শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
  • গাছের ডগা
  • সবুজ পাতা
  • ঝরা পাতা
  • খর বা নাড়া
  • গরু বাছুরের উচ্ছিষ্ট 
  • আগাছা
  • তুষ
  • চিনা বাদামের খোসা ইত্যাদি দিয়ে আবর্জনা সার বানানো যায়
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নিচে এ সার তৈরির পদ্ধতি দেয়া হলো - কীভাবে সার তৈরি করবেনঃ বসতবাড়ির কাছে, পিছন দিকে ছায়াযুক্ত স্থানে একটি গর্ত তৈরি করবেন৷ বর্ষাকালে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় গর্ত তৈরি করতে হবে৷ আবর্জনার পরিমাণের উপর নির্ভর করে গর্ত তৈরি করতে হবে৷ সাধারণত ১-১.৫ মিটার দীর্ঘ, ১.৫ মিটার চওড়া ও ১ মিটার গভীর গর্ত তৈরি করতে হবে৷ গর্তের সংখ্যা ও আকার আবর্জনা সারের উপকরণের প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করবে৷ রোদ ও বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য গর্ত চারদিকে সামান্য উঁচু করে আইল দিতে হবে, যাতে বৃষ্টির পানি গড়িয়ে গর্তে ঢুকতে না পারে৷ স্থানীয় উপকরণ, যেমন : বাঁশ, খড় ইত্যাদি দ্বারা গর্তের উপর চালা তৈরি করতে হবে৷ প্রয়োজনে পলিথিন ব্যবহার করা যাবে৷ গর্তের তলায় খড় বিছিয়ে দিলে এবং গর্তের চারপাশ ও তলা লেপে দিলে ভাল হয়৷ লম্বা আবর্জনা যেমন নাড়া, ইক্ষুর পাতা ইত্যাদি দা দিয়ে কেটে ছোট করে দিতে হবে৷ এভাবে প্রতিদিন আবর্জনা জমা করতে হবে৷ গর্তের আবর্জনা শুকনা হলে উপরে গোচনা, পানি ছিটিয়ে দিতে হবে৷ আবর্জনা জমা করার পর ৮-১০ সে. মি. উঁচু হলে উপরে ডোবা বা পুকুরের পলি/দোআঁশ মাটি সমপরিমাণ গোবরের সঙ্গে মিশিয়ে মাঝে মধ্যে স্তর ঠেসে দেওয়া যাবে৷ গর্ত না ভরা পর্যন্ত একইভাবে আবর্জনা ফেলতে হবে৷ গর্ত ভরে উপরের দিকে কচ্ছপের পিঠের মতো (মাঝখান সামান্য উঁচু) করে তৈরি করতে হবে৷ সবশেষে খড়কুটা দিয়ে স্তরের উপরিভাগ ঢেকে দিতে হবে বা মাটি দিয়ে লেপে দিতে হবে৷ একটি গর্ত ভরে গেলে পাশে আরেকটি নতুন গর্ত তৈরি করে একই নিয়মে আবর্জনা জমা করতে হবে৷ এভাবে সারা বছরই এ সার তৈরি করা যায়৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ