একটি পাপ করার পর সেখান থেকে তওবা করার পর কেউ যদি পুনরায় সে একই পাপে লিপ্ত হয় তাহলে পুনরায় তওবা করা আবশ্যক, এর কোন বিকল্প নাই। তবে শর্ত হল, তওবা করতে হবে খাঁটি অন্তরে লজ্জিত হয়ে। কোন ব্যক্তি যদি গুনাহ করার পর তওবার শর্তাবলী পূরণ করে তওবা করে নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করবেন বলে আশা করা যায়। তবে, তওবা করার পর পুনরায় উক্ত গুনাহে লিপ্ত হওয়া মারাত্মক অন্যায়। আপনি যদি এখন প্রশ্ন করেন, "কিন্তু কেউ তওবা করার পরও যদি শয়তানের প্ররোচনা ও প্রবৃত্তির তাড়নায় আবার একই গুনাহে লিপ্ত হয় তাহলে কী করণীয়?"
উত্তরঃ আপনার জন্য শ্রেয় হলো আবারও তওবা করা। কারণ, এই গুনাহ মোচন করার জন্য তো আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর দ্বিতীয় কারো কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। একমাত্র আল্লাহ তা'য়ালাই আমাদের তওবা কবুলকারী। তাই একজন মানুষ তওবা করার পরও যদি একই গুনাহ বারবার করে তাহলে তারপরও আল্লাহর নিকটই তাকে ফিরে যেতে হবে। তার নিকটই ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। এ ছাড়া বিকল্প কিছু নাই।
.
দয়াময় আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের উপর তওবা করা অপরিহার্য করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন "হে মুমিনগণ,তোমরা সকলে আল্লাহর নিকট তওবা কর। যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পার।" (সূরা নূর, আয়াত নং ৩১)। তিনি আরও বলেছেন, "হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর, খাঁটি তাওবা কর, আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন।....." (সুরা তাহরীম, আয়াত নং ৮)।
সুতরাং, প্রতিটি পাপের জন্য বান্দার তওবা করা অপরিহার্য-যদিও পাপ থেকে তওবা করার পর পূণরায় সে পাপে লিপ্ত হয়। এতে আল্লাহর রহমতকে ছোট কর হয়’ মনে করে তওবা থেকে দূরে থাকা মানে শয়তানের চক্রান্তে পা দেয়া।
জনাব, মোটকথা হলোঃ দয়াময় আল্লাহর দরবারে আমাদের সকল অপরাধ ও গুনাহ-খাতা তুলে ধরতে হবে। একই অপরাধ বারবার হলেও, কিংবা পাহাড় পরিমাণ গুনাহ হলেও, আমাদেরকে তার কাছেই ফিরে যেতে হবে। তবে তওবার পূর্বে করার শর্তগুলো আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন। আমীন।