আগামিকাল ১৭ এপ্রিল বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস । বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও *ওর্য়াল্ড ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়া* এর প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাঙ্ক স্ন্যাবেল এর স্বরণে এবং হিমোফিলিয়া সর্ম্পকে সচেতনতা তৈরীর জন্য ১৯৮৯ সাল থেকে পালিত হচ্ছে দিবসটি । বিশ্বের অন্যন্য দেশের মত বাংলাদেশ ও পালন করবে দিবসটি এবং রোগিদের কিছু প্রত্যাশিত দাবী উপস্থাপন করবে । এজন্য *হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ*, ঢামেক, বিএসএমএমইউ হসপিটাল নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে । ##হিমোফিলিয়া হচ্ছে এক ধরণের বিশৃঙ্খল রক্তখরণজনিত রোগ । এ রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের দেহের কোথায় কেটে গেলে রক্তখরণ বন্ধ হয় না আঘা পেলে বা বিনা কারণাও শরীর ভেতরে রক্তখরন হতে পারে । কারণ এদের রক্তে ক্লোটিং ফ্যাক্টর কম থাকে বা কারো দেহে অনুপস্থিত থাকে । ##হিমোফিলিয়া দু ধরনেরঃ ১. ফ্যাক্টর এইট এর অভাব বা হিমোফিলিয়া এ ২. ফ্যাক্টর নাইন এর অভাব বা হিমোফিলিয়া বি । হিমোফিলিয়া এ রোগিই বাংলাদেশে অধিক । ## বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা মতে বাংলাদেশে ১৬ হাজার হিমোফিলিয়া রোগী আছে যার বেশির ভাগই অচিন্হিত । ## কিভাবে বুঝবেন হিমোফিলিয়া? আপনি ঢামেক অথবা বিএসএমএমইউ তে CBC, PBF, BT, CT, PT, APTT, ও Factor পরীক্ষা করলে জানা যাবে । ##চিকিৎসাঃ এর কোন সঠিক চিকিৎসা নেই তাই রক্তে যে ক্লোটিং ফ্যাক্টর অনুপস্থিত সেটি ইনজেকশনের মাধ্যমে পুরণ করতে হয় । বাংলাদেশের সব জায়গাতে এ ফ্যাক্টর পাওয়া যায়না এবং একটি ফ্যাক্টরের মূল্য কোন গরীব পরিবারের পক্ষে যোগার করা সম্ভব নয় তাই এর পরিবর্তে ডাক্তাররা ব্লাড,ও প্লাজমা দিয়ে ফ্যাক্টরের ঘাড়তি পূরণ করেন । কিন্তু দুভাগ্য সঠিক চিকিৎসার অভাবে বেশিরভাগ রোগিই পায়ের জয়েন্টে রক্তখরণের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেন । এবং দুভাগ্য সিংহভাগ রোগিই অকাল মৃত্যর কোলে ঢোলে পড়েন । তবে সঠিক চিকিৎসা পেলে এ রোগ নিয়ন্ত্রন সম্ভব । ##হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ সবক্ষনিক হিমোফিলিকদের পাশে আছেন এবং বিনামুল্য ফ্যাক্টর বিতরণ করে থাকে । যা ১৯৯৬ সালে ওয়াল্ড ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়া WFH এর সদস্য পদ লাভ করে । @আমি মোঃ শাহিন আলম সদস্য ৭১৭, এবং একজন হিমোফিলিক , হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call


 হিমোফিলিয়া ( Haemophilia, অথবা hemophiliaহচ্ছে একটি বংশানুক্রমিক জিনগত রোগ

এই রোগে রক্ত তঞ্চনে সমস্যা হয় তাই একবার রক্তনালী কেটে গেলে আর রক্তপাত বন্ধ হয় না 

শুধু পুরুষলোক এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং স্ত্রীগণ এই রোগের বাহক

কারণ স্ত্রীদের দুটি এক্স ক্রোমোজোম থাকে আর পুরুষদের একটি এক্স  অপরটি ওয়াই ক্রোমোজোম 

রাণী ভিক্টোরিয়া হিমোফিলিয়ার বাহক ছিলেন এবং তাঁর বংশে অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়

তাই হিমফিলিয়াকে রাজকীয় রোগ বলা হয়ে থাকে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ