আসসালামু আলাইকুম,
আমার বড় ভাই ২০০৮ সালে বিদেশ গমন করেছিলেন। তখন কোন এক কারনে তিনি ওনার জন্ম সনদ এর নাম পরিবর্তন করে "ইকবাল হোসেন" এর জায়গায় "দেলোয়ার হোসেন" দিয়ে সেই জন্ম সনদ অনুযায়ী "দেলোয়ার হোসেন" নামেই পাসপোর্ট বানিয়ে নেন। সেই অনুযায়ী এতদিন উনি প্রবাসে আছেন সৌদি আরবে। কিছুদিন আগে ওনার বিয়ে হয় কানাডিয়ান প্রবাসী একজনের সাথে এবং তিনি এখন কানাডা যাওয়ার জন্য সৌদি থেকে চলে এসেছেন। সমস্যা বেঁধেছে এখন... ওনার বর্তমান ন্যাশনাল আইডি কার্ড, ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন এবং কাবিননামায় ওনার নাম "ইকবাল হোসেন" দেয়া৷ কারন, ওইটাই ওনার মূল নাম৷ এখন, উনি এই নামে কানাডা যেতে পারবেন না কোনভাবেই। তাই, ওনার পাসপোর্ট এর দেলোয়ার শব্দ টি পরিবর্তন করে ইকবাল বসানো জরুরি। উনি এই বিষয়ে কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করার পর ওনাকে একটা এজেন্সি থেকে বলেছেন যে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা লাগবে, আগের ওনার সেই পাসপোর্ট এর সব তথ্য মুছে দিয়ে নতুন করে পাসপোর্ট বানিয়ে দিবে। আমি জানতাম যে পাসপোর্টের ভুল থাকলে তা সংশোধন এর নিয়ম রয়েছে। সেই অনুযায়ী পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এ ঢুকে নিয়মাবলি পড়ি এবং কাগজপত্র একত্র করি। ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার কথা কালকে। আজকে আমি অনলাইনে আরো ভালোভাবে ঘাটাঘাটি করে জানতে পারি যে বর্তমানে পাসপোর্টে নাম,মা বা বাবার নাম আংশিক এবং সম্পূর্ণ পরিবর্তন দুইটাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এখন আমার প্রশ্ন হল-
ভাইয়ার জন্ম সনদ জমা দিয়ে ২০০৮ এ পাসপোর্ট বানানো হয়েছিল, আর তখন জন্ম সনদে "দেলোয়ার হোসেন" ছিল। ওনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড তো তখন জমা দেয়নি৷ ন্যশনাল আইডি তে ওনার নাম "ইকবাল হোসেন" আছে৷
*এখন উনি যদি নতুন ভাবে ন্যাশনাল আইডি জমা দিয়ে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে,, তাহলে কি কোনভাবে সমস্যা হবে? বা, ধরা পড়বে?
কেননা, আগের পাসপোর্ট আর ন্যাশনাল আইডি কার্ড এ ভিন্ন নাম এমনকি আগের পাসপোর্ট এ ন্যাশনাল আইডি জমা দেয়া হয়নি শুধু জন্ম সনদ জমা দেয়া হয়েছিল।
২য় প্রশ্ন হল-
উনি যদি সেটা না পারে তাহলে নাম পরিবর্তন এর জন্য কি কাল গিয়ে টাকা জমা দিয়ে ফরম পূরণ করে সব কাগজপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে একটা চ্রেষ্টা করলে ভালো হবে, কেননা ওনার নতুন জন্ম সনদ এ ও এখন ইকবাল হোসেন দেয়া৷
অর্থাৎ, ওনার বর্তমান ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও জন্ম সনদ দুইটাই ইকবাল হোসেন নামে... শুধু পাসপোর্ট ছাড়া।
যদি পাসপোর্ট অফিসে আবেদন জমাই না নেয় তাহলে তো ব্যাংকে সরকারি কোষাগার এ যেই টাকা গুলা ব্যাংক ড্রাপ্ট করবো (৬৯০০ টাকা) সেটা তো আর ফেরত পাবোনা।
শেষ কথা হচ্ছে,
কেউ কি বলতে পারবেন যে- ওরা আসলে কিভাবে বলছে যে ভাইয়ার আগের পাসপোর্ট সার্ভার থেকে মুছে ফেলে নতুন পাসপোর্ট এনে দিবে ইকবাল হোসেন নামে... ভাইয়ার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও নাকি আর লাগবে না! এটা কি আদৌ সম্ভ????
দয়া করে অভিজ্ঞ ভাইরা মন্তব্য দিন। খুব জরুরি প্লিজ...
আমার আগের বিস্ময় এর একাউন্ট এর লগিন ইনফরমেশন ভুলে যাওয়ায় এই একাউন্ট দিয়ে আসলাম। বিস্ময় এর ভাইদের প্রতি আমার ভরসা আছে বিধায়।