রোজা রেখে কেউ যদি হস্তমৌথুন করে তবে কী রোজা ভঙ্গ হবে? আর যদি কেউ ভুলবসত রোজা রেখে হস্তমৌথুন করে বসে,তখন তার করনীয় কী?রোজা কি ভেঙে ফেলবে নাকি,রোজা রাখবে।সম্পূর্ন বিস্তারিত বলবেন,, পিলিজ।পিলিজ।পিলিজ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

রোযা রেখে হস্তমৈথুন করলে নিঃসন্দেহে রোযা ভেঙ্গে যাবে। কেননা হস্তমৈথুন করা কবীরাহ গুনাহর অন্তর্গত।  ইবনে কাসীর সহ বেশ কিছু
হাদীসগ্রন্থের হাদীসে হস্তমৈথুনকারীকে অভিশপ্ত
এবং হস্তমৈথূনকে স্বীয় হস্তের সাথে ব্যভিচার বলা
হয়েছে, এছাড়াও হাদীসে বলা হয়েছে,
হস্তমৈথুনকারীকে আল্লাহ জাহান্নামে নিক্ষেপ
করবেন, কিন্তু যারা অনুশোচনা ও তওবা করবে আল্লাহ
শুধু তাদেরকেই ক্ষমা করবেন। প্রাথমিকযূগের সকল
আলেমগণ একে হারাম বলে সাব্যস্ত করেছেন এবং
পরবর্তী সময়ের কিছু আলেম ব্যভিচারের আশঙ্কা
থাকলে যদি হস্তমৈথুন করে তা থেকে বাচা যায় তবে
শুধুমাত্র সেরকম ক্ষেত্রে তা হারাম হবে না বলে
চিহ্নিত করেছেন। প্রাপ্ত হাদীস ও সংখ্যাগরিষ্ঠ
আলেমদের মত অনুযায়ী এটি একটি বড় গুনাহের কাজ
এবং এই কাজে লিপ্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই অনুতপ্ত হয়ে
আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে, তওবা না করলে
আল্লাহ এই অপরাধ ক্ষমা করবেন না। এছাড়া,
অবিবাহিত যুবকদের ইসলামে সামর্থ থাকলে দ্রুত
বিয়ে করার আদেশ দেয়া হয়েছে এবং সামর্থ না
থাকলে রোজা রেখে ধৈর্য্য ধারনের নির্দেশ দেয়া
হয়েছে।( মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mdmijankahn

Call

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরজন্য। হস্তমৈথুন (কু অভ্যাস) রোজা ভঙ্গের কারণ। যে ব্যক্তি হস্তমৈথুন করেছে তাকে সেদিনের রোজা কাযা করতে হবে এবং এই মহাপাপ থেকে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন: কেউ যদি রোজার দিন ইচ্ছাকৃতভাবে হস্তমৈথুন করে এবং বীর্য বের হয় এতে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। যদি এ রোজাটি ফরজ রোজা হয়ে থাকে তাহলে তাকে এ রোজা কাযা করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। কারণ রোজা রাখা বা রোজা না-রাখা কোন অবস্থাতেই হস্তমৈথুন করা জায়েয নয়। লোকেরা এটাকে কু-অভ্যাস বলে থাকে। সমাপ্ত [ফাতাওয়াস শাইখ বিন বায, (১৫/২৬৭)] শাইখ ইবনে উছাইমীন বলেন: “যদি রোজাদার ব্যক্তি হস্তমৈথুন করে এবং বীর্যপাত হয় তাহলে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। যেদিন হস্তমৈথুন করেছে তাকে সেদিনের রোজা কাযা করতে হবে। তবে তাকে কাফফারা দিতে হবে না। কারণ কাফফারা শুধু সহবাসের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করলে সেক্ষেত্রে ফরজ হয়।তাকে তার কৃতপাপের জন্য তওবা করতে হবে।” সমাপ্ত [ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, পৃষ্ঠা-৪৭৮] উপরোক্ত হুকুম প্রযোজ্য হবে যদি হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্যপাত হয়। আর যদি বীর্যপাত না হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না। শাইখ উছাইমীন ‘আল-শারহুল মুমতি’ গ্রন্থ (৬/৩৮৮) এ বলেন: যদি হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্যপাত না হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না। আল্লাহই ভাল জানেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হ্যাঁ......

বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি দেখুন....

এখানে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ