ইয়াজিদ ছিল হযরত মুয়াবিয়া রাঃ এর ছেলে।পিতার মৃত্যুর পর ছেলে ইয়াজিদকে উত্তরাধিকার মনোনীত করলে ইয়াজিদ মদপান চরিত্রহীনতার কাজ করেছিল।যা মদীনার মানুষ মেনে নেয় নি।এদিকে হযরত হোসাইন রাঃ শর্ত মোতাবেক মুয়াবিয়ার পরে ইমাম হোসাইন রাঃ এর খলিফা হওয়ার কথা থাকলেও মোয়াবিয়া রাঃ ইয়াজিদকে মনোনীত করলে ইয়াজিদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ।শেষ পর্যন্ত কৌশলে ইমাম হোসাইন রাঃ কে কারবালার প্রান্তরে নির্মমভাবে হত্যা করে।তাই ইয়াজিদ ইসলাম ও মাযহাব এর দৃষ্টিতে অসৎ ব্যাক্তি।
বিশুদ্ধ ইতিহাস বলে, ইয়াজিদ শুরু যুগে এতটো বেপরওয়া ছিলো না। মোটামোটি ভালো ছিলো বলা যায়। কিন্তু ক্ষমতা প্রাপ্তির ফলে তার আদর্শচ্যুতি ঘটে। ফলে ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে যাচ্ছে তাই করে। তার চূরান্ত পরিণতি ঘটে নবী দৌহিত্র হুসাইন রা.কে শহীদ করার মাধ্যমে। এ কারণে তাবৎ উলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত মত হলো ইয়াযিদ ফিসকে দোষে দুষ্ট ছিলো। ইমাম চতুষ্টয়ের ঠিক একই মত। তবে এ কারণে কেউ তাকে কাফের বলে ফতওয়া দেয় নি।