংশ বৃদ্ধি, রাসূল (সাঃ) এর উম্মত বৃদ্ধি। পৃথিবী আবাদ রাখার সঠিক ও সুশৃঙ্খল বৈধ ব্যবস্থা বিবাহ। বিবাহ আনে মনে শান্তি, হৃদয়ে স্থিরতা, চরিত্রে পবিত্রতা, জীবনে পরম সুখ। বংশে আনে আভিজাত্য, অনাবিলতা। নারী-পুরুষকে করে চিরপ্রেমে আবদ্ধ। দান করে এমন সুখময় দাম্পত্য, যাতে থাকে ত্যাগ ও তিতিক্ষা, শ্রদ্ধা, প্রেম, স্নেহ ও উৎসর্গ। বিবাহ না হবার কোনো দোয়া কালাম নেই। তবে কোন বৈধ বিষয় বা কাজে যেমন, বিবাহের ব্যাপারে ভালো মন্দ বুঝতে না পারলে, মনে ঠিক-বেঠিক, উচিৎ-অনুচিত এমন দ্বন্দ্ব হলে আল্লাহর নিকট মঙ্গল প্রার্থনা করতে দুই রাকআত নফল নামায পড়ে নিম্নের দুআ পাঠ করবেন। اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوْبِ، اَللّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هذَا الأَمْرَ(--) خَيْرٌ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ وَعَاجِلِهِ آجِلِهِ فَاقْدُرْهُ لِيْ وَيَسِّرْهُ لِيْ ثُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ وَعَاجِلِهِ وَآجِلِهِ فَاصْرِفْهُ عَنِّيْ وَاصْرِفْنِيْ عَنْهُ وَاقْدُرْ لِىَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ رَضِّنِيْ بِهِ। উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আস্তাখীরুকা বিইলমিকা অ আস্তাক্বদিরুকা বি ক্বুদরাতিকা অ আসআলুকা মিন ফায্বলিকাল আযীম, ফাইন্নাকা তাক্বদিরু অলা আক্বদিরু অতা’লামু অলা আ’লামু অ আন্তা আল্লা-মুল গুয়ূব। আল্লা-হুম্মা ইন কুন্তা তা’লামু আন্নাহা-যাল আমরা (----) খাইরুল লী ফী দ্বীনী অ মাআ’শী অ আ’-ক্বিবাতি আমরী অ আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহ, ফাক্বদুরহু লী, অ য়্যাসসিরহু লী, সুম্মা বা-রিক লী ফীহ্‌। অইন কুন্তা তা’লামু আন্নাহা-যাল আমরা শারুল লী ফী দ্বীনী অ মাআ’শী অ আ’-কিবাতি আমরী অ আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহ্‌, ফাস্বরিফহু আ ন্নী অস্বরিফনী আনহু, অক্বদুর লিয়াল খাইরাহাইসু কা-না সুম্মা রায্বযিনী বিহ্‌। অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট তোমার ইলমের সাথে মঙ্গল প্রার্থনা করছি। তোমার কুদরতের সাথে শক্তি প্রার্থনা করছি এবং তোমার বিরাট অনুগ্রহ থেকে ভিক্ষা যাচনা করছি। কেননা, তুমি শক্তি রাখ, আমি শক্তি রাখি না। তুমি জান, আমি জানি না এবং তুমি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। হে আল্লাহ! যদি তুমি এই (---) কাজ আমার জন্য আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের বিলম্বিত ও অবিলম্বিত পরিণামে ভালো জান, তাহলে তা আমার জন্য নির্ধারিত ও সহজ করে দাও। অতঃপর তাতে আমার জন্য বর্কত দান কর। আর যদি তুমি এই কাজ আমার জন্য আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের বিলম্বিত ও অবিলম্বিত পরিণামে মন্দ জান, তাহলে তা আমার নিকট থেকে ফিরিয়ে নাও এবং আমাকে ওর নিকট থেকে সরিয়ে দাও। আর যেখানেই হোক মঙ্গল আমার জন্য বাস্তবায়িত কর, অতঃপর তাতে আমার মনকে পরিতুষ্ট করে দাও।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ