সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকৃত যে, বীর্য দেহের ভিতরে থাকা অবস্থায় পাক থাকে, তা বাহিরে বের হলেই নাপাক হয়ে যায়। তাই আমাদের জানা উচিৎ যে, সকল পদার্থই দেহের ভিতরে থাকা অবস্থায় দেহ পবিত্র থাকে। সেই পদার্থই আবার যখন দেহের বাহিরে আসে, তখন কিছু পদার্থ নাপাক হয় আবার কিছু পদার্থ নাপাক হয় না। যেমন প্রস্রাব, পায়খানা, রক্ত, মজি ইত্যাদি দেহের ভিতরে থাকা অবস্থায় পাক থাকে, কিন্তু যখনই দেহের বাহিরে আসে, তখন-ই নাপাক হয়ে যায়। এতে অজু ভঙ্গ হয় এবং কাপড়ে লাগলে কাপড়ও নাপাক হয়ে যায়। অপর পক্ষে দেহ থেকে যখন বায়ু নির্গত হয়, তখন দেহ এবং কাপড় নাপাক হয় না ঠিকই কিন্তু অজু ভঙ্গ হয়। আবার দেহ থেকে যখন বীর্য বের হয়, তখন অজু ভঙ্গ হয়, দেহ অপবিত্র হয়, এবং কাপড়ও নাপাক হয়। হস্থমৈথুনের ফলে শরীর নাপাক হয় কিন্ত কাপড় নাপাক হয়না যদি কাপড়ে তা না লাগে। যেখানে বীর্য লেগেছে সে জায়গা নাপাক।
বীর্য নাপাক। পাক হবার প্রশ্নই উঠে না।বীর্য নাপাক বলেই শুকনা হলে খুটিয়ে তুলে ফেলা ও ভিজা হলে কাপড়টি ধৌত করার কথা হাদীসে এসেছে। যেমন- ﻋَﻤْﺮُﻭ ﺑْﻦُ ﻣَﻴْﻤُﻮﻥٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﺳَﺄَﻟْﺖُ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥَ ﺑْﻦَ ﻳَﺴَﺎﺭٍ [ ﺹ 56: ] ﻓِﻲ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏِ ﺗُﺼِﻴﺒُﻪُ ﺍﻟﺠَﻨَﺎﺑَﺔُ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔُ : « ﻛُﻨْﺖُ ﺃَﻏْﺴِﻠُﻪُ ﻣِﻦْ ﺛَﻮْﺏِ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﺛُﻢَّ ﻳَﺨْﺮُﺝُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ، ﻭَﺃَﺛَﺮُ ﺍﻟﻐَﺴْﻞِ ﻓِﻴﻪِ » ﺑُﻘَﻊُ ﺍﻟﻤَﺎﺀِ অনুবাদ- আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯}