হ্যালোজেন হলো লবন উৎপন্নকারী মৌল।গ্রুপ ১৭ এর মৌলগুলোকে একসাথে হ্যালোজেন বলে। বৈশিষ্ট্য: ১)এরা গ্রুপ ১৭ এর মৌল ২)এদের পারমাণবিক আকার পর্যায়ক্রমে বাড়ে ৩)এদের গলনাংক গ্রুপ১এর ধাতুগুলোর চেয়ে কম ৪)এদের স্ফুটনাংক গ্রুপ১ এর ধাতুগুলোর চেয়ে কম ৫)এদের গলনাংক,স্ফটনাংক,ঘনত্ব পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ে ৬)এদের আয়নিকরণ শক্তি বেশি
হ্যালোজেন
পর্যায় সারণীর সপ্তম শ্রেণীভুক্ত সমধর্মী এক গুচ্ছ মৌলিক পদার্থক যেমন- ফ্লোরিন (F), ক্লোরিন (Cl), ব্রোমিন (Br), আয়োডিন (I), এবং অ্যাস্টাটিন (At) কে হ্যালোজেন বলে। এগুলো আধুনিক পর্যায় সারণীতে ১৭শ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।
হ্যালোজেনের ৫টি বৈশিষ্ট্য
১)মৌলসমূহের রাসায়নিক ধর্ম এর পরমাণুর বহিঃস্তরের ইলেক্ট্রন কাঠামো দ্বারাই নির্ণীত ও নিয়ন্ত্রিত হয় মৌলের আণবিক সংখ্যা যত বেশী হয় হ্যালোজেনের সক্রিয়তা হ্রাস পায় এবং গলনাঙ্ক বৃদ্ধি পায়।
২)পরমাণুর আকার যত ছোট হয় তড়িৎ ঋণাত্বকতার মান তত বশী
৩)পরমাণুর সর্ববহিস্থ স্তরে সাতটি ইলেকট্রন থাকায় নিকষ্টস্থ নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ন্যায় অষ্টক পূর্ণতার জন্যে একটি ইলেকট্রন প্রয়োজন বলে সব হ্যালোজেনের সাধারণ যোজনী এক।
৪)হ্যালোজেনসমূহ অধাতু শ্রেণীর মৌলিক পদার্থ যার প্রতিটি অণুতে দুটি পরমাণু রয়েছে।
৫)হ্যালোজেনসমূহ উত্তম জারক। কারণ, ইলেকট্রনের প্রতি এদের তীব্র আকর্ষণ রয়েছে। তাই রাসায়নিক বিক্রিয়াকালে এরা সহজে এবং দ্রুত ইলেকট্রন গ্রহণ করে।