গোয়েন্দা হব বললেই হওয়া যায় না । রীতিমতো প্রশিক্ষণ লাগে । তবে গোয়েন্দা হতে কোনও ডিগ্রি লাগে না । চাই উপস্থিতবুদ্ধি ও বিচক্ষণতা । সেই সঙ্গে চোখ কান খোলা রাখতে হবে । তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিকূলতার সম্মুখীন হওয়ার মানসিক জোর থাকলেই সফল গোয়েন্দা হওয়া যায় । তথ্য সংগ্রহ করার সময় প্রতিটি দিক ভালো করে খতিয়ে দেখার ক্ষমতাও থাকা জরুরি । ঘটনার ধারাবাহিকতা মেলানো ও তাদের মধ্যে যুক্তিপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে রহস্যের কিনারা করতে হয় একজন গোয়ান্দাকে । সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভাগের সঙ্গেও যোগাযোগ থাকতে হবে । সেন্ট্রাল ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল থেকে কোর্স করতে হবে । তা হলে কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সুবিধে মিলতে পারে ।
বেসরকারি গোয়েন্দা হিসেবে কাজের জন্য লাইসেন্স প্রয়োজন । বেসরকারি গোয়েন্দাদের দ্বারস্থ হওয়ার আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁদের সুনামের প্রতি নজর রাখা হয় । তাঁরা কতটা রহস্যের কিনারা করছেন, সে দিকেও আলোকপাত করা হয় । বেসরকারি গোয়েন্দা হিসেবে কাজ শুরুর আগে লাইসেন্স সংগ্রহের জন্য প্রথমেই নিজের রাজ্যের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করুন ।
দক্ষতা প্রয়োজন - একজন ভালো গোয়েন্দা হওয়ার জন্য বিশেষ দক্ষতা চাই । প্রথমেই চাই ধৈর্য । ধৈর্য ধরে প্রতিটি বিষয়ে নিখুঁত বিশ্লেষণ করতে হয় । তাড়াহুড়ো করে সমস্যার সমাধান করা যায় না । কাউকে কোনও ঘটনায় সন্দেহ হলে ধৈর্য ধরে সেদিকে নজর রাখতে হয় । ব্যক্তির গতিবিধির উপরও নজর রাখতে হয় । অধৈর্য হলে চলে না ।
দক্ষ গোয়েন্দা হতে গেলে ভালো নেটওয়ার্কিং দরকার । এমন সোর্স করতে হবে যাতে প্রয়োজনের সমস্ত রকম খবরাখবর কাছ থেকে পাওয়া যায় । স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে জানাশোনা থাকতে হবে । পাশাপাশি নিচুতলার সরকারি আধিকারিক, আশপাশের দোকানদার, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে । কেননা, প্রয়োজনের সময় এরাই আপনাকে খোঁজখবরগুলো দেবে ।
আর সবশেষে যেটা দরকার - একজন গোয়েন্দাকে অবশ্যই দারুণ স্মার্ট হতে হবে । ভিড়ের মধ্যে মিশে নিজের কাজ হাসিল করার কৌশল আয়ত্ত করতে হবে গোয়েন্দাকে । যেকোনও সময় যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে গোয়েন্দাদের ।
এই সমস্ত কিছু যদি থাকে তাহলে ডাকসাইটে গোয়েন্দা হতে পারেন