এসব শব্দের সরাসরি অর্থ নেই। কোনো শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়ে এগুলো রূপ ধারণ করেছে। এর অর্থমূলক আলোচনা করা হলো-
-
বিশাখা থেকে এসেছে বৈশাখ। বিশাখা একটি নক্ষত্রের নাম। মূলত বিশাখা যেদিন অস্ত যায় সেদিন বৈশাখ মাস শুরু হয়ে বলে এটির নাম বৈশাখ।
-
জ্যৈষ্ঠা নক্ষত্র থেকে এসেছে জ্যৈষ্ঠ্য। এ নক্ষত্র যেদিন অস্ত যায় সেদিন এ মাস শুরু হওয়ার কারণে এই নাম।
-
পূর্বাষাড়া নক্ষত্র থেকে এসেছে আষাঢ়। এ নক্ষত্র যেদিন অস্ত যায় সেদিন এ মাস শুরু হওয়ার কারণে এই নাম।
-
শ্রাবণা বা শ্রবণ নক্ষত্র থেকে এসেছে শ্রাবণ। এ নক্ষত্র যেদিন অস্ত যায় সেদিন এ মাস শুরু হওয়ার কারণে এই নাম।
-
ভদ্রপদ বা ভাদ্রপদা নক্ষত্র থেকে এসেছে ভাদ্র। এ নক্ষত্র যেদিন অস্ত যায় সেদিন এ মাস শুরু হওয়ার কারণে এই নাম।
-
আশ্বিনী বা অশ্বিনী নক্ষত্র থেকে এসেছে আশ্বিন মাস। এ নক্ষত্র যেদিন অস্ত যায় সেদিন এ মাস শুরু হওয়ার কারণে এই নাম।
-
কার্তিক এসেছে কৃত্তিকা থেকে। কৃত্তিকাও একটি নক্ষত্র যেটি যেদিন অস্ত যায় সেদিন হতে কার্তিক মাস শুরু হয়।
-
অগ্র অর্থ প্রথম এবং হায়ণ অর্থ বছর। আগে অগ্রহায়ন বাংলা বছরের প্রথম মাস ছিল এজন্য এটির নাম অগ্রহায়ন রাখা হয়েছিল।
-
পূষ্যা নক্ষত্র থেকে এসেছে পৌষ। এ নক্ষত্র যেদিন অস্ত যায় সেদিন এ মাস শুরু হওয়ার কারণে এই নাম।
-
মঘা নক্ষত্র থেকে এসেছে মাঘ মাস। এ নক্ষত্র যেদিন অস্ত যায় সেদিন এ মাস শুরু হওয়ার কারণে এই নাম।
-
ফাল্গুনী নক্ষত্র থেকে এসেছে ফাল্গুন মাস। এ নক্ষত্র যেদিন অস্ত যায় সেদিন এ মাস শুরু হওয়ার কারণে এই নাম।
-
চিত্রা নক্ষত্র থেকে এসেছে চৈত্র্য। এ নক্ষত্র যেদিন অস্ত যায় সেদিন এ মাস শুরু হওয়ার কারণে এই নাম।
এই মাসের নামগুলো সব জোতির্বিজ্ঞান হতে গ্রহণ করা। নক্ষত্র অস্ত যাবার দিনে মাস শুরু মিলিয়ে এই মাসগুলোর নামকরণ করা হয়েছে।