এন্ড্রয়েড ফোন রুট করলে কী সুবিধা পাওয়া যায়? ফোন ফ্ল্যাশ দিলে কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে কি? তাছাড়া ভিন্ন মডেলের ফাইল দিয়ে ফ্ল্যাশ দেওয়া যাবে কি?
Share with your friends
Call

অ্যান্ড্রয়েডটিকে রুট করবেন? রুট করলে আপনি যা যা করতে পারবেন তা হল – ১. রুটিং আপনাকে আপনার অ্যান্ড্রয়েডে ‘সুপার ইউজার’ অধীকার দেয়। ২. ফোনটিতে কি থাকবে আর কি থাকবে না তা নিশ্চিত করতে পারবেন। ডিফল্ট হিষেবে থাকা অনেক সফ্টওয়ার আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। রুট আপনাকে এগুলো Uninstall বা Replace করার ক্ষমতা দেয়। ৩. অ্যান্ড্রয়েড মার্কেটে ও অন্য সফ্টওয়ার সাইটে পাওয়া যায় অসাধারণ সব অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম সফ্টওয়ার, যা দিয়ে নানাভাবে ফোনের পারফর্মেন্স বাড়াতে পারবেন। কিন্তু রুট ছাড়া এসব হয় না। ৪. অনেক ইনবিল্ট ফিচার যা একটি ডিভাইসে সাপোর্ট করে অথচ অন্য ডিভাইসে হয় না, কিন্তু রুটিঙের মাধ্যমে এগুলো ঠিক করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, লাউভ ওয়ালপেপার Samsung Galaxy Spica তে রুট না করলে চলে না। ৫. আপনার ডিভাইসটির WifI বা Bluetooth সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ শেয়ার এবং ওয়াইফাই দিয়ে উচ্চগতিতে ডাটা ট্রান্সফার করতে এনড্রয়েডে ওয়াইফাই/ব্লুটুথ টেথারিং করতে হয়, যার জন্য রুট বাধ্যতামূলক।  ৬. বিল্ট-ইন না থাকলে ফোনে বাংলা ফন্ট ইন্সটল করতে রুট লাগবে।  যদিও স্পিড বাড়ানোর জন্যই আপনার ফোন আপনি রুট করবেন, কিন্তু ঠিক ভাবে কনফিগার করতে না পারলে আপনার ডিভাইস ফাস্ট না হয়ে উল্টো স্লো হয়ে যাবে ফোনের ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে যাবে এছাড়া ভাইরাসের কিছু ভয় আছে। রুট করতে চাইলে কিংরুট অথবা আইরুট সফটওয়্যার ব্যবহার করে রুট করুন ওয়ারেন্টি হারানোঃ ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই। ফোন ব্রিক করাঃ ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ, এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন। রুট করার সুবিধা পারফরমেন্স বাড়ানোঃ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা। ওভারক্লকিং করাঃ  সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়। আন্ডারক্লকিং করাঃ যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব। কাস্টম ইউআই :  আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে। এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়। কাস্টম রম :  ইন্সটল করার সুবিধা। অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন। বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হবে না, কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও আসবে আমূল পরিবর্তন। রুট করার অসুবিধা ওয়ারেন্টি হারানোঃ  ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই।  ফোন ব্রিক করাঃ ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ, এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক- সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন। আপনি kingroot দিয়ে হয়তোবা আপনার মোবাইল রুট করতে পারবে

Talk Doctor Online in Bissoy App
Call

উপরের উত্তরে রুট সম্পর্কে বলা হয়েছে। কিভাবে ফ্লাশ করবেন তা জেনে নিনঃ ২ ভাবে স্টক রম ব্যাকআপ নেবার কথা বলবো ১) কাস্টম রিকোভারি (cwm/twrp) এর মাধ্যমে ২) rom manager অ্যাপের মাধ্যমে। প্রথমেই আসা যাক, কাস্টম রিকোভারির মাধ্যমে কিভাবে স্টক রম ব্যাকআপ নেয়া যায় সে কথায়। চলুন দেখি এটি করতে আমাদের কি কি লাগবে- যা যা লাগবে : ১. rooted phone ২. mobile uncle tool ৩. আপানর ফোনের custom CWM/TWRP recovery ফাইল কাজের প্রণালী- ►►১ম ধাপঃ সেট রুট করা◄◄ প্রথমেই আপনার ফোনটিকে রুট করে নিন। রুট করার পদ্ধতি মোবাইলের মডেল ভেদে ভিন্ন। তাই নিজের মডেল টি গুগলে রুটের পদ্ধতির জন্য সার্চ করুন। আশা করি রুট করার প্রসেস পেয়ে যাবেন। ►►২য় ধাপঃ কাস্টম রিকোভারি ইন্সটল করা◄◄ আশা করছি সবার মোবাইল রুট করা হয়ে গিয়েছে। এবার আমরা কাস্টম রিকোভারি (CWM/TWRP) ইন্সটল করবো। প্রত্যেকের ফোনেই একটি রিকোভারি দেয়া থাকে। তবে সেখানে অনেক অপশন থাকে না বিধায় আমাদের উন্নত ও কাজের সুবিধা-সম্পন্ন কাস্টম রিকোভারি ইন্সটল করা লাগে। এখানে ২ রকম ভাবে কাস্টম রিকোভারি ইন্সটল করার কথা বলছি। ১) mobile uncle tool দিয়ে ২) rom manager দিয়ে প্রথমেই mobile uncle tool দিয়ে CWM/TWRP ফ্লাশ করার পদ্ধতি বলবোঃ ১. আপনার ফোনের CWM/TWRP ডাঊনলোড করুন । CWM/TWRP এর জন্য XDA,goole এ খোঁজ করুন। ২. CWM/TWRP ডাউনলোড করার সেটি মেমোরি কার্ডে রাখুন। যদি ফাইল জিপ করা থাকে তাহলে আনজিপ করে মেমোরি কার্ডে রাখুন। (কোনও ফোল্ডারে রাখবেন না। এমনিতে মেমোরি কার্ডে রাখবেন।) ৩. mobile uncle tool নামিয়ে ইন্সটল করে ওপেন করুন (নেট অফ করে) {mobile uncle tool ডাউনলোড লিংক- http://www.apkcraft.com/apk/mobileuncle-mtk-tools/ ৪. এখন চাইলে এই সফট থেকে IMEI টা ব্যাকআপ করে রাখতে পারেন, এটা আপনাদের ঐচ্ছিক কাজ, ইচ্ছা হলে করবেন। মাঝে মাঝে অনেকের IMEI সমস্যা করে তখন এটা কাজে লাগতে পারে। ৫. এখন recovery update এ ক্লিক করুন । ৬. recovery.img নামে একটা ফাইল পাবেন, সেখানে ক্লিক করুন । ৭. ok ক্লিক করুন । ৮. "flash into recovery" ok দিন,এখন রিকোভারি মুডে ফোন অন হবে । ৯. হয়ে গেলো আপনার কাস্টম রিকোভারি (CWM/TWRP) ইন্সটল। এবার আমরা জানবো কি করে rom manager দিয়ে CWM ফ্ল্যাশ করবোঃ ১) Rom manager ইন্সটল দিয়ে ওপেন করুন। ইন্টারনেট কানেকশন অন করুন ২) Flash clockworkmod Recovery তে ক্লিক করুন। এবার আপনার ফোন এর মডেল চলে আসবে সেখান থেকে মডেল সিলেক্ট করুন। ৩) আপনার ফোনে cwm ইন্সটল হয়ে যাবে। এখান থেকে করলে বেশিরভাগ সময় ই লেটেস্ট CWM ফ্ল্যাশ হয়।

Talk Doctor Online in Bissoy App