আচ্ছা, আমরা জানি বায়ু অসম্পৃক্ত থাকলেই সে নতুন কোন জলীয়বাষ্প গ্রহণ করতে  পারবে।  শীতকালে বাতাসে জলীয়বাষ্প কম থাকে মানছি, কিন্তু  সেই অল্প বাষ্পসমৃদ্ধ বাতাস তো কম তাপমাত্রার কারণে সম্পৃক্ত থাকবে (যার ফলে শিশির দেখা যায়)। তাহলে কিভাবে এই সম্পৃক্ত বায়ু আমাদের শরীর থেকে ময়েশ্চার গ্রহণ করবে? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call


 

আমাদের চামড়ায় রয়েছে সিবেসিয়াস গ্রন্থি (Sebaceous Gland), যা থেকে এক রকম তেলতেলে জিনিস বেরিয়ে এসে ঘামের সাথে মিশে গোটা চামড়ায় ছড়িয়ে যায় । এর ফলে চামড়া ফাটে না । শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাবার ফলে আমাদের ঘাম কম হয় । তাছাড়া চারপাশটা ঠাণ্ডা থাকে বলে শরীরের তাপমোচনের জন্য ঘামের বিশেষ দরকার হয় না । সিবেসিয়াস গ্রন্থি(Sebaceous Gland) থেকে বেরিয়ে আসা তেলতেলে পদার্থ শরীরের চামড়ায় ঠিকমতো ছড়িয়ে পড়তে পারে না । শরীরের শুকনো জায়গাগুলো তখন কুঁচকে গিয়ে ফেটে যায় । শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় ঠোঁটের চামড়া পাতলা । তাছাড়া ঠোঁট দুটো নাকের ফুটোর ঠিক নিচে থাকার জন্য নিঃশ্বাসের গরম বাতাস ঠোঁট দুটোকে আরও শুকিয়ে দেয় । এই কারণেই শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় শীতকালে ঠোঁট বেশি ফাটে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ