দীর্ঘদিনের ভালোবাসার সম্পর্কের পর ০৬ মাস আগে আমরা কাজী অফিসে বিয়ে করি।সে ডিভোর্সি ছিলো এবং ০২ সন্তানের জননী, তার কস্টগুলো জানার পর সম্পর্কের শুরু থেকেই তার প্রতি সদয় ছিলাম।নিজের সরলতাকে পূজি করে ভালোলাগা ভালোবাসায় পরিনত হয়েছিলো।

বিয়ের আগেই আমার স্ত্রীর সাথে শারীরিক মেলামেশা হয়েছিলো, অন্য লোকের সাথে অবৈধ সম্পর্কের ঈংগিত পেলেও নিজের অপরাদবোধ থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলাম, তাই বিয়ে করলাম।আদব কায়দা মেনে চলা ধর্মীয় মূল্যবোধ এর মাধ্যমে জীবনকে সাজানোর প্রতিজ্ঞা করলাম। একটা পবিত্র সম্পর্ক তৈরী করে  সম্মানের সাথে পরিবারের নিকট উপস্থাপন করবো বলে ঠিক করেছিলাম। বিয়ের ০৩ মাস পর প্রমান সহ জানতে পারলাম সে  একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত। ডাক্তার,শিক্ষক,ব্যবসায়ী,পলিটিশিয়ান,প্রবাসি সহ অনেকের সাথে তার প্রেমঘটিত সম্পর্ক,যা তার মোবাইল থেকে প্রমান পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিকে কি করতে পারি পরামর্শ চাইছি।

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনার অবস্থা শুনে খুবই ব্যথিত হলাম। যাহোক, ইসলামী আইনে যদি স্বামী-স্ত্রী বনিবনা না হয় তাহলে ইসলাম প্রথমে সমাধানের জন্য সমঝোতা করতে বলেছেন। তা সম্ভবপর না হলে দ্বিতীয় স্টেপ হলো তালাক। তাই আপনি আপনার স্ত্রীকে ত্যাগ করতে চাইলে সে ক্ষেত্রে করণীয় হলো আপনি কাজী অফিসের মাধ্যমে তাকে তালাক দিতে পারেন। যদিও তালাক প্রদানের জন্য ইসলামে কাজীর মাধ্যম প্রয়োজন তেমন একটা  নেই। তবে বাংলাদেশের আইনি জটিলতার কারণে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। তাই ইসলাম ও বাংলাদেশের আইনের সম্বনয় সাধন যেহুতু সম্ভব তাই আপনার জন্য নিরাপদ পথ হলো আপনি কাজের সাথে পরামর্শ করে তার কথা মোতাবিক ব্যবস্থা নিন। তাহলে নানান হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন ইনশা আল্লাহ। -সূরা বাকারা, ২২৯, সুনানে আবু দাউদ; হা. নং ২১৭৮, সুনানে ইবনে মাযা; হা. নং ২০১৮


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ