প্রেমিকাকে খুশি রাখতেঃ ★ একটু কেয়ার করুনঃ সারাদিন অনেক কাজের মাঝেই থাকতে হয় ছেলেদের কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ১ টি মিনিট সময় বের করে নেয়া একেবারেই অসম্ভব কিছু নয়। মাত্র ১ মিনিট ব্যয় করে ম্যাসেজ লিখে পাঠিয়ে তাকে। ভালোভাবে কথা বলুন, তার কাজে কিছুটা হলেও সাহায্য করার চেষ্টা করুন। মোট কথা তার একটু কেয়ার নিন। তাহলেই হাসি ফুটবে আপনার সঙ্গিনীর মুখে। ★ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তারিখ মনে রাখুনঃ দাম্পত্য জীবনে এবং প্রেমের সম্পর্কে অনেক সময়ই তারিখ ভুলে যাওয়ার ব্যাপার নিয়ে বেশি মনোকষ্ট পান মেয়েরা। তাই নিজের সঙ্গিনীর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তারিখ মনে রাখার চেষ্টা করুন। মনে রাখতে না পারলে মোবাইল ফোনের ক্যালেন্ডারে মার্ক করে রাখুন। ★ তার প্রশংসা করুনঃ মুখের কথাই মেয়েদের খুশি করতে যথেষ্ট। আপনি তার সৌন্দর্যের, তার কাজের প্রশংসা করুন দেখবেন আপনার সঙ্গিনীর মুখে হাসি আনতে এইটুকুই যথেষ্ট। ★ আপনার সাথে সম্পর্কিত সকলের সাথে তার পরিচয় করিয়ে দিনঃ মেয়েরা কিছুটা সন্দেহ প্রবন হয়ে থাকেন। তাই ছেলদের উচিৎ নিজের স্বচ্ছতা নিজের সঙ্গিনীর সামনে তুলে ধরা। এতে করে আপনার সঙ্গিনী আপনাকে সন্দেহও করবেন না এবং উল্টো আপনার এই স্বচ্ছতা তার মুখে ফোটাবে বিশ্বাসের হাসি। আপনার সাথে সম্পর্কিত সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে আপনার সঙ্গিনী পাবেন নির্ভরতা। ★ তার আপনার জন্য করা পরিশ্রমের প্রশংসা করুনঃ আপনার সঙ্গিনী প্রতিদিন আপনার জন্য খাবার রান্না করেন। আপনি হয়তো ভুলেই যান তার এই কষ্টের প্রতিদানে একটু প্রশংসা করার কথা। তিনি হয়তো সেজেগুজে আপনার সামনে আসেন আপনার সামান্য প্রশংসা পাবার জন্য কিচন্তু কাজের চাপে আপনি ভুলেই যান তার কথা। কিন্তু তার এই কষ্টের প্রতিদানে সামান্য প্রশংসাসূচক কথা বললেই আপনার সঙ্গিনী অনেক খুশি থাকবেন। মাঝে মাঝে গিফট দিন তাকে। বড় কিছু নয় সামান্য ফুলই না হয় কিনে নিয়ে গেলেন তার জন্য। ★ তার পছন্দ অপছন্দ এবং মতামতের মূল্য দিনঃ আপনার জীবনের একটি অংশ হিসেবে তিনি অবশ্যই চাইবেন আপনি তার পছন্দ অপছন্দের খোঁজ খবর রাখুন এবং তার মতামতের মূল্য দেবেন। এই জিনিসটি প্রত্যেক মানুষই তার পছন্দের মানুষের কাছে চেয়ে থাকেন। শুধু এইটুকু মনে রাখলে এবং করলে দেখবেন আপনার সঙ্গিনীর মুখে ফুটে উঠবে সুখের হাসি
প্রেমিকার সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলুন :- প্রেমিকার সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলুন। তাকে কথা বলার সুযোগ করে দিন। প্রেমিকার কথার মূল্যা দিন এতে তার মুখে হাসি ফুটবে।
হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন :- আপনার প্রেমিকার সাথে হাসিখুশি থেকে কথা বলার চেষ্টা করুন। তার সাথে ভালোভাবে কথা বলুন। হাসি মুখ নিয়ে তার সাথে দেখা করবেন।
দুজনে বাইরে যাচ্ছেন - কি করবেন :- হয়তো প্রেমিকা খুব সেজেগুজে বের হয়েছেন আপনা সাথে বেড়াতে যাবেন বলে। হয়তো সাধারণত রিকশা বা বাসেই চলাচল করেন আপনারা। আজ নিয়ম ভেঙে একটি সিএনজি বা ট্যাক্সি ভাড়া করে ফেলুন। একটুখানি আরামে দুজনে পাশাপাশি উপভোগ করুন খানিকটা সময়। একটা দিন নাহয় তাঁকে বাস বা রিকশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচিয়ে দিলেন।ভিড়ের মাঝে আগলে রাখুন :- প্রচণ্ড ভিড় হয়তো বাসে কিংবা মার্কেটে। হয়তো কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন বা সিনেমায় গেছেন, সেখানেও। এই ভিড়ের মাঝে ভালোবাসার নারীকে অবশ্যই একটু আগলে রাখুন। চেষ্টা করুন তাঁকে ঠেলাঠেলি থেকে রক্ষা করতে, হাতটা শক্ত করে ধরে রাখুন। কে কী ভাবল সেসব নিয়ে চিন্তা করবেন না। সে যেন বোঝে যে জীবনের সকল পরিস্থিতিতে আপনি তাঁর পাশেই আছেন।
তাঁকেও সুযোগ দিন আরাম করার :- আপনার প্রেমিকা নিশ্চয়ই সারাদিন কাজ করেন বাসায়? আর কর্মজীবী হয়ে থাকলে তো বাসা-অফিস মিলিয়ে তাঁর অবস্থা নিশ্চয়ই কাহিল! বাড়িয়ে দিন সাহায্যের হাত। চেষ্টা করুন এটা-সেটায় তাঁকে একটু সাহায্য করতে। নিজে রাঁধতে না পারেন, মাঝে মাঝে ডিনারের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে না হয় বাইরে থেকেই খাবার কিনে আনুন। এগুলো তাকে খুশি করবে।
ছোট্ট আদুরে জেদ করুন :-
এর অর্থ তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করা নয়, বরং নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করা। কী রকম? যেমন ধরুন তাঁর চোখের কাজল আপনার খুব ভালো লাগে, কিংবা কপালের টিপটা। আদর করে জানিয়ে দিন- "তুমি কিন্তু টিপ না পরে বাইরে মোটেও যাবে না!" এই সামান্য ব্যাপারে তিনি যে কতটা খুশি হবেন আপনার ধারণাও নেই।
জীবন একটাই। ভালো থাকুন, ভালো বাসুন।
★প্রেমিকারে খুশি করার কৌশল★ ১. তোমাকে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে: যদি প্রশ্ন করা হয়, কোন তিনটি জিনিস ছাড়া মেয়েরা বাঁচতেই পারে না? তাহলে নিঃসন্দেহে তালিকাটি হবে- এক. মজার মজার খাবার, দুই. পোশাক এবং তিন. প্রশংসায় ভাসানো কথা। মেয়েদেরকে প্রশংসাসূচক কথার বন্যায় ভাসিয়ে দিতে কোনো কার্পণ্য করবেন না। তার চেহারা নিয়ে, পোশাক নিয়ে, চাল-চলন নিয়ে, ফিগার নিয়ে, এমনকি পেশাগত জীবনে কাজের দক্ষতা নিয়েও নিঃসংকোচে প্রশংসা করুন। বহু নারী নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন,'তোমাকে এই কাপড়ে দারুণ লাগছে বা পৃথিবীর সবচে সুন্দরী মেয়েটি তুমি অথবা তুমি এখনও অনেক আবেদনময়ী- এ জাতীয় কথা শুনলেই যাদুর মতো মন ভালো হয়ে যায়'। মনোচিকিৎসকরা বলেন, এসব কথায় মেয়েদের নিজের কাছে নিজেরই একটি অপরূপ প্রতিবিম্ব ভেসে ওঠে। মন ভাল হয়ে যায়, আরো ভাল হওয়ার ইচ্ছা কাজ করে এবং ব্যক্তিত্ববোধ আরো চাঙ্গা হয়। ২. তুমিই আমার জীবনে প্রথম নারী: এই একটি কথাই প্রেমিকার কাছে আপনাকে সৎ ও গ্রহণযোগ্য করে তুলবে। সব মেয়েই এমন একটি ছেলে চায় যার একাধিক নারীপ্রীতি নেই। তা ছাড়া সম্পর্ক দীর্ঘায়িত করতে বা ঘরসংসার পাততে চাইলে এ কথার কোনো বিকল্প নেই। এ কথায় মেয়েটি তার জীবনে আপনাকে নিরাপদ বলে মনে করবে। বহু পুরুষ নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলেছেন, 'এ কথাটি যতবারই বলেছি ততবারই তার চেহারায় সুখী একটা ভাব ফুটে উঠেছে'। মনোচিকিৎসকদের মতে, একটা মেয়ে তার প্রেমিক বা হাজবেন্ডের জীবনে প্রথম- এমন কথা তার মনে এক আশ্চর্য সুখানুভূতি সৃষ্টি করে। তবে শুধুই খুশি করার জন্যে সহজ-সরলভাবে এ কথাটি বলা ঠিক হবে না। যেকোনো ছেলের হৃদয় থেকেই তা বলা উচিত। কারণ পরে আপনার কথা মিথ্যে বলে ধরা পড়লে সে কোনোদিনই আর আপনাকে বিশ্বাস করবে না। ৩. তোমাকে ছাড়া আমার রাত কাটে না: এ বাক্য স্বামী-স্ত্রীর সেক্স লাইফের জন্যে প্রযোজ্য। স্ত্রীকে আদর করে আরেকটু খোলামেলাভাবেই এ প্রশংসা করতে পারেন স্বামীরা। মোদ্দকথা হলো, সেক্স লাইফে তাকে ছাড়া আপনি কিছুই ভাবতে পারেন না এবং তার যাদুতেই আপনি মোহিত- এমন মন্তব্যে আপনার স্ত্রী আরো বেশি নিজেকে উজাড় করে দেবেন। আপনাদের মাঝের অবাঞ্ছিত বাধাগুলো দূর হয়ে যাবে। যৌনতা নিয়ে গবেষকরা বলেন, 'স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সেক্স বিষয়ে নানা জটিলতা দেখা যায়। এর মধ্যে মানসিক সমস্যা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। বিশেষ করে মেয়েদের লজ্জা এবং আচরণগত সীমাবদ্ধতার কারণে এ সম্পর্কে পূর্ণতা আসে না। এক্ষেত্রে দুজনেরই সমান দায়িত্ব রয়েছে। তাই স্বামীর এমন একটা কথাই স্ত্রীর মনের অস্বচ্ছ দেয়াল গুঁড়িয়ে দিতে পারে নিমিষেই। ৪. তুমি একজন আদর্শ মা হবে: বিয়ের পর মেয়েদের জীবনের পরিপূর্ণতা আনে মাতৃত্ব। এ জন্য হবু বাবারও যথেষ্ট পরিপক্ক মানসিকতাসম্পন্ন হতে হবে। এ কথাটি একদিকে যেমন একটি মেয়েকে মা হওয়ার স্বপ্ন দেখায়, তেমনি আপনার মাঝেও স্ত্রী একজন সচেতন পিতার ছায়া দেখতে পান। অনেক মেয়েই বলেন, 'আমার স্বামীর এমন কথাতেই আমার ভিতরে মা হওয়ার ইচ্ছা প্রবলভাবে জেগে ওঠে'। মনোবিজ্ঞানীরাও এ কথা সমর্থন করেন। তারা বলেন, 'মেয়েরা মা হওয়ার আগে স্বামীকেও আগত সন্তানের আদর্শ পিতা হিসেবে দেখতে চায়। সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা ছেলেটির মধ্যেও তো থাকতে হবে। এ নতুন অতিথির নিশ্চিত ভবিষ্যতের আলো বাবা-মা দুজনেই জ্বালবেন।