কালেমায়ে তাইয়্যেবার জন্য আল্লাহ তায়ালা জগৎ সমূহ সৃষ্টি করেছেন। এই কালেমা একজন মানুষ গ্রহণ করার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করবেই, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা, রাসূল (সঃ) বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ' উচ্চারণ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।" (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) এই কালেমা কে বলা হয় ইসলামের প্রথম স্তম্ভ। তাছাড়াও, এই কালেমাকে ঈমানের সর্বোত্তম শাখা হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। এককথায়, এ কালেমার মূল উদ্দেশ্য হলোঃ আল্লাহর সমস্ত বিধি-বিধান মেনে নেয়ার স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে একমাত্র তাঁর গোলামী বা ইবাদত করা।
কালিমা হলো একজন মুমিনের আত্মপরিচয়। কারণ হাদিসে এসেছে- যার শেষ বাক্য হবে কালিমা সে চিরস্থায়ী জান্নাতের অধিকারী হবে। -জামে তিরমিযী; হা. নং ৯৭৭, সুনানে আবু দাউদ; হা. নং ৩১১৬
অন্য একটি হাদীসে এসেছে- মহান আল্লাহ তাআলা এ পৃথিবীকে ততদিন টিকেয়ে রাখবেন যতদিন পর্যন্ত কালিমা ও তার আদর্শ গ্রহণকারীরা থাকবে। -সহীহ মুসলিম; হা. নং ১৪৮, জামে তিরমিযী; হা. নং২২০৭
তাই এই কালিমার উদ্দেশ্য হলো-
১ . মানুষকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে চিরস্থায়ী জান্নাতের অধিকারী বানান। কারণ একজন মানুষ শিরক ব্যতিত যত পাপই করুক না কেন, কালিমার বিশ্বাস বুকে ধারণ করে মৃত্যু বরণ করলে তার অন্যান্য পাপের শাস্তি প্রাপ্ত হয়ে একদিন না একদিন জান্নাতে প্রবেশ করবেই।
২ . পৃথিবীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা। কারণ পৃথিবীর শান্তি ও স্থীতিশীলতা এক কালিমার উপরই নির্ভরশীল।
আশাকরি বোঝেছেন।