শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি বিস্ময়ের এই উত্তরটি দেখুন http://www.bissoy.com/680691/

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

স্বামির বৈধ আদেশ পালন না করলে।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের চুক্তি অন্যান্য চুক্তির মত নয়; বরং এটি একটি ইবাদতও বটে। এ কারণেই হাদীসে বিবাহের ব্যাপারে যেভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে অন্যান্য লেনদেনের ব্যাপারে তেমন উৎসাহিত করা হয় নি। কাজেই ইসলামী শরীয়াতে বিবাহের চুক্তি একটি অত্যন্ত মূল্যবান চুক্তি, যা সারা জীবনের জন্য সম্পাদন করা হয়। এ চুক্তি যেন ভঙ্গ করার মত কোন অবস্থা সৃষ্টি না হয়- সে দিকে ইসলাম বিশেষ ভাবে লক্ষ রেখেছে। কেননা এই সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিণাম শুধু স্বামী-স্ত্রী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে না বরং এতে উভয় পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সন্তানাদি থাকলে তাদের জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয়।

কুরআন ও হাদীসে বৈবাহিক জীবন বিষয়ে অনেক আলোচনা এসেছে যাতে পরত পক্ষে বিবাহ বিচ্ছেদের মত ভয়ঙ্কর সমস্যার সম্মূখীন হতে না হয় । অতএব যদি কখনো স্বামী-স্ত্রীর মাঝে অমিল দেখা দেয়, বনি-বনা না হয় এবং একজনের পক্ষে অপরজনের হক ও অধিকার আদায় করা অসম্ভব হয়ে পড়ে তখন শরীয়াত তালাক দেয়ার পূর্বে সমস্যা সমাধানের জন্য দুটি ব্যবস্থা নিয়েছে । কোন অবস্থায় উক্ত ব্যবস্থা অবলম্বনের পূর্বে তালাক দেয়ার অনুমতি দেয়া হয় নি। আল্লাহ না করুন যদি উক্ত দুটি ব্যবস্থা দ্বারাও সমস্যা সমাধান না হয় তখন কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে স্বামীকে তালাক দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ।

প্রথম ব্যবস্থাটি কার্যকরি হলে উদ্ভুত সমস্যা স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যেই মিট মাট হয়ে যায়। তৃতীয় কোন লোকের প্রয়োজন হয় না। এতে স্বামীকে লক্ষ করে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে বলা হয়েছে। কুরআনে কারীমে স্বামীকে লক্ষ করে ইরশাদ হচ্ছে “তুমি যদি স্ত্রীর অবাধ্যতা কিংবা আনুগত্যের কিছু অভাব অনুভব কর ,তবে

(ক) সর্বপ্রথম ধৈর্য ধারণ কর এবং বুঝিয়ে শুনিয়ে মানসিকভাবে তাকে সংশোধন কর। এতে যদি কাজ হয়ে যায় তাহলে বিষয়টি এখানেই মিটে গেল ।

(খ) আর যদি এতে কাজ না হয় তাহলে তাকে সতর্ক করার জন্য এবং নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে একই ঘরে পৃথক বিছানায় শয়ন করবে।

(গ) আর যদি এতেও কাজ না হয় তাহলে তৃতীয় পর্যায়ে হালকা শাসন তথা শরীরের যে সব স্থানে প্রহার করা হলে দুর্ঘটনার সম্ভবনা নেই চেহারা বাদে সেসব জায়গায় হালকা প্রহারের অনুমতি আছে। কিন্তু এই পর্যায়ে এসেও স্ত্রীকে প্রহার করা রাসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পছন্দ করেননি। বরং তিনি বলেছেন আমার উম্মতের মধ্যে ভদ্র লোকেরা এমনটি করবে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৫২০৪)

মোট কথা শরীয়াত এই ব্যবস্থাটি এই জন্যেই রাখা হয়েছে যাতে ঘরের বিষয় ঘরেই মীমাংসা হয়ে যায়।

কিন্তু অনেক সময় মনোমালিন্য বা বিবাদ দীর্ঘায়িত হয়ে যায় যা স্ত্রীর অনাকাঙ্ক্ষিত কোন স্বভাবের কারণে বা স্বামীর পক্ষ থেকে অহেতুক কড়াকড়ি ইত্যাদির কারণে হয়ে থাকে। যে কোন কারণেই হোক এমতাবস্থায় ঘরের ব্যাপার আর ঘরে সীমিত থাকে না । তখন বাইরে নিয়ে যাওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়ে । কেননা সাধারণত এসব ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয় পক্ষের লোকেরা একে অপরকে মন্দ বলে বেড়ায় এবং তাদের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি হয়। বিবাদ বিসম্বাদের এ পথ বন্ধ করার জন্য শরীয়াত সালিসী ব্যবস্থা নিয়েছে যে, একজন সালিস স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে আর একজন সালিস স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মনোনীত করা হবে । তাঁরা উভয়ে সংশোধনের সদিচ্ছা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মাঝে সমন্বয় করানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবে । উক্ত সালিসগণ যদি ব্যর্থ হন তখন কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে স্বামীর জন্য الطلاق ابغض المباحات তথা সবচেয়ে নিকৃষ্ট হালাল কাজ তালাক দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। শর্তগুলো নিম্নরূপ :
(ক) স্ত্রী ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র অবস্থায় থাকবে।
(খ) এ পবিত্রকালীন তার সাথে মিলন না হতে হবে।
(গ) ঠান্ডা মস্তিস্কে তালাক দিবে।
(ঘ) এক সাথে একাধিক তালাক দিবে না ।

মোট কথা উপরেব বর্ণিত স্তর অতিক্রম না করে হঠাৎ করে তালাক দেয়া বিধিত নয়। সংশোধনের সকল পন্থা অবলম্বন করতে হবে। তারপর তালাক দেয়ার মুহূর্তে উল্লেখিত কথাগুলো মাথায় রাখতে হবে। এতে করে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ চাহে তো তালাক দেয়ার প্রয়োজন না ও থাকতে পারে।
https://www.facebook.com/1569274183283981/posts/
(সম্পাদিত)
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ