স্মার্ট কার্ডটিকে কি ধরনের সম্পদ বলা যায়? এর বিশেষ কয়েকটি গুন জানতে চাই?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

জাতীয় সম্পদ ।

স্মার্ট কার্ডে ২৫ টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
২২ ধরনের নাগরিক সুবিধা বা সেবা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ এর নাগরিক এর জন্য একটি ডিজিটাল পরিচয় প্ত্র।

স্মার্ট কার্ড ২০১৬ যা যা দেখা যাবে–

ব্যাক্তির নাম (বাংলা-ইংরেজি উভয় ভাষায়), পিতা-মাতার নাম, জন্মতারিখ ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন নম্বর।
কার্ডের পেছনে ব্যাক্তি যে এলাকা থেকে ভোট দিচ্ছেন তার ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ ও জন্মস্থান্ উল্লেখ করা থাকবে।
স্মার্ট কার্ডের চিপ (তথ্যভান্ডার) এ থাকবে ৩২ ধরনের তথ্য, যা মেশিনে পাঠযোগ্য।
এবারের স্মার্ট কার্ডের সাথে পূর্বের কগজ দ্বারা ল্যামিনেট করা কার্ডের বেশ পার্থক্য রয়েছে। এবারের কার্ডটি প্লাস্টিকের (পলিমার) তৈরি, তাই এটি হবে মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী।
কার্ডটির মেয়াদ করা হয়েছে ১০ বছর পর্যন্ত।
নারীদের ক্ষেত্রে পূর্বের কার্ডে স্বামীর নাম ছিল, পিতার নাম ছিল না। অপর দিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে কার্ডে স্ত্রীর নাম ছিল না, যা বৈষম্য মূলক বলা হচ্ছিল। এবার নারীদের স্মার্ট কার্ডে স্বামীর নামের পরিবর্তে থাকছে পিতার নাম।
কার্ডের চিপ-এ ব্যাক্তির পেশা, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, বয়স, বৈবাহিক অবস্থা, জন্মনিবন্ধন নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সনাক্তকরণ চিহ্ন, ধর্ম, পাসপোর্ট নম্বর, আয়কর সনদ নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর, লিঙ্গ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, টেলিফোন ও মোবাইল নম্বর, মা-বাবা ও স্বামী বা স্ত্রীর মৃতুসংক্রান্ত তথ্য, প্রতিবন্ধি বা অসমর্থতার তথ্য রয়েছে।
স্মার্ট কার্ডের কভারে রয়েছে, জাতীয় ফুল, জাতীয় পাখি, জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও চা-পাতা, মুক্তিযুদ্ধকালীন ও বর্তমান জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ইত্যাদি।
দেশের ৯ কোটি ভোটার কে স্মার্ট কার্ড বিতরণের এই প্রকল্প গ্রহন করা হয় ২০১১ সালে, এজন্য বিশ্বব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে ৮০০ কোটি টাকা ব্যায় করা হয়েছে।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

স্মার্ট ID কার্ড হল  জাতীয় সম্পদ ।  

 




স্মার্ট কার্ডে যেসব সুবিধা থাকছে 

 ০২ অক্টোবর ২০১৬ - ২২:১২  ০২ অক্টোবর ২০১৬ - ১৫:১১

অনলাইন ডেস্ক: সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী ১৫ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার বাংলাদেশে ছবিসহ ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে ৯ কোটি ২২ লাখের মতো মানুষের।আগামী ২৬ মার্চ দেশের ভোটারদের হাতে তুলে দেয়ার কথা রয়েছে নতুন স্মার্টকার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র)।এই স্মার্ট কার্ড নিয়ে সবার মধ্যেই আছে নানা কৌতুহল, দেখতে কেমন হবে,কী কী কাজে লাগবে এমন সব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আজকের আয়োজন ।

২৫টি খাতে এই স্মার্ট কার্ড পরিচয়পত্র ব্যবহার করা হবে। এখানে তিন স্তরে ২৫টির মতো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথম স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য খালি চোখে দেখা যাবে, দ্বিতীয় স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলো দেখার জন্য প্রয়োজন হবে বহনযোগ্য যন্ত্রাংশ এবং শেষ স্তরের জন্য কোনো ল্যাবরেটরিতে ফরেনসিক টেস্ট করার প্রয়োজন হবে। এটিকে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার জন্য আটটি আন্তর্জাতিক সনদপত্র ও মানপত্র নিশ্চিত করা হবে।

দেশের সব নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিতেই নির্বাচন কমিশন ব্যাপক প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। ইসি সূত্র জানিয়েছে, স্মার্টকার্ড হবে মেশিন রিডেবল, যা কার্ড জালিয়াতির হাত থেকে বাড়তি নিরাপত্তা প্রদান করবে।পরপর দুবার হারালেই কার্ড সংগ্রহে ভোটারকে জরিমানা দিতে হবে দুই থেকে চার হাজার টাকা।

বর্তমানে ভোটারদের কাছে বিদ্যমান লেমিনেটেড ন্যাশনাল আইডি কার্ড ফেরত নিয়ে প্রথমবারের মত বিনামূল্যেই স্মার্টকার্ড দেয়া হবে।এরপর পুনরায় মেশিনে পাঠযোগ্য এই কার্ড পেতে চাইলে একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে। জানা গেছে, বিভিন্ন পাবলিক সার্ভিস নিতে এই আইডি কার্ড প্রদর্শন আবশ্যক করার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।

এরই মধ্যে ভোটারদের উন্নত মানের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার আগে বিদ্যমান জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ।গত রোববার ইসি সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন।

বর্তমানে যে জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাল করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।উন্নতমানের এই কার্ড ব্যবহার করে ২০ ধরনের নাগরিক সেবা পাওয়া যাবে।এ ছাড়া ভবিষতে ই-পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন সেবাসহ বহুবিধ কাজে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।

নির্বাচন কমিশনের ডিজি সুলতানুজ্জামান মো: সালেহ বলেন, এই কার্ড এতই বহুবিধ কাজে ব্যবহার করা যাবে যে, তা এখন ধারণাই করা যাচ্ছে না। কেননা এটি পৃথিবীর যেকোনো দেশের স্মার্টকার্ডের চেয়ে বেশি মেমোরি বা তথ্য ধারণক্ষমতাসম্পন্ন কার্ড। বর্তমানে জাতীয় আইডি কার্ডে কোনো ভুল থাকলে অনলাইনেই সেই ভুল সংশোধনের সুযোগ থাকবে।

কার্ড সংশোধনে ভোগান্তির বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ভালোভাবে দেখে আবেদনপত্র পূরণ করেই একজন নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়ে থাকেন। তার দেয়া তথ্য সংশোধন করতে হলে সুনির্দিষ্ট কারণ অবশ্যই দেখাতে হবে। ভুল সংশোধনের ইনটেনশন দেখেই আমরা আবেদন আমলে নিই।

ইতিমধ্যে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটার হওয়ার আবেদন করার সুযোগ দিচ্ছে ইসি।বিষয়টি জাতীয় পরিচয়পত্র বিধিমালায় রাখা হচ্ছে। এমনকি যারা ভোটার তালিকাভুক্ত নন তারাও জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এদিকে নির্বাচন কমিশনের স্মার্টকার্ড প্রকল্পের মাধ্যমে ভোটারদের নতুন যে আধুনিক আইডি কার্ড দেওয়া হবে, সে ক্ষেত্রে ইসি কিছু নতুন বিধিবিধান করতে যাচ্ছে। জানা গেছে, প্রায় দুইশ’ টাকা মূল্যের স্মার্টকার্ড প্রথমে সব নাগরিককেই বিনামূল্যে বিতরণের পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কার্ডের মেয়াদ অন্তত ১০ বছর হবে। এরপর কার্ড নবায়নের জন্য ফি নির্ধারণ করা হচ্ছে (সাধারণ) ২৫০ টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে প্রদানের জন্য ফি থাকছে ৫০০ টাকা। অন্যদিকে হারানো বা নষ্ট কার্ড উত্তোলনে প্রথমবারের ফি থাকছে (সাধারণ) ৫০০ টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে প্রদানের জন্য ফি এক হাজার টাকা। দ্বিতীয়বার হারালে ফি ধরা হয়েছে (সাধারণ) এক হাজার টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে প্রদানের জন্য দুই হাজার টাকা। এ ছাড়া দ্বিতীয়বারের পর কার্ড হারালে বা নষ্ট হলে ভোটারকে জরিমানা বা ফি দিতে হবে (সাধারণ) দুই হাজার টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে প্রদানের জন্য চার হাজার টাকা। এসব ফি ইসি সচিব বরাবর পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে দেওয়া যাবে। ইসি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্রের জালিয়াতি রোধে নাগরিকদের দেওয়া হবে যন্ত্রে পাঠযোগ্য জাতীয় পরিচয়পত্র তথা স্মার্টকার্ড। দেশে তৈরি দীর্ঘমেয়াদি এ কার্ডের প্রাথমিক ব্যয় হচ্ছে প্রায় দুইশ’ টাকা। এ ক্ষেত্রে ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে আধুনিক প্রযুক্তির তথ্যসমৃদ্ধ জাতীয় পরিচয়পত্র দেবে ইসি।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, টেকসই ও সুন্দর অবয়বে এ কার্ড বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় তা সাধারণভাবে স্মার্টকার্ড হিসেবেই বিবেচিত হবে। বর্তমানে এক পৃষ্ঠায় নাম, পিতা ও মাতার নাম, জন্মতারিখ ও আইডি নম্বর এবং অপর পৃষ্ঠায় ঠিকানা-সংবলিত লেমিনেটিং করা কার্ড পাচ্ছেন ভোটাররা। ইসি কর্মকর্তারা জানান, কার্ডের মেয়াদ অন্তত ১০ বছর হবে। প্রথমবার বিনামূল্যে বিতরণের পর হারানো বা সংশোধিত কার্ডের জন্য নির্ধারিত ফি থাকবে। বর্তমানে ৯ কোটি ২০ লাখের বেশি নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত রয়েছেন। সর্বশেষ হালনাগাদ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত লাখ দশেক ভোটার এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারেননি। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন সেনাবাহিনীর সহায়তায় ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের কাজ শুরু করে। দেশের সব নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার বিধান রেখে গত বছর ৬ অক্টোবর ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) বিল, ২০১৩’ সংসদে পাস হয়।

এর ফলে ১৮ বছরের কম বয়সীরাও জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন। এদিকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্ত তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষণ ও গোপনীয়তা রক্ষার বিধান রাখা হয়েছে বিলে। কোনো ব্যক্তি বা নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বিনা অনুমতিতে ভোটার তালিকা বা জাতীয় পরিচয়পত্র-সংক্রান্ত তথ্য বা উপাত্তের বিষয়ে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে শাস্তি থাকছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।

স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে যেসব সেবা-সুবিধা পাওয়া যাবে:

সরকারি সব অনলাইন সুবিধা,ড্রাইভিং লাইসেন্স,পাসপোর্ট, সম্পত্তি কেনাবেচা, টিআইএন প্রাপ্তি, বিয়ে রেজিস্ট্রেশন,ই-পাসপোর্ট, ব্যাংক হিসাব খোলা, ব্যাংক ঋণগ্রহণ , সরকারি ভাতা উত্তোলন, সহায়তা প্রাপ্তি,বিআইএন, শেয়ার-বিও একাউন্ট, ট্রেড লাইসেন্স, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, বীমা স্কিম, ই-গভর্নেন্স, গ্যাস-বিদ্যুত্ সংযোগ, মোবাইল সংযোগ, হেলথ কার্ড, ই ক্যাশ, ব্যাংক লেনদেন ও শিক্ষার্থীদের ভর্তির কাজ ছাড়াও আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Rubidium

Call

স্মার্ট কার্ডটিকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বলা হয়।কারণ এটি আপনার জিনিস হলেও রাষ্ট্র আপনাকে এটি প্রদাণ করেছে।রাষ্ট্র খরচ করে এটি বানিয়ে আপনাকে দিয়েছে।তাই এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ