শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

১৯৭২-১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন হয়ে দেশ শাসন করেন। কিন্তু যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশে সার্বিক দিক দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি হয়। জনপ্রিয়তা ব্যাপক মাত্রায় হ্রাস পায়। মুজিব সরকার বৈধতার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। এ সময় তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থা 'বাকশাল' কায়ম করেন। সেনাবাহিনীর কিছু অফিসারের সাথে সরকারের অপ্রত্যাশিত আচরণ শেখ মুজিবুর রহমানের নিহতের পিছনে মূখ্য ভূমিকা পালন করে। দেশব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও চোরাচালান দ৮নে সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। এতে শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শেখ নাসেরসহ বিভিন্ন আওয়ামী লীগের নেতাদের অবৈধ চোরাচালান আটকা পড়ে। এর ফলে কয়েকজন তরুন অফিসার চাকরি হারায়। এছাড়া মেজর ডালিমের স্ত্রীর প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা গাজী গোলাম মুস্তফা অশালীন ব্যবহার করেন।শেখ মুজিবের কাছে বিচার চাইলে শেখ মুজিবুর তাকে অপমানিত করেন। অবশেষে এসব চাকরিচ্যুত অফিসার শেখ মুজিবকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। মেজর নূর,মেজর শাহরিয়ার ও মেজর ডালিমসহ কতিপয় অফিসারের সহযোগিতায় দুই ব্যাটালিয়ন সৈন্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শেখ মুজিবুরের স্বপরিবারে নিহত হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আসলে সেই সময়ের অবস্থা কথা বললে, আসল ঘটনার মূল কারণ হলো, তখনকার রাজনৈতিক অস্থিরতা দমনের লক্ষ্যে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি সকল দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নিজেকে আজীবনের জন্য রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। মূলত এই ক্ষোভেই, এর সাত মাস পরে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে একদল সামরিক কর্মকর্তার হাতে তিনি সপরিবারে নিহত হন|||

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ