না ডাঃ জাকির নায়েক কোন ইহুদী বা খ্রিষ্টান এর দালাল নয়। আর পেন্ট কোট টাই এগুলা পরলে যে সুন্নত আদায় হবে না তা নয়। রসুল সাঃ বলেছেন, তোমরা এমন পোশাক পর না যা দ্বারা তোমাদের শরীর এর অনুভব করা যাবে । বরং তোমরা ঢিলাঢালা পোশাক পরিধান করো। যদি করো টাই পরা অপরাধের হয়। তাহলে আমাদের আলেম সমাজ কেন পাগরি পরে এটা না শিয়া পরে টুপি তো মহত্মা গান্ধি পরত। আর তিনি যদি ইহুদী খ্রিষ্টান দের দালাল হতেন তাহলে তাকে সৌদি আরব কখন নাগরিত দিত না যখন তিনি ভারতে বাস করতে পারছে না তখন সৌদি আরবের মুসলমানরা কখন তাকে জায়গা দিতো না।
প্রথমেই বলি,
টাই ব্যবহারের বৈধতা অবৈধত ধর্মীয় অঙ্গনে তুমুল আলোচিত একটি বিষয়। কেউ বলছেন হারাম, কেউ বলছেন হালাল। এ বিতর্কের মূল হলো টাইয়ের উতপত্তি। কেউ বলেন, এটা খ্রীস্টানদের ক্রুস চিহ্নের প্রতীক। কেউ বলেন, না এটা একধরনের পোষাক। একটি সূত্রে জেনেছি, বর্তমান বিশ্বের খ্যাতিমান আলেম জাস্টিস মুফতী তাকি উসমানী সাহেব অনুসন্ধানের আলোকে বলেছেন, টাই খ্রিস্টানদের ক্রুশ চিহ্ন থেকে উৎপত্তি লাভ করে নি। সূত্রটা যাচাইকৃত নয়। অন্য একটি সূত্রে আমি পড়েছি, এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ব্রিটানিকার পুরাতন এডিশনে আছে, টাই খ্রিষ্টানদের ক্রুশ চিহ্ন থেকেই উতপত্তি লাভ করেছে। বর্তমান এডিশনে সেটা নেই। সত্যতা অজ্ঞাত। টাইটা বর্তমানে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। মানুষ এটাকে ক্রুশ চিহ্ন হিসেবে মনে করে না। তাই এ ক্ষেত্রে শিথিলতা আসতে পারে। তবে সতর্কতার দাবি হলো, টাই ব্যবহার না করা। আর কিছু না হোক, বিধর্মীদের সাদৃশ্য বিদ্যমান। উপরন্তু এটা বিধর্মীদের থেকেই উৎপত্তি লাভ করেছে। ক্রুশ কিংবা পোষাক যে হিসেবেই হোক। তাই ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এ কথা শুধু জাকির নায়েকের ব্যাপারে নয়; সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ টাই শুধু জাকির নায়েক একাই পরেন না। আরবের বিশেষত মিশরের বড় বড় আলেমরাও টাই পরেন। সবার জন্যই সতর্কতা অবলম্বন করা চাই।