আধান বলতে কোন পরমানুর চার্জিত অবস্থাকে বোঝায়। এবং এই চার্জিত অবস্থা হয়ে যদি ঐ পরমানু ইলেক্ট্রন গ্রহন(নেগেটিভ চার্জ) করে বা বর্জন(পজিটিভ চার্জ) করে। তাই আধান বিদ্যুৎ নয়। বিদ্যুৎ হচ্ছে ইলেট্রনের প্রবাহ। কোন তার বা বাহকের মধ্য দিয়ে যদি ইলেক্ট্রন গুলো নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হয় তবেই বিদ্যুতের সৃষ্টি হয়। তাই বিদ্যুতকে ধনাত্নক বা ঋনাত্নক হিসাবে ধরা হয়না। ব্যাটারির ক্ষেত্রে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় তাই এখানে ধনাত্নক বা ঋনাত্নক একটি বিষয় জড়িত আছে কিন্তু তা শুধু ব্যাটারির ইন্টার্নাল রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে নয়। যেমন জারন-বিজারন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে এনোড ইলেক্ট্রন ছেড়ে দিয়া পজিটিভ আধান বা চার্জে পরিনত হয়ে দ্রমনে চলে আসে এবং দ্রবনের কোন নেগেটিভ আয়নের সাথে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে। ছেড়ে দেয়া ইলেক্ট্রন গুলো এনোডের দন্ড বেয়ে বাইরে সংযুক্ত(যদি তার দিয়া সংযোগ করা হয় তবে) করলে ইলেক্ট্রন সেই তারের ভেতর দিয়া ক্যাথোডে পৌছাই। ফলে তারেই বিদ্যুৎ প্রবাহের সৃষ্টি হয়। ক্যাথোড এই ইলেক্ট্রন দ্রবনে থাকা পজিটিভ আয়নের সাথে যুক্ত হয়ে মৌল বা যৌগ গঠন করে। ( এখানে একটি বিষয় যে এনোডে যে পজিটিভ আয়ন সৃষ্টি করছিলো সেটার সাথে যুক্ত হয়না। এই পজিটিভ যে নেগেটিভ আয়নকে গ্রহন করেছিল সেই নেগেটিভ আয়ন তার সাথে যুক্ত থাকা পজিটিভ আয়ন ছেড়ে দিছিলো। সেই পজিটিভ আয়নটির সাথে ইলেক্ট্রন যুক্ত হয়। উল্লেখ্য যে, কোন নেগেটিভ বা পজেটিভ আধান একা থাকেনা, অবশ্যই বিরপরীত আধান দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে থাকে। ) এবং জেনারেটরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এ ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়াই নাই, কাজেই বিদ্যুৎ আধান নয়।