শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
√ স্বরবর্ণ - 11টি
√ ব্যঞ্জনবর্ণ - 39 টি
√ মৌলিক স্বরধ্বনি - 7 টি
√ যৌগিক স্বরধ্বনি--২টি
যৌগিক স্বর জ্ঞাপক বর্ণ >> ২৫টি।(
√ হ্রসস্বর স্বরধ্বনি - 4 টি
√ দীর্ঘস্বর স্বরধ্বনি - 7টি
√ মাত্রাহীন - 10 টি
√ অর্ধমাত্রা - 8 টি
√ পূর্ণমাত্রা - 32 টি
√ কার - 10 টি
√ স্পর্শবর্ণ - 25 টি

এক নজরে বাংলা বর্ণমালা
# বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ আছে ৫০টি।(স্বরবর্ণ ১১টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ৩৯টি)
# বাংলা বর্ণমালায় মোট স্বরবর্ণ ১১টি(হ্রস্ব স্বর ৪টি + দীর্ঘ স্বর ৭টি)
# বাংলা বর্ণমালায় মোট ব্যঞ্জণবর্ণ ৩৯টি(প্রকৃত ৩৫টি + অপ্রকৃত ৪ টি)
# বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রাযুক্তবর্ণ আছে ৩২টি (স্বরবর্ণ ৬টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ২৬টি)
# বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রাযুক্তবর্ণ আছে ৮টি (স্বরবর্ণ ১টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ৭টি)
# বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণআছে ১০টি ( ব্যঞ্জণবর্ণ ৬টি + স্বরবর্ণ৪টি)
# বাংলা বর্ণমালায় কার আছে এমন স্বরবর্ণ ১০টি (“অ” ছাড়া)
# বাংলা বর্ণমালায় ফলা আছে এমন ব্যঞ্জণবর্ণ ৫টি (ম, ন, ব,য, র) { সৌমিত্র শেখরের বই যে ৬টি । যেমন: ন, ম, য, র ল, ব
# বাংলা বর্ণমালায় স্পর্শধ্বনি/বর্গীয় ধ্বনি আছে ২৫টি (ক থেকে ম পর্যন্ত)
# বাংলা বর্ণমালায় কন্ঠ/জিহবামূলীয়ধ্বনি আছে ৫টি (“ক” বর্গীয়ধ্বনি)
# বাংলা বর্ণমালায় তালব্য ধ্বনি আছে৮টি (“চ” বর্গীয় ধ্বনি + শ,য, য়)
# বাংলা বর্ণমালায় মূর্ধন্য/পশ্চা ৎদন্তমূলীয় ধ্বনি আছে ৯টি (“ট” বর্গীয়ধ্বনি + ষ, র, ড়, ঢ়)
# বাংলা বর্ণমালায় দন্ত্য ধ্বনি আছে৭টি (“ত” বর্গীয় ধ্বনি + স,ল)
# বাংলা বর্ণমালায় ওষ্ঠ্য ধ্বনি আছে৫টি (“প” বর্গীয় ধ্বনি)
# বাংলা বর্ণমালায় অঘোষ ধ্বনি আছে১৪টি (প্রতি বর্গের ১ম ও ২য় ধ্বনি + ঃ, শ, ষ, স)
# বাংলা বর্ণমালায় ঘোষ ধ্বনি আছে১১টি (প্রতি বর্গের ৩য় ও ৪র্থ ধ্বনি + হ)
# বাংলা বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ধ্বনিআছে ১৩টি (প্রতি বর্গের ১ম ও ৩য় ধ্বনি + শ, ষ, স)
# বাংলা বর্ণমালায় মহাপ্রাণ ধ্বনিআছে ১১টি (প্রতি বর্গের ২য় ও ৪র্থ ধ্বনি + হ)
# বাংলা বর্ণমালায় নাসিক্য/অনুনাসিকধ্বনি আছে ৮টি (প্রতি বর্গের ৫ম ধ্বনি + ং, ৺, ও)
# বাংলা বর্ণমালায় উষ্ম/শিষ ধ্বনি৪টি (শ, ষ, স, হ)
# বাংলা বর্ণমালায় অন্তঃস্থ ধ্বনি৪টি (ব, য, র, ল)
# বাংলা বর্ণমালায় পার্শ্বিক ধ্বনি১টি (ল)
# বাংলা বর্ণমালায় কম্পনজাত ধ্বনি১টি (র)
# বাংলা বর্ণমালায় তাড়নজাত ধ্বনি১টি (ড়, ঢ়)
# বাংলা বর্ণমালায় পরাশ্রয়ী ধ্বনি৩টি (ং, ঃ, ৺)
# বাংলা বর্ণমালায় অযোগবাহ ধ্বনি২টি (ং, ঃ)
# বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরধ্বনি ২টি (ঐ, ঔ)
# বাংলা বর্ণমালায় খন্ড ব্যঞ্জণ ধ্বনি ১টি (ৎ)
# বাংলা বর্ণমালায় নিলীন ধ্বনি ১টি(অ)
# বাংলা বর্ণমালায় হসন্ত/হলন্ত বর্ণবলা হয় ক্, খ্, গ্ এধরণের বর্ণকে
# বাংলা বর্ণমালায় অর্ধস্বর ২টি (য,ব)

১.দেশী শব্দ
-- কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডাগর, ডিঙ্গা, ঢেঁকি।

মিশ্র শব্দ
মনে রাখার উপায় /টেকনিক >>> রাজা বাদশা হেড মৌলবীকে সংগে নিয়ে ডাক্তার খানার চৌহদ্দি ঘূরে এসে হেড পন্ডিত কে ডেকে বল্লেন, আগামী হাটবাজারে যেন পকেট মার না হয়।
শব্দগুলো:
১. রাজা-বাদশা>তত্সম+ফারসি
২.হেড-মৌলবী>ইংরেজি+ফারসি
৩.ডাক্তার -খানা>ইংরেজি+ফারসি
৪.চৌ-হদ্দি>ফারসি+ আরবি
৫.হেড-পন্ডিত> ইংরেজি+তত্সম
৬. হাট-বাজার>বাংলা +ফারসি
৭.পকেট-মার> ইংরেজি+ বাংলা


১.মৌলিক শব্দ:

টেকনিক >>>লাল গোলাপের নাকে তিন হাত কলম.
মিলিয়ে নিন:  লাল,গোলাপ,নাক তিন,হাত,কলম.

২.সাধিত শব্দ:
টেকনিক >>>দয়ালু জমিদার পানসা হাতে ফুলেল লাগাল.
মিলিয়ে নিন: দয়ালু জমিদার,পানসা ফুলেল

৩.যৌগিক শব্দ:
টেকনিক >>>নায়ক গায়ক ও চিকামারা নয়ন এবং সুন্দরী মিতালি ও দৌহিত্র বাবুয়ানা দেখিয়ে কর্তব্যে অবহেলা করে শয়ন করল এবং পরে বাদরামীর মধুর জলে গমন করল.

মিলিয়ে নিন>গায়ক,নায়ক,চিকামারা,নয়ন মিতালি,দৌহিত্র,বাবুয়ানা
কর্তব্য,শয়ন,বাদরামী, মধুর

৪.রূঢ়ি শব্দ:
টেকনিক >>>তেলেভাজা স্বন্দেশ খেয়ে এক প্রবীণ গভেষনা করে পান্জাবী পরে হস্তীর পিঠে চরে বাঁশি বাজায়. হরিণের মাংস দিয়ে মন্ডূপ তৈরি
করায় লাবণ্যের শশুর ও ঝি কূশল বিনিময় করল আমিও করি...!!!

মিলিয়ে নিন:>>তেলেভাজা,স্বন্দেশ,প্রবীণ,গবেষনা,হস্তি বাঁশি,হরিণ,মন্ডুপ,লাবণ্য,শশুর,ঝি কূশল,করী

৫.যৌগরূঢ় শব্দ:
টেকনিক >>> রাজপূত পঙ্কজ মহাযাত্রা করে জলদির কাছে গেলেন.এরপর
পীতাম্বর তরঙ্গম ও আদিত্যকে বলদ বলে জলদে পাঠালেন।

মিলিয়ে নিন:>রাজপূত,পঙ্কজ,মহাযাত্রা,জলদি পীতাম্বর,তরঙ্গম,আদিত্য,বলদ এবং জলদ...!


৬.তদ্ভব শব্দ:
টেকনিক >>>আখি আজ করছে কাজ, মৌ পড়েছে বিয়ের সাজ,
বৌমা এনেছে ভাত মাছ.মাথায় হাত কানে দাত চাঁদ সই করা তদ্ভবের কাজ.

মিলিয়ে নিন:>মাথা,হাত,আখি,দাত,ভাত চাঁদ,মাছ,কান

7.তৎসম শব্দ:

টেকনিক >>> হস্তে যদি থাকে শক্তি চন্দ্র সূর্য্য করবে ভক্তি,ভবনের পত্র ধর্ম লাভ ক্ষতি মনূষ্য পর্বতের কর্ম.

মিলিয়ে নিন: হস্ত,চন্দ্র,সূর্য্য,ভবন,পত্র,লাভ,ক্ষতি মনূষ্য,পর্বত.

8. অর্ধতৎসম শব্দ:

টেকনিক >>>গিন্নি মাগি জৈস্না কুৎসীত গতরে বোস্টমের বাড়িতে
নেমন্তন্ন খেত গেল,কেস্ট ও পুরুত খিদে পেয়ে শুধু আদা খায়.

মিলিয়ে নিন: গিন্নি,মাগি,জৈস্না,কুৎসীত,গতর,নেমন্তন্ন,কেস্ট,পুরুত,আদা...!!!

টেকনিকে ফারসি শব্দঃ [ধর্ম সংক্রান্ত]:

ছন্দঃ(নামাজ রোজা করলে বেহেস্ত, আর
গুনাহ করলে দোযখ ফেরেস্তা হিসাবে
রাখবে আর পয়গম্বর খোদার কাছে গুনাহ
মাপের সুপারিশ করবে।)

ব্যাখ্যাঃ
নামাজ, রোজা, বেহেস্ত, গুনাহ, দোযখ, ফেরেস্তা, পয়গম্বর, খোদা, সুপারিশ।

অথবা
(নামাজ রোজা পালন না করলে গুনাহ হয়। তাই পয়গম্বরদের কথা না,শুনলে
ফেরেস্তারা খোদার আদেশে বেহেস্তের পরিবর্তে দোযখে নিয়ে যাবে।)

নামাজ, রোজা পালন, গুনাহ, পয়গম্বর, ফেরেস্তা, খোদা, বেহেস্ত, দোযখ।


টেকনিকে পর্তুগিজ শব্দঃ

চোর গীর্জার গুদামে ঢুকে পাদ্রিকে বেঁধে রেখে চবি দিয়ে আলমারি খুলে
আনারস আলপিন পাউরুটি বালতি সব নিয়ে গেল।

টেকনিকে ফরাসি শব্দঃ
কাকু রেডি (কার্তুজ, কুপন, ডিপো রেস্তারা)

টেকনিকে গুজরাটি শব্দঃ
গুজরাটি হখ (হরতাল, খদ্দর) সাহেব।

টেকনিকে পাঞ্জাবি শব্দঃ
পাঞ্জাবি চাশি (চাহিদা, শিখ)

টেকনিকে তুৃর্কি শব্দঃ
দারোগা, চাচা (চাকর, চাকু) তোপ, দাগে।

‪#‎কতগুলো‬‬ শব্দ কেবল পুরুষ বোঝায়--
→ কবিরাজ, ঢাকী, কৃতদার, অকৃতদার, রাষ্ট্রপতি।

#কতগুলো শব্দ পুরুষ ও স্ত্রী দু-ই বোঝায়--
→ গুরু, শিশু, সন্তান, জন, শিক্ষিত, পাখি।

‪#‎নারীকে‬‬ সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে--
→ শ্রদ্ধাস্পদাসু

‪#‎লিঙ্গান্তর‬‬ হয় না এমন শব্দ --
→ কবিরাজ, কেরানী ,রাষ্ট্রপতি, ডাক্তার ।

#কতগুলো নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ ---
→ শাঁকচুন্নী, সধবা, সতীন, সপত্নী, বিধবা, সধবা, ডাইনি, কুলটা এয়ো, দাই।

o ‘বাবুর্চি’ কোন ভাষার শব্দ? তুর্কি

o ‘ম্যালেরিয়া’ কোন ভাষার শব্দ? ইতালি

o ‘মর্সিয়া’ শব্দের উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে? আরবি

o ‘কাঁচি’ শব্দটি কোন ভাষা হতে এসেছে? তুর্কি

o ‘কুঁড়ি’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি শব্দ কোনটি? কোরক

o ‘শাক সবজি’ শব্দটি নিচের কোন দুইয়ের মিলন? তৎসম + ফারসি

o ‘কুলি’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত? তুর্কি

o ‘সাবান’ ও ‘আনারস’ শব্দ দুটি কোন ভাষা হতে এসেছে? পর্তুগিজ

o ‘হরতন’ কোন ভাষার শব্দ? ওলন্দাজ

o ‘‘হরতাল’’ কোন ভাষা থেকে এসেছে? গুজরাটি

o ‘হাঙ্গামা’ কোন ভাষার শব্দ? ফারসি

o ‘হাটবাজার’ কোন কোন ভাষার শব্দ নিয়ে গঠিত?বাংলা ও ফারসি

o ‘চকলেট’ কোন দেশের ভাষার শব্দ? মেক্সিকো

o ‘চকমক’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে? তুর্কি

o ‘চানাচুর’ কোন ভাষার শব্দ? হিন্দি

o ‘জান্নাত ও বেহেশত’ শব্দ দুটি কোন ভাষা থেকে এসেছে? আরবি ও ফারসি

o ‘জানালা’ শব্দটি কোন্ ভাষার শব্দ? ফারসি




বাংলা নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি সহজেই মনে রাখি

বনস্পতি এবং বৃহস্পতি পরষ্পর দুই ভাই। তাদের বয়স ষোড়শ এবং একাদশ। তারা দুজনে তস্কর।দুজনে গিয়েছে গোষ্পদ চুরি করতে।দেখেছে মনীষা। বলেছে পতঞ্জলির কাছে।পতঞ্জলি শুনে আশ্চর্য হল

বনস্পতি
বৃহস্পতি্
পরষ্পর
ষোড়শ
একাদশ
তস্কর
গোষ্পদ
মনীষা
পতঞ্জলি
আশ্চর্য নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি।



১/ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন = চর্যাপদ
আর মধ্য যুগের ১ম নিদর্শন = শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।

২/ ভাষার জগতে বাংলার স্থান = ৪র্থ আর
সিয়েরা-লিওনের ২য় ভাষা হলো = বাংলা।

৩/ নাটকের সংলাপে অনুপযোগী হলো = সাধু
ভাষা আর সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণকে = গুরুচণ্ডালী দোষ বলে।

৪/ চাকর, চাকু, দারোগা = তুর্কি ভাষার শব্দ,
আলপিন, আলমারী, পাউরুটি, বালতি = পর্তুগিজ
ভাষার শব্দ আর কুপন, কার্তুজ, রেস্তোরা হলো = ফরাসি ভাষার শব্দ।

৫/ বাংলা ব্যাকরণ প্রথম রচনা করেন = মনুয়েল দ্য
আসসুম্প সাঁও আর ১ম বাঙ্গালী হিসেবে বাংলা
ব্যাকরণ রচনা করেন = রাজা রামমোহন রায়।

৬/ বাংলা ব্যাকরণের প্রধান আলোচ্য বিষয় বা
ভাষার মৌলিক অংশ = ৪ টি আর ণত্ব ও ষত্ব
বিধান, সমাস এবং সন্ধি আলোচিত হয় = ধ্বনিতত্ত্বে।

৭/বাংলা বর্ণমালায় সর্বমোট বর্ণ রয়েছে = ৫০
টি, পূর্ণমাত্রা = ৩২টি, অর্ধমাত্রা = ৮টি আর
মাত্রাহীন = ১০টি।

৮/স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রুপ হলো=স্বর বা কার আর
ব্যঞ্জনবর্ণের = ফলা (মনে রাখবেন বাংলা বর্ণমালায় = ৫ টি ফলা আছে)।

৯/ মহাপ্রাণ ধ্বনি = উচ্চারণের সময় বাতাসের আধিক্য থাকে আর,
তর, তম, তন প্রত্যয়যুক্ত বিশেষণ পদের অন্ত 'অ' সব সময় = সংবৃত হয়।

১০/ পরের ই কার ও উ কার আগেই উচ্চারিত হওয়ার রীতিকে = অপনিহিতি 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ব্যাকরণ থেকে কোন ধরণের প্রশ্নগুলো বেশি হয়, আর সেগুলো কিভাবে পড়বেন। কোন ধরণের প্রশ্ন বেশি হয়?

 বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাব বাংলা ব্যাকরণ অংশে সব থেকে বেশি প্রশ্ন হয়েছে- 

১. বাগধারা এবং প্রবাদ ২. শুদ্ধ-অশুদ্ধ ৩. বাংলা ভাষার শব্দ ৪. সমাস ৫. সন্ধি ৬. পদ ৭. সমার্থক শব্দ ৮. বাংলা বানান ৯. উপসর্গ ১০. বর্ণমালা ও ধ্বনি- এগুলো থেকে। 

উপরের বিষয়গুলো ছাড়াও শব্দ প্রকরণ, পারিভাষিক শব্দ, কারক, প্রত্যয় ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো লক্ষ্য করলেই এবিষয়ে আরও ভাল ধারণা পাবেন। তাই ব্যাকরণ পড়া শুরু করার আগে অবশ্যই বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালমতো দেখে নেবেন। আর সবথেকে ভাল হয় প্রশ্নগুলো বুঝে বুঝে সমাধান করে নিলে। মনে রাখতে হবে যে- পিএসসি প্রতিবছরই কিছুটা নতুন আঙ্গিকে প্রশ্ন করার চেষ্টা করে। বিগত দুই বছরের প্রশ্ন ভালমতো খেয়াল করলে দেখতে পাবেন-শুধু মুখস্থ করার উপর জোর দিলে পরীক্ষায় ভাল করা যাবে না। তাই প্রথমে প্রশ্নের ধরণ বুঝে নিয়ে ব্যাকরণের নিয়মকানুনগুলো শেখার উপর বেশি করে নজর দিতে হবে।

ধ্বনি ও ধ্বনিতত্ত্ব বাংলা ব্যাকরণের কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে গেলে দেখা যাবে এখানে মূলত তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করেই বাংলা ব্যাকরণ গড়ে উঠেছে। ১. ধ্বনিতত্ত্ব ২. শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব এবং ৩. বাক্যতত্ত্ব ধ্বনি ও বর্ণ সম্পর্কিত তথ্য কিভাবে মনে রাখবেন? বাংলা বর্ণমালা সম্পর্কিত তথ্য মনে রাখার কিন্তু খুবই সহজ। কারণ আমাদের ভাষার বর্নগুল খুব সুন্দর করে সাজানো। এগুলো বিভিন্ন বর্গ অনুসারে ভাগ করা হয়েছে। যেমন- ক, খ, গ, ঘ, ঙ এই পাঁচটি বর্ণকে বলা হয় ক বর্গীয় বর্ণ। এই সবগুলো বর্ণের উচ্চারণ স্থান জিহ্বামূল। জিহ্বামূল কোথায় থাকে? কণ্ঠে, তাইনা? তাহলে এই বর্নগুলকে বলা হয় কণ্ঠ বা জিহ্বামূলীয় বর্ণ। তাই যদি পরীক্ষায় আসে “গ” এর উৎপত্তিই স্থল কোথায়? আপনি চোখ বুঝে উত্তর দিয়ে দেবেন- “জিহ্বামূল”। আবার সন্ধি পড়তে গেলেও আপনি এই সাজানো বিষয়টির সুবিধা নিতে পারবেন। যেমন- যদি দুটি বর্ণ মিলে সন্ধি গঠন হয় তখন দুটি ধ্বনি মিলে কি হয় সেটা জানতে হয়। যেমন- আপনাকে মনে রাখতে হবে- অ + আ = কত হয়? মজার বিষয় হলো আপনাকে এটা মনে রাখার কোন দরকারই নেই। কারণ বাংলা বর্ণমালা গুলো সব সিরিয়ালে সাজানো। “অ” একটি নিম্ন-ধ্বনি আর “আ “একাটি উচ্চ ধ্বনি। “অ” আছে প্রথমে আর “আ” আছে তার পরে। আপনাকে শুধু জানতে হবে- উচ্চ ধ্বনি + নিম্ন ধ্বনি = উচ্চ ধ্বনি। তাহলে “অ” আর “আ” মিলে অবশ্যই “আ” হবে। সেটা আর আপনার মুখস্থ রাখার দরকার নেই। কারণ “অ” আগে না “আ” আগে সেটা আমরা ভাল করেই জানি। এভাবে বিভিন্ন জিনিসের বেসিক বিষয়টি জেনে পড়তে পারলে আপনাকে আর বেশি পরিশ্রম করে পড়তে হবে না। ধ্বনি সম্পর্কে যা অবশ্যই মনে রাখতে হবে- ধ্বনি হলো ভাষার মূল উপাদান। এই ধ্বনিকে প্রকাশ করার জন্য ব্যাবহার করা হয় বর্ণমালা। বাংলাভাষায় দুই ধরণের ধ্বনি আছে। যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় আমাদের ফুসফুসের বাতাস মুখের কোথাও বাধা পায় না সেগুলোকে স্বরধ্বনি বলা হয়, যেমন- অ, আ, ই, ঈ ইত্যাদি। আর যেগুলো উচ্চারণ করার সময় বাতাস কোথাও না কোথাও বাধা পায় সেগুলোকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলা হয়। স্বরধ্বনির লিখিত রূপকে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনধ্বনির লিখিত রূপকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয়। বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ আছে মোট- ১১ টি আর ব্যঞ্জনবর্ণ আছে মোট ৩৯ টি। এর মধ্যে পূর্ণমাত্রা বর্ণ আছে ৩২ টি, অর্ধমাত্রা বর্ণ আছে- ৮ টি আর মাত্রাহীন বর্ণ আছে- ১০ টি। খেয়াল করলে দেখতে পাবেন আমি উপরে যে তথ্যগুলো দিয়েছি এই লেখাটুকু থেকে প্রায় প্রতিবছরই অন্তত একটি প্রশ্ন পাবেন। তাই এমন কিছু বেসিক বিষয় সম্পর্কে আমাদের খুব ভাল ধারণা থাকতে হবে।

শুদ্ধ-অশুদ্ধ প্রায় প্রতিবছরই শুদ্ধ-অশুদ্ধ অংশ থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে। তাই এই অংশটি খুব ভালমতো শিখতে হবে। এই অংশে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুদ্ধ বানান থেকে প্রশ্ন করা হয়। বেশ কয়েকটি অশুদ্ধ বানানের মধ্য থেকে শুদ্ধ বানানের খুঁজে বের করতে হয়। এজন্য আমাদের বানানের গঠনরীতি সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে। দু একটি উদাহরণ দিলে এই ধরণের অশুদ্ধ বানান সম্পর্কে ধারণা পেতে সুবিধা হবে। অশুদ্ধ- একত্রিত, শুদ্ধ- একত্র; অশুদ্ধ- আয়ত্তাধীন, শুদ্ধ-আয়ত্ত; অশুদ্ধ- ইতিপূর্বে, শুদ্ধ- ইতঃপূর্বে বাংলা বানানরীতির সাথে সামঞ্জস্য না থাকায় এই ধরণের ভুলগুলো হয়ে থাকে। এই ধরণের ভুলগুলো ঠিক করতে হলে পড়ার সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে কোন বানান কেমন। এছাড়াও ণ-ত্ব বিধান ও ষ-ত্ব বিধানের ব্যাবহারের কারণে অনেক বানান ভুল হয়। ণ-ত্ব বিধান ও ষ-ত্ব বিধানের নিয়ম একটি বিষয় সবসময় মনে রাখবেন- খাটি বাংলা ভাষায় মূর্ধন্য(ণ) এর কোন ব্যাবহার নেই। তাই যেগুলো খাটি বাংলা শব্দ হিসেবে জানেন সেগুলোতে চোখ বন্ধ করে দন্তন্য(ন) ব্যবহার করবেন। তবে বাংলা ভাষার প্রচুর শব্দ সংস্কৃত থেকে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। এগুলোকে বলা হয় তৎসম শব্দ। এই শব্দগুলোতে মূর্ধন্য(ণ) এর ব্যাবহার রয়েছে। আর এসব শব্দে কোথায় মূর্ধন্য(ণ) আর কোথায় দন্তন্য(ন) এর ব্যাবহার হবে সেই নিয়মকেই ণ-ত্ব বিঁধান বলা হয়। নিচে আমি এমন কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো- ১. ট বর্গিয় ধ্বনির আগে যদি ন এর ব্যাবহার দেখতে পান তাহলে কোনকিছু না ভেবেই নিশ্চিন্তে মূর্ধন্য(ণ) ব্যবহার করবেন। খেয়াল করে দেখুন উপরে বর্গিয় ধ্বনি সম্পর্কে লিখেছি। ট বর্গীয় ধ্বনিগুলো হলো- ট, ঠ, ড, ঢ, ণ। এগুলোর আগে সবসময় “ণ” হবে। উদাহরণ- বণ্টন, ঘণ্টা, ঠাণ্ডা, লুণ্ঠন ইত্যাদি। ২. ঋ, র, ষ এর পরে মূর্ধন্য(ণ) হবে। যেমন- ঋণ, তৃণ, বিষ্ণু ইত্যাদি। আবার ঋ, র, ষ এর পর যদি প্রত্যয়ের দন্তন্য(ন) আসে তবে সেটাও মূর্ধন্য(ণ) হয়ে যাবে। এ বিষয়ে একটি সুন্দর বাংলা ছড়া আছে- ঋ কার, র কার, ষ কারের পর যদি ন কার থাকে ঘ্যাঁচ করে তার কাটবে মাথা কোন বাপ তারে রাখে।। এখানে মাথা কাটা বলতে মূলত মাত্রা উঠিয়ে নেওয়া বোঝাচ্ছে। দন্তন্য(ন) এর মাত্রা উঠিয়ে নিলেই তো সেটা মূর্ধন্য(ণ) হয়ে যায়। এখানে মজা করে মাথা কাটার কথা বলা হয়েছে। এমন ছড়াগুলো মনে রাখলে মাঝে মাঝে কাজে আসে। কোনকিছুকে সহজে মনে রাখা যায়। ৩. ঋ, র, ষ এর পরে যদি ক বর্গীয়/প বর্গীয়/শ/ব/হ এর যেকোনো একটা থাকে তবে এগুলোর পরে মূর্ধন্য(ণ) বসে। এই নিয়মগুলো ছাড়াও আরও কয়েকটি নিয়ম আছে। সেগুলো ব্যাকরণ বই থেকে শিখে নেবেন।

ণ-ত্ব বিঁধান ছাড়াও ষ-ত্ব বিধানের নিয়মগুলোও মনে রাখতে হবে। বাংলা ভাষায় স, শ ও ষ এই তিনটিই ব্যাবহার রয়েছে। বানান ভুল বুঝতে হলে আমাদের এই তিনটি স এর ব্যাবহার সম্পর্কে জনতে হবে। কিছু নিয়ম মনে রাখলেই আমরা এই অংশ ভাল করতে পারব- ১. অ, আ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণের পরে স, ষ হয়। আবার ক, এর পরেও স, ষ হয়। যেমন- ভবিষ্যৎ, জিগীষা, মুমূর্ষু, বিষয়, সুষমা ইত্যাদি। ২. ই কার ও উ কারের উপসর্গের পর কিছু ধাতুতে ষ হয়। যেমন- প্রতিষ্ঠান, অধিষ্ঠান, অনুষ্ঠান ইত্যাদি। ৩. ট ও ঠ এর আগে ষ হয়। যেমন- কোষ্ঠ, কাষ্ঠ, স্পষ্ট ইত্যাদি। যেকোনো একটা ব্যাকরণ বই থেকে নিয়মগুলো বুঝে নেবেন। প্রয়োজনে একের অধিক ব্যাকরণ বইকে সহায়ক হিসেবে রাখুন। পরবর্তীতে একটা গাইড বই থেকে সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।

বাগধারা এবং প্রবাদ সাধারণত খুব বেশি কঠিন আসে না।কিন্তু একটু tricky গুলো এসে থাকে।তাই এক্ষেত্রে ভালো করতে হলে একটু বেশি পড়তে হবে।যে কোন একটি গাইড বইয়ের পাশাপাশি ব্যাকরণ সংক্রান্ত যেকোনো একটি ভালো বই পড়া উচিত।

উপসর্গ ক্লাস ৯ এর পুরনো সিলেবাসের ব্যাকরণ বই থেকে পড়লে সবচেয়ে ভালো হবে। খুব সুন্দর করে এই বইতে উপসর্গ ও অনুসর্গ ব্যাখা করা আছে।প্রত্যয় ও কিন্তু ক্লাস ৯ এর পুরনো সিলেবাসের ব্যাকরণ বই থেকে পরলে সবচেয়ে ভালো হবে।এরপর যেকোনো একটা গাইড বই থেকে practice করতে হবে।

সমার্থক শব্দ কমবেশি সব চাকরির পরীক্ষায় এসে থাকে। এক্ষেত্রে বিস্তর পড়াশোনা করতে হবে। তবে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো পড়ে ফেলতে হবে।এরপর যেকোনো একটা গাইড বই থেকে practice করতে হবে।তবে পড়ার সময় যে শব্দটা পড়বো সে শব্দটার একটা প্রতিচ্ছবি নিজের মধ্যে যেন থেকে যায়। তাহলে মনে রাখতে সুবিধা হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ