প্রামান্য গ্রন্থে কিছু আছে কি? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হযরত খাজির আঃ সম্পর্কে জানা কোন জরুরী বিষয় নয়। এসব বিষয় সম্পর্কে অতিরিক্ত খুঁজাখুঁজি করা নিষ্প্রয়োজন। তার সম্পর্কে অনেক কথাই প্রচলিত আছে। বাকি বিশুদ্ধতম কথা হল, তিনি একজন নবী ছিলেন। তিনি জীবিত না মৃত? এ বিষয়ে কুরআন ও হাদীসে সুষ্পষ্টভাবে কোন বিধান বর্ণিত হয়নি। তাই এ বিষয়ে নিশ্চিত জ্ঞান অর্জন করা প্রায় দূরহ। তবে সর্বাধিক বিশুদ্ধ বক্তব্য মতে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻌﻼﻣﺔ ﺍﻟﻘﺮﻃﺒﻰ : ﺗﺤﺖ ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ‏( ﻭﻋﻠﻤﻨﺎﻩ ﻣﻦ ﻟﺪﻧﺎ ﻋﻠﻤﺎ ‏) ﻭﺍﻵﻳﺔ ﺗﺸﻬﺪ ﺑﻨﺒﻮﺗﻪ ﻷﻥ ﺑﻮﺍﻃﻦ ﺃﻓﻌﺎﻟﻪ ﻻ ﺗﻜﻮﻥ ﺇﻻ ﺑﻮﺣﻲ . ﻭﺃﻳﻀﺎ ﻓﺎﻥ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻻ ﻳﺘﻌﻠﻢ ﻭﻻ ﻳﺘﺒﻊ ﺇﻻ ﻣﻦ ﻓﻮﻗﻪ ، ﻭﻟﻴﺲ ﻳﺠﻮﺯ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻮﻕ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﻣﻦ ﻟﻴﺲ ﻧﺒﻲ . ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ ﻷﺣﻜﺎﻡ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ . 11 : 16 ﻭﻓﻰ ﺑﺤﺮ ﺍﻟﻤﺤﻴﻂ 6 147: : ﻭﺍﻟﺠﻤﻬﻮﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻧﻪ ﻣﺎﺕ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

খিজির (আঃ) কে? তিনি নবী ছিলেন, না ওলী ছিলেন, তিনি কি বেঁচে আছেন কি বেঁচে নেই এ ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কুরআনে তাকে ﻋَﺒْﺪﺍً ﻣِّﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻧَﺎ ‘আমাদের বান্দাদের একজন। (কাহফঃ ১৮/৬৫) বলা হয়েছে। বুখারী শরীফে তার নাম খিযির ( ﺧﻀﺮ ) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যারা তাকে নবী বলেন, তাদের দাবীর ভিত্তি হল, খিযিরের বক্তব্য ﻭَﻣَﺎ ﻓَﻌَﻠْﺘُﻪُ ﻋَﻦْ ﺃَﻣْﺮِﻱْ আমি এসব নিজের মতে করিনি। (কাহফঃ ১৮/৮২)। অর্থাৎ সবকিছু আল্লাহর নির্দেশে করেছি। অলীগণের কাশ্ফ ইলহাম শরীআতের দলীল নয়। কিন্তু নবীগণের স্বপ্নও আল্লাহর অহী হয়ে থাকে। যেজন্য ইবরাহীম (আঃ) স্বীয় পুত্রকে যবেহ করতে উদ্যত হয়েছিলেন। অতএব বালক হত্যার মত ঘটনা কেবলমাত্র নবীর পক্ষেই সম্ভব, কোন অলীর পক্ষে আদৌ নয়। কিন্তু সেখানেও প্রশ্ন থেকে যায় যে, নবী কখনো শরীআত বিরোধী কাজ করতে পারেন না। ঐ সময় শরীআতধারী নবী ও রাসূল ছিলেন হযরত মূসা (আঃ)। আর সে কারণেই খিযিরের শরীআত বিরোধী কাজ দেখে তিনি বারবার প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছিলেন। এ ব্যাপারে সবাই একমত যে, খিযির কোন কেতাব ধারী রাসূল ছিলেন না, বা তার কোন উম্মত ছিল না। এখানে আমরা যদি বিষয়টিকে কুরআনের প্রকাশ্য অর্থের উপরে ছেড়ে দিই এবং তাকে ‘আল্লাহর একজন বান্দা’ হিসাবে গণ্য করি, যাকে আল্লাহর ভাষায়, ﺁﺗَﻴْﻨَﺎﻩُ ﺭَﺣْﻤَﺔً ﻣِﻦْ ﻋِﻨﺪِﻧَﺎ ﻭَﻋَﻠَّﻤْﻨَﺎﻩُ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧَّﺎ ﻋِﻠْﻤﺎً আমরা আমাদের পক্ষ হতে বিশেষ রহমত দান করেছিলাম এবং আমাদের পক্ষ হতে দিয়েছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান। (কাহফঃ ১৮/৬৫)। তাহলে তিনি নবী ছিলেন কি অলী ছিলেন, তিনি এখনো বেঁচে আছেন, না মারা গেছেন, এসব বিতর্কের আর কোন অবকাশ থাকে না। যেভাবে মূসার মায়ের নিকটে আল্লাহ অহী (অর্থাৎ ইলহাম) করেছিলেন এবং যার ফলে তিনি তার সদ্য প্রসূত সন্তান মূসাকে বাক্সে ভরে সাগরে নিক্ষেপ করতে সাহসী হয়েছিলেন। (ত্বোয়াহাঃ ২০/৩৮-৩৯) এবং যেভাবে জিব্রীল মানুষের রূপ ধরে এসে রাসূল (সাঃ)-এর সাথে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ছাহাবীগণকে দ্বীনের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন একই ধরনের ঘটনা মূসা ও খিযিরের ক্ষেত্রে হওয়াটাও বিস্ময়কর কিছু নয়। মনে রাখা আবশ্যক যে, লোকমান অত্যন্ত উঁচুদরের একজন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। তার জ্ঞানপূর্ণ উপদেশসমূহ কুরআনে বর্ণিত হয়েছে এবং তার নামে একটি সূরা নাযিল হয়েছে। কিন্তু তিনি নবী ছিলেন না। লোকমানকে আল্লাহ যেমন বিশেষ ‘হিকমত’ দান করেছিলেন (লোকমানঃ ৩১/১২)। খিযিরকেও তেমনি বিশেষ ‘ইল্ম’ দান করেছিলেন। (কাহফ ১৮/৬৫)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ