হাদিসটি পড়ুন..... আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, বিচারের ক্ষেত্রে ঘুষখোর ও ঘুষ প্রদানকারীকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন। সহীহ্, ইবনু মা-জাহ- (২৩১৩) জামে' আত-তিরমিজি, আব্দুল্লাহ বিন আম্র (রাঃ) তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘুষখোর, ঘুষদাতা (উভয়কেই) অভিশাপ করেছেন।’ (আবূ দাউদ ৩৫৮২, তিরমিযী ১৩৩৭, ইবনে মাজাহ ২৩১৩, ইবনে হিব্বান, হাকেম ৪/১০২-১০৩, সহী আবূ দাউদ ৩০৫৫ নং) এবার আপনিই ভাবুন........!
ইসলামে ঘুষ দেয়া নেয়া উভয়টিই মারাত্মক গুনাহের কাজ। ঘুষ গ্রহণের সুযোগ ইসলামী শরীয়তে কখনো নেই। তবে বাধ্যগত ক্ষেত্রে নিজের প্রাপ্ত অধিকার আদায়ের জন্য ঘুষ প্রদানের বিধান আছে। এ ক্ষেত্রে ঘুষ প্রদানকারীর গুনা হবে না। চাকুরি গ্রহণের ক্ষেত্রে যদি নিজের যোগ্যতাসহ এ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি স্বচ্ছ ও ওকে থাকে এবং একমাত্র ঘুষের কারণে চাকরিটা আটকে থাকে তাহলে ঘুষ দিয়ে এ চাকুরি গ্রহণের সুযোগ আছে। আর যদি শুধু ঘুষের বলে নিজের অযোগ্যতা সত্ত্বেও চাকুরি গ্রহণ করা হয় তাহলে এটা কোনো ক্রমেই বৈধ হবে না। তবে যদি যথাযথ নিয়মে চাকুরির কাজ আঞ্জাম দিতে পারে তাহলে সে চাকুরির টাকাটা হালাল হবে। আর যদি কাজ না করে কিংবা অযোগ্যতাবশত করতে না পারে তাহলে চাকুরির বেতন হালাল হবে না।