ক্রিম বা লোশন দিয়ে চুল সোজা
করা যায়। তবে এই প্রক্রিয়া একটু জটিল
বলে অভিজ্ঞ হাতে করাটাই
বুদ্ধিমানের কাজ।
# সপ্তাহে দুই দিন মেহেদি, টক দই এক
কাপ, ডিম একটি, তেল দুই চা চামচ এবং
প্রয়োজন মতো পানি দিয়ে পেস্ট
তৈরি করে চুলে আধা ঘণ্টা
লাগিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
# পাকা কলার সঙ্গে মধু পেস্ট করে
চুলে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে
ফেললে চুল মশৃণ হবে।
# কোকড়ানো চুল সোজা করতে
চাইলে ব্লোড্রাই অথবা আইরণ করতে
হবে।
# অস্থায়ী চুল সোজা করতে জেল,
বোমুজ ক্রিম ব্যবহার করা যায়।
# চুল সোজা করার পর ঠিক মতো যত্ন
করতে হবে। কোকড়ানো চুল সোজা
করলে গোসলের পর থেকে চুল
শুকানোর সময় পর্যন্ত বিশেষ যত্ন নিতে
হবে।
# কোকড়ানো ভেজা চুল দ্রুত শুকিয়ে
নিতে হবে।
# অর্ধেকের বেশি চুল শুকানোর পর
বাকিটা চিরুনি বা রুলার ব্রাশ
দিয়ে টেনে ব্রাশ করতে করতে
শুকাতে হবে।
# কোকড়ানো চুল সোজা করলে
শ্যাম্পুর পর কণ্ডিশনার ব্যবহার করতে
হবে।
# কোকড়ানো চুল বেনি করা যাবে
না।
# রাতে ঘুমানোর আগে হাতখোপা
অথবা কাপড় বা ফিতা দিয়ে চুল
বেনির বদলে ভালো করে টাইট করে
পেঁচিয়ে রাখতে হবে।
# কোকড়ানো চুল সোজা করার পর খুবই
রুক্ষ্ম হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে
কণ্ডিশনার ব্যবহার সপ্তাহে দুই দিন
ভালো মতো ম্যাসেজ করে স্টিম বা
গরম পানির ভাব দিয়ে তারপর শ্যাম্পু
করতে হবে।
# নিশিন্দার পাতার রস সম পরিমাণ
নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে
ফুটিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা হলে চুলের
গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ঘষে ঘষে
লাগিয়ে নিতে হবে। পরদিন শ্যাম্পু
করতে হবে। এতে চুলের খুশকি দূর হয়ে
চুর হবে সিল্কি।
আমি আপনাকে দুটি ঘরোয়া পদ্ধতি দিচ্ছি,যেহেতু ঘরোয়া পদ্ধতি তাই পদ্ধতি দুটি ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে দুইটাই ব্যাবহার করবেন,আশা করি কাজ হবেঃ- ডিম আর অলিভ অয়েলঃ ডিম আর অলিভ অয়েলের মিশ্রণ আপনার চুলের জন্যে দারুণ হেয়ার প্যাক হতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার কোঁকড়ানো চুলকে সোজা করতে এদের জুড়ি নেই! ডিম আপনার চুলকে মজবুত আর শক্তিশালী বানাবে, আর অলিভ অয়েল আপনার চুলকে ময়েশ্চারাইজড রাখবে। আর এই দুটোর মিশ্রণ আপনার চুলকে সহজে সোজাও করবে। উপকরণঃ ২ টো ডিম, ৪ চামচ অলিভ অয়েল। পদ্ধতি ডিম ভালো করে ফেটিয়ে তাতে অলিভ অয়েল মেশান। এবার আপনার মাথায় ওটা ভালো করে মাখিয়ে বড় দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন। শাওয়ার ক্যাপ পরে মিনিট ৪০ মতো রেখে হালকা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। তারপর দেখবেন আপনার কোঁকড়ানো চুল কতটা স্ট্রেট হল! *অ্যালোভেরাঃ চুলের যত্নে যে অ্যালোভেরার জুড়ি নেই, তা আপনার জানা। অ্যালোভেরায় থাকা এনজাইম চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাছাড়া অ্যালোভেরা চুলকে নরম, স্মুদ আর ময়েশ্চারাইজডও করে। কিন্তু জানেন কি যে অ্যালোভেরা আপনার চুলকে স্ট্রেট করতেও সাহায্য করে? উপকরণ ঃ হাফ কাপ অ্যালোভেরার রস, হাফ কাপ গরম অলিভ অয়েল। পদ্ধতি অ্যালোভেরার রস আর অলিভ অয়েল মিশিয়ে তা আপনার মাথার চুলে আর স্ক্যাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে ঘণ্টা দুয়েক মতো রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে চুল আস্তে করে আঁচড়ে নিন। দেখবেন অ্যালোভেরার যাদু!