আপনি আপনার বন্ধুকে যা বলেছেন ভালো বলেছেন। এতে মৌলিকভাবে আপত্তির কিছু নেই। কারণ সকল মানুষই মরণশীল। আজ না হোক কাল মানুষকে মৃত্যুবরণ করতেই হবে। আপনি আপনার বন্ধুর আম্মুর জন্য মৃত্যু পরবর্তী জান্নাত কামনা করেছেন। এটা এক দিক থেকে শুভকামনা। কিন্তু শুভকামনার উপস্থাপনা আরো সুন্দর হতে পারতো। কারণ জীবিত এবং মৃত সবার জন্য জান্নাত কামনার বিধান থকলেও উপস্থাপনায় ভিন্নতা আনতে হয়। নতুবা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। এভাবে সাধারণত কেউ কোনো জীবিত মানুষের জন্য জান্নাত কামনা করে না। এতে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা থেকে যায়। এভাবে আপনার জীবিত মা বাবার জন্য জান্নাত কামনা করা হলেও আপনার মাঝে একধরনের খটকা সৃষ্টি হয়ে যেতে পারে। আপনার মনে হতে পারে যে, বোধ হয় লোকটা আমার মা বাবার দ্রুত মৃত্যু কামনা করছে। কারণ এ জীবনে জান্নাত প্রাপ্তির সম্ভাবনা নেই। জান্নাত প্রাপ্তির ব্যাপারটি মৃত্যুর সাথে সংশ্লিষ্ট। জান্নাতের কথা বললে অটোমেটিক মৃত্যুর বিষয়টি চলে আসে। তাই মনে হতেই পারে, আমার মাতা পিতার মৃত্যু কামনা করা হচ্ছে। আপনার বন্ধুর প্রতি যদি আপনার পূর্ণ ভালোবাসা থেকে থাকে তাহলে তার মা বাবার জন্য দুটি দুআ করা চাই। ১। সুদীর্ঘ নেক হায়াত। ২। মৃত্যুপরবর্তী জান্নাত লাভ। এ দুটি দুআ এক সাথে করা হলে কিংবা শুধু প্রথমটি করা হলে এমন ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হতো না। এখন আপনার বন্ধুকে বলুন, এভাবে দুআ করা মানে মৃত্যু কামনা নয়। কারো মৃত্যুকামনা করা মানে তার অকল্যাণ চাওয়া। আমি তোমার আম্মুর অকল্যাণ চাই নি। তোমার আম্মুর অকল্যাণ চাইলে জান্নাত প্রাপ্তির দুআ করতাম না। কেউ কারো কল্যাণ চাইলে তার জন্য কখনো জান্নাত লাভের দু আ করে না। এভাবে বুঝালে আশা করি আপনার বন্ধু বুঝবে।