◆কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ আমল:
১★কারো বদনজর লাগলে পড়তে হয়ঃ
'বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা আজহিব হাররাহা ওয়া বারদাহা ওয়া ওয়াসাবাহা'।
২★শরীর বন্ধ করার উপায়ঃ
ফজর ও মাগরিব নামাজের পর দৈনিক 'আয়াতুল কুরসী' এবং 'সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও নাস' একবার করে পাঠ করে যে ব্যক্তি নিজ শরীরে ফুঁক দিবে, আল্লাহ্'র রহমতে সেই ব্যক্তি বদ-জ্বীন ও জাদু-টোনার হাত থেকে মুক্ত থাকবে।
৩★দ্বীন-ঈমান ও জান-মাল হেফাজতের দোয়াঃ
সকাল-সন্ধায় নিম্নের দোয়াটি পাঠ করলে আল্লাহ্ পাক ইহার বরকতে ঐ ব্যক্তির জান-মাল, দ্বীন-ঈমান ও পরিবার-পরিজনকে নিরাপদে রাখবেন এবং পাঠকারীর অন্তর সকল চিন্তা-পেরেশানী হতে মুক্ত থাকবে। দোয়াটি সকাল-সন্ধায় তিনবার পাঠ করবেঃ
'বিসমিল্লাহি আলা দ্বীনি ওয়া নাফসি ওয়া ওয়ালাদী ওয়া আহলী ওয়া মালী'।
৪★সবসময় 'লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লাহ্ বিল্লাহ্' পাঠ করবে। কেননা, রাসূল (সাঃ) বলেছেন-'ইহা ৯৯টি রোগের ঔষধ, তন্মধ্যে সর্বনিম্ন রোগ হলো দুশ্চিন্তা বা পেরেশানী'।
৫★কোনো ব্যক্তি যদি 'সূরা ইয়াসিনের' আমল করে, তবে সেই ব্যক্তি জাদু, বিষ এবং সমস্ত বিপদাপদ থেকে হেফাজতে থাকবে।
৬★'আয়াতুল কুরসী' এক বৈঠকে তিনশত তের বার পাঠ করলে, সেই ব্যক্তি শত্রুর উপর জয়ী হবে এবং ফেরেশতাগণ তার হেফাজত করবে।
৭★আয়াতুল কুরসীঃ
'আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যূল ক্বাইয়্যুম, লা-তা'খুজুহু সিনাঁতুও ওয়ালা নাউম, লাহু মা-ফিছ সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্ব, মানযাল্লাযী ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা বিইযনিহী, ইয়া'লামু মা-বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইয়ূহীতুনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহী ইল্লা বিমা-শা-য়া, ওয়াছিয়া কুরছিয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা, ওয়া হুয়াল আলিয়্যূল আজীম'।
৮★আল্লাহ্ আমাদিগকে নেক আমল করার তাওফিক দিন। আমিন।
প্রত্যেক দিন ঘুমানোর সময় সুরা ফাতেহা, সূরা নাস, সূরা ফালাক, ও সূরা এখলাস, পড়ে উভয় হাতে ফুক দিয়ে সমস্ত শরিরে হাত বুলিয়ে দিন অতঃপর ঘুমিয়ে পড়ুন। ✳এ রকম করলে জাবতীয় রোগ, যাদু, কোন কিছুর বদ-নজর থেকে হেফাজতে তাকাবে। ✳তিন বার এ রকম আমল করলে শরিরে যে কোন কঠিন রোগ তাকালে ও সঙ্গে সঙে আরোগ্য লাভ করবে ✳মজার কথা হল এ রকমটা সয়ং মহানবি স. করতেন। ✳তো এটাকে গ্রহণ করে নিন।