বিস্তারিত ভাবে জানতে চাই দলিল সহ।।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

"নিশ্চয়ই আমি এটিকে কোরআনরূপে আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পারো।"

(সুরা : হুদ, আয়াত : ২)

আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে, কোরআনের বাণী নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক। শুধু আবৃত্তি করার জন্য কোরআন অবতীর্ণ হয়নি, বরং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মানুষের জীবন গড়ে তোলার জন্য কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তাই কোরআনকে জীবনের একমাত্র পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এটি সত্য যে কোরআন তেলাওয়াতের অনেক ফজিলত বা তাৎপর্য আছে। কিন্তু শুধু তেলাওয়াতের জন্য কোরআন অবতীর্ণ হয়নি। কোরআনের শিক্ষার আলোকে জীবন পরিচালিত করার জন্যই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এর জন্য কোরআনের বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করতে হবে। কেননা সৃষ্টির নানা রহস্যের সমাধান রয়েছে আল্লাহ প্রদত্ত এই আসমানি কিতাবে।

আরবি ভাষায় কেন কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে?

পৃথিবীতে অনেক ভাষা আছে।

প্রশ্ন হলো, মহানবী (সা.) বিশ্বনবী। কিন্তু কোরআন শুধু আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হলে অন্য ভাষার লোকেরা কিভাবে কোরআন থেকে উপকৃত হবে? এর জবাব হলো, মক্কা পৃথিবীর কেন্দ্রে অবস্থিত। আর সেখানকার ভাষা আরবি। তাই কেন্দ্রস্থলের ভাষা আরবিতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে, যাতে আরবি ভাষাভাষিরা সবার আগে তা বুঝতে পারে। আর অন্য ভাষাভাষিরা তাদের মাধ্যমে কোরআন বুঝতে পারে। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এটি বরকতময় কিতাব, যা আমি নাজিল করেছি। এটি আগের আসমানি কিতাবগুলোর সমর্থক, যাতে তুমি এর মাধ্যমে জনপদগুলোর কেন্দ্র (মক্কা) ও তার আশপাশের লোকদের সতর্ক করতে পারো। যারা পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তারা এর প্রতিও বিশ্বাস রাখে এবং তারা তাদের নামাজের পরিপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ করে। ’ (সুরা : আন’আম, আয়াত : ৯২)

ইহুদিদের মধ্যে যারা হুজুর (সা.)-এর কাছে ইউসুফ (আ.)-এর ইতিহাস জানতে চেয়েছিল, তারা ছিল আরবের অধিবাসী। তাদের ভাষা ছিল আরবি। সে দিকেই ইঙ্গিত করে আলোচ্য সুরার শুরুতে বলা হয়েছে, ‘আমি একে আরবি ভাষায় কোরআনরূপে নাজিল করেছি। ’ অর্থাৎ তোমরা মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বাস করো। কোরআনে ওহির মাধ্যমে বর্ণিত ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনায় বিশ্বাস করো। সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করো। জাহান্নামের পথ থেকে সরে দাঁড়াও। মুহাম্মদ (সা.) যা তোমাদের সামনে তুলে ধরছেন, যে সত্যের দিকে আহ্বান করছেন, তা সবই তিনি ওহির মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্দেশনার আলোকেই করছেন। তোমাদের ভাষা আরবিতেই তিনি সব বলছেন। কোরআন শরিফও আরবি ভাষায়ই নাজিল হয়েছে। এর পরও তোমরা তাঁকে বিশ্বাস না করলে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এর আলোকে বোঝা যায়, ইসলাম প্রচারে সংশ্লিষ্ট দেশ ও অঞ্চলের মানুষের ভাষা ব্যবহার করা উচিত।

http://www.kalerkantho.com/print-edition/muktadhara/2016/10/18/417923

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আল্লাহর ভাষা আরবি রাসুল (সা)এর ভাষা আরবি জান্নাতের ভাষা আরবি তাই

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আল্লাহ যুগে যুগে নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলছেন, আমি রাসূলদেরকে স্বজাতির ভাষা দিয়েই প্রেরণ করেছি। সূরা ইবরাহীম ৪। আর নবী রাসূলদেরকে কেন্দ্র করেই আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হতো। নবী রাসূল ও তাঁদের স্বজাতি যে ভাষার হতো আল্লাহ আসমানী কিতাব সে ভাষায়ই অবতীর্ণ করতেন। সুতরাং নবী রাসূল প্রেরণের এ স্বাভাবিক নিয়মকে কেন্দ্র করেই আল্রাহ তাআলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আরবী ভাষী করে প্রেরণ করেছেন। কারণ তাঁর স্বজাতির ভাষা ছিলো আরবী। সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর স্বজাতির ভাষা আরবী হওয়ার কারণেই কুরআনের ভাষা আরবী হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ