বামচোখের উপরের ভ্রূ আজ ৭/৮ দিন যাবৎ কাপছে এতে ভাল না খারাপ ফলাফল ইঙ্গিত করছে? পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে সঠিক উত্তর জানতে চাচ্ছি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এগুলো ভাল খারাপের নিদর্শন বা ইঙ্গিক বহন করে না। ইসলামে এগুলোর কোন ভিত্তি নেই।

এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ভাগ্যের ভালো-মন্দ নির্ণয়ের জন্য পাখি উড়ানো বা ঢিল ছোড়া বা কোনো কিছুতে অশুভ লক্ষণ মান্য করা শিরক।’ (সুনানে আবু দাউদ : ৩৯০৯)। আরও বলেন, ‘অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করা শিরকি কাজ। এ বাক্যটি তিনি তিনবার উচ্চারণ করেছেন। আর আমাদের মধ্যে কেউ নেই যার মনে অশুভ লক্ষণের ধারণার উদ্রেক না হয়। কিন্তু আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা করলে তিনি তা দূরীভূত করে দেন।’ (সুনানে আবু দাউদ : ৩৯১২; সুনানে তিরমিজি : ১৭১২)। 

প্রাক-ইসলামী যুগে প্যাঁচা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের কুধারণা পোষণ করা হতো। আরবের লোকেরা এটিকে অশুভর প্রতীক মনে করত। অথচ প্যাঁচাও আল্লাহর সৃষ্টি। এর কোনো ক্ষমতা নেই বান্দার ক্ষতি করার। ইসলামে প্যাঁচাকে কুলক্ষণ পোষণ করা নিষিদ্ধ। এ মর্মে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রোগে সংক্রামী হওয়া বলতে কিছুই নেই, কোনো কিছুতে অশুভ নেই। প্যাঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং সফর মাসেও কোনো অশুভ নেই। তবে কুষ্ঠরোগী হতে পলায়ন করো। যেমন: তুমি বাঘ থেকে পলায়ন করে থাক।’ (সহীহ বোখারি : ৫৭৬৯)। আরও বলেন, ‘ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছুই নেই। প্যাঁচার মধ্যে কুলক্ষণের কিছুই নেই। তারকার দরুন বৃষ্টি হওয়া ভিত্তিহীন এবং সফর মাসে অশুভ নেই।’ (সহীস মুসলিম : ৫৯২৬)। 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ