অতিরিক্ত বন্ধু বান্ধবী সাথে সঙ্গ দেবা জাবেনা।লেখাপড়ার সময় এক টানা পড়তে হবে।লেখাপড়ার ভিতরে মোবাইল ফোনে হাত দেবা জাবে না।এছাড়াও লেখাপড়ার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।বিশেষ করে কোন কিছুর উপর আসক্তি আনা জাবে না।যেমনঃমোবাইল ফোনের গেমের প্রতি আসক্ত না হবা ইত্যাদি।বিঃদ্রঃলেখাপড়া চলাকালিন প্রেম করা বা প্রম করার চেষ্টা করা যাবে না। এই বিষয় গুলো মেনে চল্লে লেখাপড়াই অবশ্যই মন বসবে।
পড়তে আসলে কারোরই ভালো লাগে না, কিন্তু পড়ালেখা আমাদের সবাইকেই করতে হয়। পড়াটা আসলে যতটা না ভালো লাগা থেকে করতে হয়, তার চাইতে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। কবে আমার পড়া ভালো লাগবে, তখন আমি পড়বো, সেই আশায় থাকলে আসলে কখনো পড়া হবে না। তাই পড়ার অভ্যাসটা একরকম নিজের সাথে জোর করেই গড়ে তুলতে হবে। শুরুতে আপনি এক সপ্তাহ টানা প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে পড়ুন। একেবারে না পড়ার চাইতে এটা অন্তত কিছু পড়া হলো। সহজে মেনে চলতে পারবেন এরকম একটা রুটিন করে রাখুন। দিনে ২/৩ ঘণ্টা করে প্রতিদিন পড়লেই কিন্তু অনেক পড়া হয়, ভালো ফলাফল লাভ করা যায়। প্রথম সপ্তাহের পর দ্বিতীয় সপ্তাহে সময়টা ১ ঘণ্টা করে ফেলুন। এরপরের সপ্তাহে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট, তারপরের সপ্তাহে ২ ঘণ্টা করে পড়ুন।প্রতি ৩০ মিনিট পরপর বিরতি নিবেন। নিজেকে একটা টার্গেট দিবেন, যেমন এই সপ্তাহে বাংলা দুটা কবিতা পড়তে হবে। টার্গেট পূরণ করলে নিজেকে উপহার দিন।
১. আপনাকে আপনার পরীক্ষা সম্পর্কে স্পষ্ট ধরণা রাখতে হবে।
২. পরীক্ষার আগেই আপনাকে পরীক্ষার সিলেবাস ভিত্তিক বিষয়, প্রশ্ন কাঠামো এবং নম্বর বন্টন সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তখনই আপনি আপনার প্রস্তুতি কতটুকু যথার্থ হয়েছে তা উপলব্ধি করতে পারবেন।
৩. পড়াশোনার জন্য সর্বোত্তম এবং সর্বোচ্চ সময়টুকু আলাদা করে বাকি সময়ে অন্যকাজ কর্ম খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সহ প্রাত্যহিক কাজ সেরে ফেলবেন।
৪. অতিরিক্ত পড়া উচিত নয়। এতে মস্তিষ্কের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। মস্তিক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মস্তিক পড়া মেমোরাইজ করতে পারে না।
৫. পড়ার সময় একটি টার্ম শেষ না করে হুট করে অন্যটায় চলে যাবেন না।
৬. কখনোই শুয়ে শুয়ে পড়বেন না
৭. পড়ার সময় ভারি খাবার গ্রহন করবেন না।
৮. একটানা এক ঘন্টা পড়ার ভেতর ৫-১০ মিনিট বিরতি নিয়ে আবার পড়া শুরু করুন। এতে মস্তিষ্কের ওপর চাপ সৃষ্টি হয় না।
পড়াশোনার মন বসানোর কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলো। - প্রথমে আপনি একটি রুটিন তৈরি করুন। - সময় হিসাব করে নয় টার্গেট নিয়ে পড়ুন। - পড়ার প্রথমে মন শান্ত করুন। ১৫-২০ মিনিট আপনার লক্ষ্য কীভাবে সাজাবেন, তা ভাবুন। - পড়ার সময় মোবাইল অথবা ইলেকট্রনিক ডিভাইস দূরে রাখুন। - পড়ার সময়ে শরীর সতেজ থাকার জন্যে মাঝে লেবুর সরবত পান করতে পারেন। - মেডিটেশন মন ও শরীর দুইই প্রাণবন্ত করে তোলে। মেডিটেশনের ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং কাজ করা ক্ষমতা বেড়ে যায়। - ১ ঘন্টার পড়ার পর ৫-১০ ব্রেক নিন ব্রেক টা এনালগ নিবেন কোন প্রকার ফেসবুক, মেসেঞ্জার এ ডু মারতে যাবেন না। - অনেক সময় ধরে পড়ছেন তখন কিছু সময় ব্রেক নিয়ে হালকা সাউন্ডের গান শুনুন। - আপনাকে পরীক্ষার সিলেবাস অনুসারে ভিত্তিক বিষয়, প্রশ্ন কাঠামো এবং নম্বর বন্টন সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে এবং পরীক্ষার জন্যে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন। ৩. পড়াশোনার জন্য সঠিক সময়টুকু আলাদা করে বাকি সময়ে অন্যকাজ কর্ম খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সহ প্রাত্যহিক কাজ সেরে ফেলবেন। - বেশি রাত জেগে পড়বেন না রাত ১০ টা পর্যন্ত পড়ে ঘুমিয়ে পড়বেন পরে ভোর ৪/৫ টাই উঠে ধর্মীয় কাজ শেষ করে পড়তে বসবেন।